এতো ক্ষয়,এতো ভুল জমে ওঠে বুকের বুননে,এই আঁখি জানে,পাখিরাও জানে,কতোটা ক্ষরণ কতোটা দ্বিধায় সন্ত্রাসে ফুল ফোটে না শাখায়.. তুমি জানো নাই–আমি তো জানি,কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে,এতো গান,এতো হাসি নিয়ে বুকে নিশ্চুপ হয়ে থাকি। বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এই তো জীবন . তুমি চাইলেই বলে
বৃষ্টি হলাম,
নীলচে সবুজ বন!
আধার কালো রাত্রি হলাম
চাইলেই যখন
জোছনা হলাম তোমার চোখে
সুরের মাঝে শব্দ
তোমার খাতার প্রথম পাতায়
একটা মিষ্টি গদ্য!
তপ্ত দিনের দুপুর বেলায়
হলাম রৌদ্র ছায়া
ভাবলেই তুমি... 'সত্যি' আমি
অথবা মোহ-মায়া!!
__________________________________
জানো রুদ্র ?
কি ?
বলেছিলাম না ... একটা কথা ...একদিন সময় হলেই বলব?আজ বলছি...আমার বুকের মাঝে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা মানুষটিকে আমি পেয়ে গেছি!!
তাই নাকি! ...
হাসতে হাসতে রাজ্যের বিষণ্ণতা রুদ্রের চোখে ভর করে ...
মাটির মাঝে কি রহস্য লুকিয়ে তা জানার জন্যে পায়ের বৃদ্ধা অঙ্গুলি দিয়ে মাটির বুক খত বিক্ষত করতে থাকে
কি হল! কথা বলছ না কেন ? শোনই না কি হল...একবার স্কুল থেকে ফেরার পথে রিক্সায় একদিন কেউ একজন একটা ঢিল ছুঁড়ে দেয় ... এসে লাগে এই যে ...কপালের এইখানটায়... কেটে কুটে কি বিচ্ছিরি কাণ্ড... রক্তে স্কুলের ইউনিফরম ভিজে যায় ... রক্তপাত আর চোখের পানিতে নিশ্চয়ই বীভৎস লাগছিল আমাকে ... আম্মু এত্ত ভয় পায় দেখে!... জানো ... কি হয়েছিল ?... আমাকেই শেষে আম্মুর জ্ঞান ফেরাতে হয় সেবা শশ্রুসা করে!! ...হা হা হা ... আমাকে ওই অবস্থায় দেখে আম্মু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছিল!
তারপর... কি হল ?
ওই দাগটা আর যায় নি জানো! ...চাদের কলঙ্কের মতো ওটা আমার জীবনে ও কলঙ্ক হয়ে রয়ে গেলো!
আমাকে দেখাও নি কেন !
বাহ রে ... আমরা সবাই তখন পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ... বাৎসরিক পরীক্ষা ... তুমিতো আরও ব্যস্ত... ক্লাস এর ফার্স্ট বয় ... তোমার কাছেই যাওয়া যায় না ... ওই ক্ষত তুমি দেখেও দেখনি!
আমি দেখেছিলাম অবন্তি! জিজ্ঞেস করিনি কারণ ...হতে পারে ওটা সম্পর্কে জানলে কষ্ট পেতাম তাই ...
উহু রুদ্র ... তুমি দেখতে পাওনি... এতো এতো মানুষের ভিড় তোমার চারপাশে ... আমার দিকে দেখার সময় ছিল কই ... যাই হোক ... যা বলছিলাম । কলেজে উঠে তুমি চলে গেলে অন্য কোথাও, বড় শহরে... ভালো ক্যারিয়ার তোমার সব সময়ের আরাধনার ছিল ... ব্যস্ত হয়ে গেলে ... আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম আমার জীবন নিয়ে ...আমাদের যোগাযোগও কমে গেলো ! আবিদ, আমার সাথেই পড়তো...ও হয়ে উঠল আমার তখনের সবচাইতে ভালো বন্ধু ! তোমার পর আর কেউ আমার এতো ভালো বন্ধু হয়েছিলো ... যাকে আমি অনেক কাছে আসতে দিয়েছিলাম ... বা দিতে চাইছিলাম ... হটাত এক সপ্তাহ আবিদের খোঁজ নেই! আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান । ওর কোন ফোন নাম্বার ও নেই । কেউ জানে না ও কই ।
ওর রুম মেট সেও নাকি বাড়ি গেছে ... অস্থিরতা ... আর আশঙ্কায় পাগল হচ্ছিলাম ...
