আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশরাফুলকে ক্ষমা চাইতে হবে.............

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে। মোহাম্মদ আশরাফুলের পৃথিবী রাতারাতি বদলে গেছে। সুড়ঙ্গের শেষেও আলো নেই। ‘আশার ফুল’ এখন কোন আশাই দেখছেন না।

আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) রিপোর্টের ওপর ঝুলে আছে তার ভাগ্য। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের তীর তার দিকে। অভিষেক সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হঠাৎ পথভোলা পথিক হবেন, ভাবেননি কেউ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আশরাফুলকে আমরা যেভাবে চিনি সে সম্পূর্ণ বিরোধী কাজ করেছে। পুরো জাতিকে হতাশ করেছে সে।

আমি নিজেও তার এমন কর্মে হতাশ। আইসিসির রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে সমর্থক, পুরো জাতি, শুভাকাক্সক্ষী সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। রকিবুল যোগ করেন, যদি এ ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে ফিক্সিং রোধে বোর্ডকে কঠোর হতে হবে। যা ঘটে গেছে তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়।

তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিসির রিপোর্টের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আলাদা তদন্ত করা উচিত। বয়সভিত্তিক খেলা নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেসব বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হয়, যেমন অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিদেশ সফরের আগে তাদের নৈতিকতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। তাদের এসবের নেতিবাচক দিকগুলো বোঝাতে হবে।

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন বিদেশ সফরে যাবে তখন অন্যদের কাছ থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে। সাংবাদিক, হোটেলের কোন স্টাফ বা অন্য কোন লোকের তাদের ধারে-কাছে ঘেষতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘যে হোটেলে দল থাকবে সেখানে আগে বিসিবির কর্মকর্তারা চলে যাবেন। কোন সাংবাদিক যদি সাক্ষাৎকার নিতে যান তাহলে তার সামনে দলের ম্যানেজারকে থাকতে হবে। এছাড়া কোন সিরিজ বা সফরের সময় ক্রিকেটারদের কাছে মোবাইল ফোন রাখা যাবে না।

’ রকিবুলের মতে, ‘আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটার উঠে আসে সফস্বল থেকে। এসব ক্রিকেটারকে সহজে অনৈতিক কাজে জড়ানো যায়। তাই তাদের আগে থেকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। রকিবুল হাসানের সঙ্গে একমত আরেক সাবেক ক্রিকেটার ওয়াহিদুল হক গনি। তিনিও খেলোয়াড়দের শিক্ষিত করে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।

এই সাবেক স্পিনার বলেন, ‘লেখাপড়া মানে ডিগ্রি নেয়া নয়। নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বোঝা। ’ ওয়াহিদ গনি একজন কোচও। নতুন প্রজšে§ যারা ক্রিকেটের দীক্ষা নিয়ে বড় পরিসরে প্রবেশের অপেক্ষায়, তাদের খেলার পাশাপাশি নৈতিকতা শেখানোও কোচদের জন্য জরুরি বলে মনে করেন এই ক্রিকেট গুরু।

ক্রিকেটে দুর্নীতির ব্যাধি দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মনে করেন এ দুই সাবেক ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই কারও। এখানে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.