আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনন্ত জোকস (জাস্ট ফর ফান)

*স্কুলে পড়ার সময় অনন্ত জলিল একবার রাগ করে তাঁর রাফ খাতা ছুঁড়ে ফেলে দেন। কেউ একজন ওটা দিয়ে একটা ওয়েবসাইট বানায়। নাম, 'উইকিপিডিয়া' *অনন্ত জ্বলিলের ডিকশনারিতে 'ইমপসিবল' বলে কোন শব্দ নেই। কারণ, অনন্ত জ্বলিলের যে কোন ডিকশনারিই নেই। *অনন্ত জলিলের হাত থেকে একবার একটা আধুলি পড়ে গেছিল।

তিনি সেই আধুলি খুঁজে পাওয়ার রোমহর্ষক কাহিনী নিয়ে বানালেন 'খোঁজ দ্য সার্চ' ছবিটি। আর এই খোঁজাখুঁজির আইডিয়া থেকেই তৈরি হয় গুগল। *একবার দীর্ঘ ৩ দিন কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত কারণে হাগু হয়নি অনন্ত জলিলের। হাগু হওয়ার ওষুধ খেয়ে টয়লেটে ঢুকলেন অনন্ত। তারপর কি হল জানি না, কিন্তু সবাই বলতে লাগল হিরোশিমা নাগাসাকিতে নাকি পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।

*অনন্ত জলিলের একবার খুব হিসি পেয়েছিল। কিন্তু বর্ষার সাথে আদর সোহাগ করতে থাকায় হিসি চেপে রাখেন তিনি। তারপর তিনি যখন হিসি করলেন, রাতারাতি একটা মহাসাগর তৈরি হল। সেদিন হিসিটা করে অনন্ত খুব শান্তি পেয়েছিলেন, তাই তাঁর হিসি থেকে সৃষ্ট মহাসাগরটির নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রশান্ত মহাসাগর'। *অনন্ত জলিল একটা ছবি করেছেন 'মোস্ট ওয়েলকাম' নামে।

শোনা যাচ্ছে সেইটার নকল করে অক্ষয় কুমার একটা ছবি করেছেন। নাম 'ওয়েলকাম' *অনেকে বলেন, বাংলাদেশে নাকি খুব দুর্গন্ধ। তা হতেই পারে। কারণ অনন্ত এক পা ভারতে, এক পা পাকিস্তানে। আর দুই পা'র মাঝখানের অংশটা পড়েছে বাংলাদেশে।

*অনন্ত জলিল ছোটবেলায় হ্যান্ড রাইটিং প্রাকটিসের জন্য কিছু নিম্নমানের ইংরেজি কবিতা লিখেছিলেন। সেইসব কবিতা কুড়িয়ে নিয়ে নিজের নামে চালান এক ব্যক্তি এবং পরবর্তিতে সে অনেক জনপ্রিয়তাও লাভ করেন। সেই লোকটার নাম 'রবার্ট ফ্রস্ট' *আপনারা তো জানেন নিশ্চয়ই যে অনন্ত জলিল ইজ এডুকেটেড পম ম্যানসিস্টার। তো সে যাইহোক, ম্যানচেষ্টার শহরে পড়ালেখার পাশাপাশি অনন্ত একটুকরা ফাঁকা জমিতে গারডেনিং করতেন। আজকাল নাকি সেই জমিটায় ছেলেপেলে ফুটবল খেলে।

মাঠটার নাম 'ওল্ড ট্রাফোর্ড' *একবার একটা মশা নাকি পৃথিবীর কেন্দ্র ঘুরে এসেছিল। তো সেই মশাকে তার জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায়, অনন্ত নাকি একবার গাল হাঁ করতেই সে নাকি অনন্তের গালের ভেতর ঢুকে গেছিল। সুতরাং, অনন্তের পাকস্থলি বা যকৃতেই পৃথিবীর কেন্দ্র অবস্থিত। (প্রমাণিত) *অনন্ত নাকি 'টাইটানিক' এ অভিনয়ের অফার ইগ্নোর করেছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, শুটিঙের জন্যে হলেও ম্যানসিস্টারে এডুকেটেড হয়ে তিনি চেলসিতে নির্মিত জাহাজে চড়তে চাননি বলেই এই সিদ্ধান্ত নেন।

*অনন্ত জলিল একবার ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু তিনি কোন পক্ষের হয়ে যুদ্ধ করেন তা জানা যায়নি। অনন্ত যে তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, এই কথা প্রমাণ করতেই আজও ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন উভয় দলই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। *অনন্ত জলিলের কাছে দুজন ছাত্র ক্রিকেট কোচিং নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কেউই অনন্তের মন জয় করতে পারে নি।

ছাত্র দুটির নাম 'ডন ব্রাডম্যান' আর 'শচিন টেন্ডুলকার' *অনন্ত নাকি জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, 'যে ব্যক্তি আজীবন নাম্বার ওয়ান হয়ে এসেছে, সে কেন আজ হঠাত ০০৭ হতে যাবে?' *ইংরেজদের কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌউলার হারের পর অনন্ত জলিল গগণবিদারী চিৎকার দিয়ে কেঁদেছিলেন। তার সেই কান্নায় যত চোখের জল ঝরেছিল, আরব শেখরা আজকাল তা পেট্রোল হিসেবে বিক্রি করে। *অনন্ত জলিল টুইটার ব্যবহার করেন না। কারণ তার বক্তব্যের প্রথম লাইন লিখতেই ১৪০টা লেটার পার হয়ে যায়।

*অনন্ত জলিল সবসময় 'হাইপাই' (পড়ুন হাইফাই) জিনিস ব্যবহার করেন। আর তাই কম্পিউটার হিসেবে তার প্রথম পছন্দ এইচপি('হাইপাই' শব্দের আদ্যক্ষর) *একদিন রাত দুইটার মত বাজে। হঠাত করে চারদিক আলোকিত হয়ে গেল। পাখিরা কিচিরমিচির শুরু করল। মানুষজন টুথপেস্ট মুখে দিয়েই তাড়াহুড়া করে অফিস পানে ছুটতে লাগল।

কেন এমনটা হল, জানেন? অনন্ত জলিল স্রেফ তার দুই ব্যাটারির টর্চটা জ্বেলে রাস্তায় হাটঁতে বের হয়েছিলেন। *অনন্ত জলিল শখের বশে একটা ছোট্ট বাগান তৈরি করেছিলেন। কালের বিবর্তনে সেই বাগান আজ 'সুন্দরবন' নামে পরিচিত। *অনন্ত জলিল একবার অস্ট্রেলিয়ার এক বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। একপর্যায় তিনি একটি গাছের পাতায় নাকের শিকনি মোছেন।

সেই নাকের শিকনিতে এত পরিমাণ উত্তাপ ছিল যে আজকাল প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল হয়ে থাকে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.