হুম... তারপর ... খুঁজে পেয়েছিলে ?
হা হা হা ...
কি হলো ... হাসছ কেন!
দূরত্ব মানুষ কে কোথায় নিয়ে যায় ভেবে ... আমরা স্কুলমেইট ... তখন তো তুই করেই বলতাম...আর আজ তুমি তুমি ... হা হা হা ... দেখলে রুদ্র!
শুরুটা তুমিই করেছিলে অবন্তি !
কিন্তু , ভুলতো ধরিয়ে দেয়া যেত ... আচ্ছা থাক... বাদ দেও ...
হুম ... (অস্বস্তি কাটাতে রুদ্র উঠে হাঁটতে থাকে ... )
তারপর বল ,কি হলো?খুঁজে পেয়েছিলি আবিদকে??
হ্যাঁ ... ন'দিন পর ওদের এক বড় ভাই আমাকে বলল ওর মেস এ যেতে । পাগলের মতো ছুটে যাই । কোন বন্ধু না থাকার মজা আমি টের পেয়েছি আগেই ... আবিদকে হারাতে চাইনি তাই ... মেস এ গিয়ে এতো বড় শক পাব ভাবিনি !আবিদের সারা গায়ে ব্যান্ডেজ। কারা যেন ওকে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখেছিল! কিছুই বলেনি কে ওরা, কেনই বা এসব করছে । ওকে শুধু মেরেছে ।
মেস এর বড় ভাই ওকে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় ... এক সপ্তাহ ওখানে ছিল সে
কারা মেরেছিল কিছুই বলেনি??
বলেছিল রুদ্র । আবিদ আমাকে তখন তা বলেনি । জানি না কেন । ওর মাঝে কি জেদ চেপে গেলো ! বন্ধুত্তের যতটা দাবি ... ওর মাঝে হটাত করে বদলানো ভাব দেখলাম ... আমার সাথে অনেক বেশি বেশি করে সময় কাটাতে চাইত । ভালো লাগত ।
মায়া মায়া দুটো চোখ ছিল আবিদের। আটকে ফেলত ... আমি ও আটকে যেতাম হয়ত ...
হুম ... বল ...তারপর ?
বলছি ...এরপর হটাত কেন যেন একদিন তোকে খুজলাম অনেক ...বাসায় গেলাম । খালাম্মা তোর কথা বলল । তুই অনেক ব্যস্ত । বরাবরের মতো ।
মোবাইল ফোন নিয়েছিস শুনলাম ... অবাক হইনি । তোর কাছ থেকে নাম্বার যে পাব না জানতাম ... খালাম্মা একবার নাম্বার দিতে চাইল ...নিলাম না অভিমান করে...বাসায় চলে এলাম। সেদিন অনেক কাঁদলাম রুদ্র ... কেন কাঁদলাম তা জানি না ! বাইরে এতো বৃষ্টি হচ্ছিলো ... মন দুর্বল হয়ে পড়লো ... মনে হলো, তুই কেন বদলে গেলি... আমি এতো অসামান্ন্যা নই যে তোকে আটকাতে পারতাম কিন্তু আমার কোন কিছুই কি তোকে স্পর্শ করতে পারে নি কখনো!
হুম ... অবন্তি, শোন ...
আমার কথা শেষ হয়নি রুদ্র ... আগে আমি বলে নেই ?
বল ...
তোর দেয়া কলমটা ...আর একটা মৃত গোলাপ ... অনেক যত্নে ছিল অনেকটা দিন পর্যন্ত ... গোলাপটা শুকিয়ে গিয়েছিল যেভাবে আমার সব স্মৃতি তোর মন থেকে ...! বৃষ্টির পানিতে সেদিন সেটা ভাসিয়ে দিলাম ... আমি মুক্তি চাচ্ছিলাম ...তারপর হটাত মনে হল...এভাবে মুক্তি হবে না ... তুই যে রক্তে মিশে গেছিস... বিন্দুতে বিন্দুতে ... ফোঁটায় ফোঁটায় ... তোর দেয়া ফাউন্তেন পেন এর নিব সোজা শিরায় বশিয়ে দিলাম ... বয়ে যা তুই ... চলে যা ... মুছে যাবে সব স্মৃতি তাহলে ... আমি ও মুক্তি পাবো ...যখন ঘুম ভাংবে তোকে ভুলে যাব একেবারেই......তিন দিন পর , চোখ মেলে দেখি খালাম্মা পাশে বসে আছে আমার একটা হাত ধরে... আমি তখন ও হাস্পাতালে ... শুয়ে ... চোখের পানি আটকাইনি ... পারিনি জানিশ !... বাচ্ছাদের মতো কাঁদছিলাম ... মা আর খালাম্মা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল ... তুই সেদিন ও আসলি না রুদ্র ! বরারবরের মতো ! অনেক ব্যস্ত তুই ! ... জীবন গুছাতে ...তোর রেজাল্ট হল । স্ট্যান্ড করেছিস তুই । আরও উন্নতি ... আরও লক্ষ্য ... আরও সফলতা ... সব তোকে ডাকছে ...আবিদ স্টার পেল ৫টায় ...আমি পরীক্ষা দিলাম এই না ...
