আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশরাফুলকে নিয়ে পরথম আলুর এতো প্রসব বেদনা কেন...?

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... ঢাকা টেস্টের দল নিয়ে নাটক সকালে অনুশীলন করে বিকেলে জানলেন ঢাকা টেস্টের ১৪ জনের স্কোয়াডে তিনি নেই। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে হোটেল ছাড়তে হবে। কাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দলবদল সেরে মোহাম্মদ আশরাফুল তাই হোটেলে ফিরলেন ব্যাগ গোছাতে। শফিউল ইসলাম ছিলেন বগুড়ায়। টেলিভিশনে দেখলেন, পত্রিকায় পড়লেন দ্বিতীয় টেস্টের ১৪ জনের দলে তিনি আছেন।

বিকেলে বিসিবি থেকে ফোনও পেলেন ঢাকায় আসার জন্য। সন্ধ্যায় বগুড়া থেকে ঢাকার পথে শফিউল। আশরাফুল-শফিউল সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্য জেনে গেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়েছে কাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে। চট্টগ্রাম টেস্টের মতো নাটক হয়েছে এই দল ঘোষণার আগেও। বিসিবি সভাপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল নির্বাচকদের করা ১৪ সদস্যের দল।

সেই অনুমোদন মিলল সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল কাল রাতে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর। কাল সন্ধ্যায় বিসিবি থেকে ফোন পাওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দিন ধোঁয়াশার মধ্যে কেটেছে আশরাফুলের। পত্রপত্রিকায় তাঁর বাদ পড়ার খবর এলেও সকাল পর্যন্ত যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা হয়নি, পুরোদমে অনুশীলন করেছেন তিনি। নেটে কোচিং স্টাফের একাধিক সদস্য ব্যস্ত থাকলেন আশরাফুলকে নিয়েই। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচ স্টুয়ার্ট ল-ও আভাস দিলেন, আশরাফুলকে তিনি দলে চান, ‘যত দূর জানি, ও দলে আছে।

সে কারণেই প্র্যাকটিস করছে। আমাদের এর বাইরে অন্য কিছু বলা হয়নি। হতে পারে এটা একটা গুঞ্জন এবং এই পরিস্থিতিতে এ রকম গুঞ্জন ছড়াতেই পারে। আমি দলের সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছি। ’ শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনটাই সত্যি হয়েছে—বাদ পড়ে গেছেন আশরাফুল।

অথচ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এই খবর জানতেন না স্বয়ং কোচ! কারণ হিসেবে অদ্ভুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে এক নির্বাচকের কাছ থেকে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আশরাফুলকে দলে না রাখার আলোচনাটি নাকি তাঁরা করেছেন বাংলায়। স্টুয়ার্ট ল তাই বুঝতে পারেননি। তাঁকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজনও মনে করেননি কেউ! আশরাফুলের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান এনায়েত হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচকেরা মনে করেছেন, একাদশে না থাকলে আশরাফুলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের স্কোয়াডে না থাকাই ভালো। ’ আশরাফুলের জায়গায় ঢাকা টেস্টে খেলবেন সম্ভবত জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা নাঈম ইসলাম।

এ ছাড়া গত টেস্টে কাঁধে চোট পাওয়া রুবেল হোসেনের জায়গায় ডাকা হয়েছে শফিউলকে। রুবেলকে আপাতত দুই সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে টেস্টের জন্য শফিউলও খুব ফিট নন। গোড়ালির সমস্যার কারণে একটানা বল করতে পারেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল তাঁকে আপাতত টেস্ট না খেলানো।

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে জাতীয় লিগ থেকে হুট করে ডেকে আনা হয়েছিল আশরাফুলকে। এর আগে তাঁকে লম্বা সময় নির্ভার ক্রিকেট খেলতে দেওয়ার কথা বললেও প্রথম টেস্টের দলে ডাকার পক্ষে প্রধান নির্বাচক আকরাম খান যুক্তি দেখান, ‘মিডল অর্ডারে কেউই রান করছে না। ওদিকে আশরাফুলকেও দেখলাম জাতীয় লিগে ধারাবাহিক পারফর্ম করছে। টেস্টে তার অভিজ্ঞতাও অনেক। মিডল অর্ডারে সে-ই বেস্ট অপশন।

’ ‘বেস্ট অপশন’ বা সেরা পছন্দ হঠাৎ করেই চোখের বালি হয়ে গেল! জাতীয় লিগে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা একজন ব্যাটসম্যানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিলেন নির্বাচকেরা, যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না আশরাফুল। চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ডাক পাওয়ার পর তিনি নিজেও বলেছিলেন, ‘আমি জাতীয় লিগে বড় কিছু করিনি। এমন না যে খুব ভালো খেলে এসেছি...। ’ তাঁর ব্যর্থতার দায় তাই নির্বাচকদের ওপরও পড়ে। দল থেকে বাদ পড়ার পর আশরাফুল সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে রাজি হননি।

তবে পরিচিতজনদের সঙ্গে আলোচনায় নাকি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন তিনি। আশরাফুলকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কাল জন্ম দিয়েছিল নতুন এক কৌতূহলেরও। নির্বাচকেরা আশরাফুলকে চাইছেন না, বোর্ড সভাপতি তো আগে থেকেই চান না। এই ‘মতৈক্যের’ পরও কেন দল ঘোষণায় এত দেরি? সভাপতির অনুমোদনই যদি ব্যাপার হবে, ডিজিটাল যুগে সেটা তো সিঙ্গাপুর থেকেও দেওয়া যেত! না, নির্বাচকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বটা এবার আশরাফুলকে নিয়ে নয়। সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা টেস্টের দলে মমিনুলকে নেওয়া যায় কি না, সে রকম ‘আলোচনা’ তোলা হয়েছিল বোর্ড থেকে।

নির্বাচকেরা তাতে সায় দেননি। সায় ছিল না অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও। অধিনায়কের যুক্তি, মমিনুলকে দলে নিলে টি-টোয়েন্টি থেকেই নেওয়া উচিত ছিল। এই কয়টা দিন দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। হুট করে টেস্ট দলে নিলে চাপে ফেলে দেওয়া হবে তরুণ এই ক্রিকেটারকে।

চট্টগ্রাম টেস্টের দলে আশরাফুলকে ডাকার আগে যদি এই চিন্তাটুকু করতেন নির্বাচকেরাও! দ্বিতীয় টেস্টের দল মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, নাজিমউদ্দিন, শাহরিয়ার নাফীস, সাকিব আল হাসান, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানি, মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী, শাহাদাত হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন ও রবিউল ইসলাম। সূত্রঃ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.