আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারও তারেইক্ক্যা বাংলাদেশটারে ধংস করতে চায়??

আবারও তারেইক্ক্যা বাংলাদেশটারে ধংস করতে চায়??? বাংলাদেশটাকে লুইট্টা-পুইট্টা খাইয়াও শালার ক্ষুদা মেটেনি। বাংলা ভাই সৃষ্টি, ২১শে আগষ্ট এর মত হামলা, ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করেও সাধ মেটেনি। এখন আবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে। ৫বছর দূর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে এখন সেই টাকা ব্যবহার করে সেদিন ঢাকা শহরে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। দৈনিক যায়যায়দিন থেকে নেয়া নিচের রিপোর্টটা পড়ুন ঃ সূত্র জানায়, ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে তোলপাড় চলছে।

ঢাকায় যারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ওপরই দোষ বর্তেছে বেশি। তবে মূল পরিকল্পনাকারী দলের এক মহাশক্তিধর ব্যক্তি হওয়ায় এ ব্যাপারে কেউ প্রকাশ্যে কথা বাড়াতে চাইছেন না। বরং অনেকেই এই পরিকল্পনাকে সময়ো-পযোগী বলছেন। দলের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, দলের সেই মহাশক্তিধর নেতা এই আত্মঘাতী বিপ্লবের রূপকার। তিনিই কয়েক মাস ধরে ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা করেছেন।

তার আস্থাভাজন এক সমন্বয়কারী ঢাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বলেছেন দীর্ঘ সময়। তবে ওই সমন্বয়কারীর কথায় তেমন গুরুত্ব দেননি নেতারা। পরে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে ডেকে নিয়ে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সূত্র জানায়, যেসব নেতা টেলিকনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন আহসান উল্লাহ হাসান, আনোয়ারুজ্জামান, এমএ কাইয়ুম, বজলুল বাসিত আঞ্জু, সিরাজুল ইসলাম, মীর হোসেন মীরু, আবুল খায়ের বাবলু, এমএ সামাদ, শামসুল হুদা, আজিজুল্লাহ আজিজ, মীর আশরাফ আলী আজম, কাজী ইমাম আসাদ, মো. কাইয়ুম খান, কাজী হযরত আলী, গোলাম হোসেন ও মোশাররফ হোসেন মঞ্জু। প্রায় একই সময়ে মালয়েশিয়ায় যান ছাত্রদলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

তাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসির এবং ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি কামাল আনোয়ার আহমেদ। সেখানে মোবাইল ফোনে বড় নেতার সঙ্গে কথা বলেন তারা। সূত্র জানায়, বিএনপির মধ্যম সারির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাসহ যুবদলের নেতারাও দেশের বাইরে গিয়ে ওই নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনিও আন্দোলন কর্মসূচি এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। কয়েকজন নেতাকে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্বও দেয়া হয়।

জানা গেছে, ওই নেতার ডাকে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী সোহেল এবং যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী। আর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব যান ব্যাংককে। এছাড়া লন্ডনে গিয়ে সরাসরি তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী এবং কুমিল্লার এক নেতা। সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আস্থাভাজনদের নিয়েই ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা করেন প্রভাবশালী ওই নেতা। কিন্তু অপরিপক্ব কিছু সিদ্ধান্তের কারণে এবং কয়েকজনের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য শেষ পর্যন্ত মিশন ব্যর্থ হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের অবহিত না করে ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা করায় অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই নাখোশ। তবে পরিকল্পনাকারী যেহেতু দলের প্রভাবশালী নেতা, সেহেতু এ ব্যাপারে খোলামেলা ও প্রকাশ্যে সমালোচনামূলক বক্তব্য দিতে কেউ সাহস করছেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.