কেন দিলি না!কেন বোকামি করলি পাগলী!
বোকামি!!...হা হা হা হা ... ভালো বলেছিস ...
আরেকটা ঘটনা বলি তাহলে ...আমাদের বয়স যখন ৭ ... একবার ঈদ করতে নানু বাড়ি যাব ...তুই তো আমাকে ছাড়বিই না ... ঈদ করতে যেতে দিবি না ... আমার ও মন ছিল না ... তাও সবাই যাবে ... যেতে হবেই ... যাবার আগের দিন হবে বোধ হয় ...দুপুরে ... আমরা বরাবরের মতো মাটি দিয়ে পুতুল বানাচ্ছি...ভাঙ্গছি...খেলছি ... রোজকার খেলা আমাদের ... তুই সেদিন হটাত আমাকে চিলেকোঠার ঘরটায় নিয়ে গিয়েছিলি হাত ধরে টানতে টানতে ... মনে কি আছে রুদ্র ? একটু হলেও ?
হুম ... আছে ... সেরকম স্পষ্ট না ...
হা হা হা ... জানি মনে নেই ...!সেদিন তুই কি বলেছিলি ... সেটাও মনে নেই জানি ...
কি বলেছিলাম ...!
বলেছিলি ...
তুই আমাকে ছেড়ে একদিন ও থাকতে পারবি না ... আমি ... আমি ... তোর ছেলে পুতুলটার বউ !...
তোর ছেলে পুতুল ... যার নাম রেখেছিলাম আমরা, রুদ্র!
আর আমার মেয়েটার, অবন্তি!!
তোর এতো কিছু মনে আছে অবন্তি!
হুম ... সব ...
তোকে জড়িয়ে প্রতিটা মুহূর্ত ...যার মাঝে তুই বাস করিস ... সব মনে আছে ... থাকবে আজীবন ... ওই কথাটা বলা সেদিন ... সেটা তোর ভুল ছিল রুদ্র !
আর এরপর থেকে তোর জন্যে করা প্রতিটা পাগলামি...আমার ভুল ছিল ...
আমার জীবনের সব চাইতে মিষ্টি ভুল গুলো ...!!
রুদ্রের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল ...তুই ভুল করিসনি অবন্তি!ওই সব তোর ভুল না
শুনছি ...বলতে থাক ...
চুপচাপ শোন... শেষ করে নেই ...আমার,এ পর্যন্ত যতটা দিন দূরে থাকা ছিল...তোর কাছ থেকে ... আমি আসলেই তাতে বাস করিনি...আমি তোর মাঝেই ছিলাম...
সারা জীবন তোর মাঝেই আটকা পড়ে ছিলাম অবন্তি !
তোকে সেদিন ঢিল মেরেছিলাম আমিই ...
তুই?
হুম... কেন শুনবি?
কারণ তুই রনির সাথে বন্ধুত্ব করেছিলি...রনি... আমার একমাত্র শত্রু...আমি ব্যস্ত...এ সুযোগে তোর কাছে যেতে চেয়েছিল...সহ্য হয়নি আমার।
ব্যস্ত, তো কি হয়েছে?...আমি কি সব দেখতে পেতাম না?আমার নজর ঠিকই তোর দিকে থাকতো... ক্লাসের আর কারো দিকে কখনো ওভাবে তাকাইনি... যেভাবে তোকে দেখেছি ...
তাহলে তুই কেন রনির সাথে মিশতে গেলি?
অনেক রাগ হয়েছিলো যেদিন দেখলাম রনি তোর হাত ধরে তোকে রাস্তা পার করিয়ে দিচ্ছে ... রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি... হাতের কাছে ইটের টুকরো ছিল ...
