আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তির যোদ্ধ আমাদের এখনও শেষ হয়নি (বিজয় দিবস)

আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ কষ্টের কথা সুখের কথা “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবা না ভুলব না ....” আমি সমাজের কোন বিশেষ কেউ নই । আমি একজন সাধারন মানুষ। সাবার সাথে আমার মিল হচ্ছে আমি এই স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক । তাই বলে আমি যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারিনি। খাঁচায় একটা ছোট্ট পাখি বন্ধি আছে পাখিটাকে আমি বন্ধি করেছি শুধমাত্র আমার সার্থের কথাই চিন্তা করে কারন আমি পাখি ভালবাসি সকাল বেলায় এই পাখির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে তখন আমার খুব ভাললাগে আমি ঘুম থেকে উঠে নিজে কিছু খাওয়ার আগে পাখিটাকে খেতে দেই পাখিটাকে আমি রোজ মজার মাজার খাবার খেতে দেই শুধু একটা জিনিসই আমি তাকে দিতে পারিনি সেটা হচ্ছে তার মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো রাস্তা যেটা দিলে সে হয়তো আমার এখানে থাকতো না তখন আমার ভাললাগা পাখিটাকে আমি আর দেখতে পেতাম না ।

জেলের মধ্যে ১ জন কয়েদী বন্ধী আছে তাকে খাদ্য , বস্থ, অন্যান্য যা কিছু তার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন তা দেওয়া হয় তাকে শুধু একটা জিনিস দেওয়া হয়নি সেটা হচ্ছে, সে চাইলেই এই কয়েদখানা থেকে বের হয়ে ইচ্ছা স্বাধীন মতো ঘুরে বেড়ানোর ক্ষমতা উপরের দুই শ্রেনীর জীবের মধ্যে একাট বিষয়ে গভীর মিল আছে তা হচ্ছে তারা বন্ধীদসা অথাৎ তাদের মধ্যে স্বাধীনতা (Freedom) নাই। উপরের ঐ দুই শ্রেনীর জীবকে যদি আমি স্বাধীনতা (Freedom) দেই তাহলে তারা কী করার সুয়োগ পাচ্ছে যা তারা বন্ধী অবস্থায় পাচ্ছে না। পাখির ক্ষেত্রেঃ ১. পাখি অন্যান্য পাখিদের মতোই মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারবে। মুক্তির গান করতে পারবে । ২. সে তার আত্নীয় স্বজনের কাছে ফিরে যেতে পারবে।

মানুষের ক্ষেত্রে ১. আমারা যারা বন্ধী দসায় নাই ঠিক তাদের মতোই দিন যাপন করতে পারবে। ২. সেও তার আত্নীয় স্বজনের কাছে ফিরে যেতে পারবে। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি ..... দেশের কিছু বর্তমান কিছু অপ্রিয় সত্য দৃশ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪০ বছর চলছে। আমরা হয়তো সবাই স্বাধীনতা (Freedom) পেয়েছি ক্ন্তি ঐ দুই শ্রেনীর মানুষ বন্দী অবস্থায় যা পাচ্ছে আমাদের সবার পক্ষে তা পাওয়া সম্ভব হয়নি । আজও এই স্বাধীন দেশের মানুষ না খেয়ে দিনরাত্রি যাপর করে , ক্ষুদার যন্ত্রনায় কষ্ট পায়, শীতে কষ্ট পায় , বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে রাস্থাঘাটে ঘুমায়।

