আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোকাকোলা ও পেপসি পান করা উচিত নয়

উন্মাদ বালক বইলাই কিন্তু আমি পুরা উন্মাদ না, সামান্য কয়টা তার ছিড়া... আজকের তরুণদের কোন অনুষ্ঠানই অন্তত পেপসি-কোকাকোলা জাতীয় ড্রিঙ্কস ছাড়া মোটেও জমে না। যে কোন উৎসব আয়োজনে জোশ আনার জন্য এটা তো একটি সামান্য বিষয়। এমনিতেও রোদ-গরমে এই কোমল পানীয়ের সান্নিধ্য ছাড়া কি আর চলে। কিন্ত আমরা কি একটি বারও ভেবে দেখেছি, আমাদের কষ্টার্জিত টাকা- আর্থিক সহায়তা কি একটি উল্লেখযোগ্য অপরাধ নয়? আমরা অনেকে জানিই না যে, আমেরিকা-বৃটেন-ইসরাইলের বহুজাতিক কম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত মুনাফার একটি বড় অংশ নিজ নিজ দেশের শাসক গোষ্টীর হাতে তুলে দেয়, যাতে করে তারা তা দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর ও মারাত্বক আক্রমণ হানতে পারে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের ধুয়া তুলে ইসলাম ও মুসলিম নিধনের মহড়া আরো বেগবান হয়। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার নামকরা কোম্পানী কোকাকোলা একটি বড় অংকের ডোনেশনের মাধ্যমে স্পন্সর করেছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকান সেনারা কোকাকোলার দান করা অত্যাধুনিক মিসাইলগুলো খুবই আনন্দের সাথে মুসলিম বিশ্বের দিকে তাক করে ফায়ার করছে। আর তাদের নিক্ষিপ্ত সেই গোলা-বারুদের আঘাতে ইরাক-আফগানিস্তানের অসহায় জনসাধারণ ছিন্ন-ভিন্ন দেহে লাশ হয়ে পরে আছে। কেউবা চিরজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। অথচ কোকাকোলার স্পন্সর করা অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমাদের মতো মুসলিম ভূখন্ড গুলো থেকেই হাতিয়ে নেয়া। একইভাবে আরেক জনপ্রিয় ড্রিংকস কোম্পানী হচ্ছে পেপসি।

এটি ইসরাইলের কোম্পানী। অনেকের মতে PEPSI একটি পূর্ণ বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত রূপ। আর তা হচ্ছে: Pay Each Peny to Save Israil যার অর্থ: আপনার উপার্জিত প্রতিটি পয়সা ইসরাইলের জন্য ব্যায় করুন। আর আমরা তো তাই করছি। এক বোতল পেপসি পানীয়র জন্য দশ টাকার ডোনেশন তুলে দিচ্ছি ইসরাইলের হাতে।

ইউনিলিভারের লাক্স-লাইফবয়, আর ফেয়ার এন্ড লাভলীর প্রতিটি প্রডাক্ট শেষ হবার আগেই আবার তার সন্তান পূণ করছি আরেকটি কিনে। এর বিনিময়ে তারা আমাদরে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। যা তারা ব্যয় করছে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম ভূখন্ড ফিলিস্তিনকে উদ্বাস্ত শিবিরে পরিণত করার জন্য। আমাদের কাছে পন্য বিক্রি করে, দ্বিগুন-তিনগুন লাভ করে সেই লভ্যাংশ আবার আমাদের বিরুদ্ধেই তারা সফলভাবে ব্যায় করছে। চিন্তা করা যায়! কত ভয়াবহ আত্তঘাতি কাজ করে চলেছি আমরা প্রতিনিয়ত।

হায় আফসোস! আমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করছি। যমদূতের হাতে তুলে দিচ্ছি ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র। আমাদেরকে বিলাস-ব্যসনে মত্ত রেখে তারা আজ ঝাঁপিয়ে পড়ছে ইরাক-আফগান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বসনিয়া, সোমালিয়া প্রভৃত দেশে। নির্বিচারে হত্যা করছে সেখানকার নিরপরাধ মুসলমানদেরকে। আর আমরা তাদের সেই সব হত্যাকাণ্ডে নির্বোধের মতো সাহায্য করে চলছি।

আমরা যে শুধু আমাদের ভাইদেরকে হত্যার জন্যই সহায়তা করছি তাই নয়; বরং আমাদের এই সহায়তায় গড়ে ওঠা কুফুরী শক্তির রসদ সম্ভার একদিন সরাসরি আমাদের দিকেও তাক হবে। তাদের নিক্ষিপ্ত বোমাগুলোর আঘাতে একদিন হয়তো লুটিয়ে পড়বে আমাদেরই আপন ভাই-বোন, মা-বাবা বা আমরা নিজেই। তখন অন্য মুসলিম যুবকরা আমাদের প্রবাহিত রক্ত দেখবে আর আয়েশ করে পেপসির বোতলে চুমুক দেবে। ইতিহাসের এমন করুন পুনরাবৃত্তি যদি আমরা দেখতে না চাই তাবে এখনই সতর্ক হতে হবে। এখনই না বলতে হবে বহুজাতিক এই কোম্পানীগুলোকে।

কোকাকোলা-পেপসিসহ কাফিরদের এধরণের সকল পন্য বর্জন করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.