আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনমোহন ও শেখ হাসিনা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন

হট নিউজ মনমোহন বাংলাদেশের সাথে ও শেখ হাসিনা দেশের জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কারণ তিনি টিপা্ই বাঁধে মোহনের মোহনীয় কথা মুগ্ধ হয়ে বলেন, ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি হবে এমন কিছু করবে না। এই বলে তিনি ২০০৯ থেকে জনগনের সাথে কৌশলে কথা বলে আসছেন। জনগন তার কথায় বিশ্বাস করে কঠোর আন্দোলন থেকে বিরত থেকেছে। নতুবা জনগনের চাপে বিশ্ববিবেক সাড়া দিয়ে এ বাঁধ রুখে দিতো।

হাছিনা শুধু গদিতে বসে দেখতে পেতেন। কিন্তু দাদার মন রাখতে মোহন তিনি ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেন। দাদা যা করার তা করলেন, হাছিনা কে পাগড়ি পরে বললেন না লাল বেনারসী পড়ে এসো একাকিত্ব গুচিয়ে দেই। তিনি না বলেই বিধান সভায় বিধান করে দেন টিপাই মুখ বাঁধ। ‘দাহ কর দাহ কর, মনমোহনের কুশপুত্তলিকা দাহ কর।

’—এই বিক্ষুব্ধ স্লোগান মুখে নিয়ে টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী মানববন্ধনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। দাহকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি করে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শিক্ষার্থীরা ভারতের এমন চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকার সই করার বদলে জোরালো প্রতিবাদ না করায় কড়া সমালোচনা করেছেন। এই মানববন্ধন ও দাহের আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশন।

ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা অন্যান্য সংগঠনকে তারা ওই কর্মসূচিতে সঙ্গে পায়নি। পেলে আয়োজন আরও বড় হতে পারতো। ভিন্ন মাত্রা পেত এই উদ্যোগ। তা না পাক, ছাত্র ফেডারেশন এগিয়ে এসেছে যথার্থ দেশপ্রেমিকের মতো। তারাই বাংলাদেশের প্রথম ছাত্র সংগঠন, যারা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের হৃদয়হীন নির্মমতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো।

ওই কর্মসূচি পালনের আগে ফেডারেশনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ভারত মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে কোনো প্রতিবাদ জানাচ্ছে না। প্রতিবাদ জানানোর চেয়ে নিজের দেশের মানুষকেই তারা দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের জন্য এটি লজ্জাজনক। তিনি বলেন, ভারত কি বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য মনে করছে? তারা বাংলাদেশের সঙ্গে অঙ্গরাজ্যের মতো আচরণ করছে।

বাঁধ নির্মাণ করে দেশের বৃহত্ একটি অংশকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে জনগণের দাবি ও প্রতিবাদকেই এই সরকার আমলে নিচ্ছে না। অন্য বক্তারা বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু করবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন; টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি করে সে আশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। মনমোহন বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। মানববন্ধন ও দাহ শেষে ছাত্র ফেডারেশন বের করে বিক্ষোভ মিছিল।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই প্রতিবাদ দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত। যে কাজ রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারছে না, বড় দলগুলোর ছাত্রফ্রন্ট করতে পারছে না—সেই কাজ ছাত্র ফেডারেশন করে আমাদের কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে। আমার মতো অনেকেই হৃদয়ে অনুভব করেছে আবেগ। এই কারণে যে, তারুণ্যের না জাগার ফলে পরিস্থিতির কোন ইতরবিশেষ হচ্ছিল না, যারা না জাগলে প্রতিরোধ আন্দোলন দানা বাঁধবে না—অবশেষে সেই তারুণ্য তার পথ খুঁজে পেয়েছে।

আজকে হয়তো ছোট আকারে হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ, কিন্তু কাল সকালে তারুণ্যের এই দীপ্তি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। সেই জলতরঙ্গ যৌবনের সেই বাঁধভাঙা জাগরণ কোনো রাষ্ট্রশক্তি কোনো দিন দমাতে পারবে না। পারেনি কোনোদিন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.