খাদ্য - বস্থ - চিকিৎসা - শিক্ষা যা আমারা মৌলিক চাহিদা বলে জানি তা এই দেশের অনেকেই পাচ্ছে না। আমরা প্রতি বছর আজকের এই দিনটি আসলে শহীদরে কথা স্বরন করি , তাদের আত্নায় শান্তি কামনা করি , মিটিং মিছিল করি , সভা সমিতি হয় , শহীদ মীনার + স্তৃতি সৌধ নতুন রৃপে সাজে, রাস্তায় সোভা যাত্রা বের হয় তাদের অনেকের পড়নেই থাকে বাংলাদের পতাকা আকাঁ , অনেকে ফুল নিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানায় , দেশের নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন বড় বড় বানী দেয় আর মিডিয়াতে তা বড় বড় করে ছাপা হয় । কোন দল ক্ষমতায় থাকলে বলে এনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক আবার অন্য দল ক্ষতায় আসার পর শোনা যায় উনি নন এনি আমাদের জাতির জনক + স্বাধীনতার ঘোষক। ঐ মানুষগুলোর দিকে আমারা কেউই তাকাই না। এই কী আমাদের স্বাধীনতা? এরাওতো আপনার আমার মতো এই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।

স্বাধীনতা পেয়ে সমাজের এক শ্রেনীর লোক ঠিকই পূর্ন স্বাধীনতা পেয়েছে তারা তাদের ইচ্ছা স্বাধীন মতো দূনীতি করেই চলেছে , ফলে গরীব আরো গরীব হচ্ছে আর ঐ শ্রেনীর মানুষ টাকার পাহার বানাচ্ছে। দারিদ্রের কারনেই অনেকেই বেছে নিচ্ছে অন্যায়ে পথ ফলে দেশে সন্ত্রস , চুরি , ডাকাতী, ইত্যাদি অপকর্মের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। জেলের কয়েদী কিংবা খাচার পাখিও স্বাধীন না হয়ে যেটুকু সুবিধা পায় তা আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোক কেন পাচ্ছে না?????। স্বাধীনতা পেয়ে আমারা কতটুকু স্বাধীন তে পেরেছি তা বলতে পারছি না । যদি প্রকৃত স্বাধীন হতে পারতাম তাহলে হয়তো দেশের ক্ষমতাবান এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন তারা এই দেশের সাধারন জনগনকে নিয়ে পুতুলের মতোন খেলা করবার সুয়োগ হয়তো পেত না।

ঐ সব ক্ষমতাবান লোকজন যদি দেশের কথা, মানুষের কথা ভাবতো তাহলে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন দেশ হয়েও কেন অন্যান্য স্বাধীন দেশের মতো ভালো অবস্থানে যেতে পারত। কিন্তু কেন এমন হবে ?? এমন স্বাধীনতার আমার দরকার নেই । আমি পেট পুড়ে অন্তত একবেলা খেতে চাই আমি আমার মৌলিক চাহিদা পেতে চাই। আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পেতে চাই। দেশের জন্য অনেক প্রান তাদের জীবন আত্নত্যাগ করেছেন।

তাদের এই আত্নত্যাগ সগর্বের সাথে আমাদের আজীবন স্মরন করা উচিত। সেই সাথে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ আজ স্বাধীন তাদের আত্নত্যাগের কথা স্মরন করে হলেও আমাদের উচিত সবার নিজ নিজ স্থান থেকে বাংলাদেশকে প্রকৃত সোনার বাঙলা গড়ে তুলা। কবি শামসুল আলমের ভাষ্য মতে ঐ দিন ঠিকিই পতাকা সোভিত স্লোগানে মুখর ঝাঝালো মিছিল বের হয়। ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি আছে কিনা তা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাঁশি স্বাধীনতা হয়তো আমার যেমন ইচ্ছে তেমন লেখবার কবিতার খাতা, কিন্তু সামু হয়তো নয়।

তাই এখানেই শেষ করছি। আরো অনেক কিছু লিখবার ইচ্ছে ছিলো সামুতে বড় কোন পোস্ট দিলে পাঠকদের পড়বার ধের্য্য থাকে না সেই ভেবে আর কিছু লিখলাম না। (কারো সাথে আমার যুক্তিতে কোন বিরোধ থাকলে প্লিজ আমাকে মাফ করবেন)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।