মুঠোয় রেখে দেই ...
আর তারপর ...
ভুল করেছিলাম ...
তোকে আঘাত করা আমার ভুল ছিল। সেই হাত সেদিন চুলোর উনুনে পুড়িয়েছিলাম...আম্মু দেখে থাপ্পড় দেয় কষে...জানতেও চায় কেন এমন করছি...সেদিন বলিনি...
আমি না অবন্তি...
তুই দেখিসনি ...
না আমার শরীরের পোড়া দাগ ...আর না মনেরটা...
ভাবলাম তোকে শাস্তি দেবো, দূরে গেলে ঠিকই আমার কথা বুঝবি
আমার বউ...আমার কাছে ফিরে আসবে...পারিনি...
ফয়সালকে তোর পিছে লাগিয়ে রাখলাম...সব খবর ও দিত...দূরে যাওয়ায় তুই আরও স্বাধীন হয়ে গেলি!!!আবিদের সাথে ... কেন! কেন অবন্তি?? কেন তুই বুঝলি না আমার অভিমান ! আমি পড়াশুনায় মন দিতে পারছিলাম না। তোকে কি করে আবিদে থেকে দূরে সরাবো ... বুঝতে পারছিলাম না ...ফয়সালের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে মোবাইল নিলাম... প্রতি মুহূর্ত তুই আমার নজরেই থাকতে লাগ্লি...আমি প্লান করলাম... আরেকটা ভুল প্লান...১ দিনের ছুটিতে বাসায় যাব এটা বলে খালার কাছ থেকে চলে এলাম...
আবিদকে মারতে মারতে কেঁদেছি...অনেক কেঁদেছি ...ওর হাত...সেই বাম হাতটা ভেঙ্গে দিয়েছিলাম যা দিয়ে সে আমার বউয়ের চুল ছুয়েছিল ... তোর চুল সুন্দর এটা বলতে বলতে তোর চুলে সে ঠোঁট বুলিয়েছিল... আমি জানি... তার সেই ঠোঁটকেও থেঁৎলা করতে একটু ও বাধেনি আমার ... ওকে রাস্তায় ফেলে আসার সময় বলেছিলাম, আমার বউ থেকে দূরে থাক ... কিন্তু সে সেটা মানেনি ... তুই যে ওর কাছে গিয়েছিলি আবার সেটাও আমি শুনেছি ... সেদিন ভেবে নিলাম ... বোধ হয় আমার পরাজয়ই এটা ... আমিই তোকে আমার ভেবে এসেছি ...তুই আসলে আমার ছিলিই না কোনদিন ! তোর সুইসাইড এটেম্পট এর কথা শুনে অবাক হই ... সেদিনই রওনা দেই বাসায় ফিরতে ... মা অবাক হয় যে আমি কি করে জানি এসব ...মাকে তোর কথা বলি অবন্তি... সবই বলি...আমার ভালোবাসার কথা... আমার পুঁজোর কথা ... তুই যে আমার দেবী, যার প্রেমে...যার ধ্যানে ছিলাম বছরের পর বছর... মাকে আমিই পাঠিয়েছিলাম তোর কাছে ... মা তোকে ছেলের বউ করে নিতে সাগ্রহেই সেখানে যায় ... কিন্তু ... তুই একবার ও আমার কথা জানতে চাসনি। আমি যে তোর রুম এর সামনেই দাঁড়িয়ে কাটিয়েছিলাম তিনটা দিন, বেহুশ ছিলি... জ্ঞান ফিরল কিন্তু তুই একবার ও খুঁজিসনি আমায় ...!
কেন অবন্তি??কেন ??
কারণ , আমি তোর মুখ থেকে শুনতে চাইছিলাম রুদ্র!
এসবই আমি জানি !!
কিন্তু অনেক অভিমান হতো ... যেদিন আবিদের কাছে শুনলাম ওরা ছিল দুজন মানুষ ... আর যাদের মাঝে একজন , যে ওকে বলেছিল ...''আমার বউ থেকে দূরে থাক'' ...!!! তখন আমি এতো অবাক হয়েছিলাম...নিজের কানকে বিশ্বাস হয়নি... আমি...আমি বুঝে গেলাম ...কে এবং কেন আবিদকে মেরেছে কেউ ...তারপর ও চাইছিলাম তুই এসে সামনে থেকে সব স্বীকার কর, আমার ভুল ভাঙ্গিয়ে দে এসে ...তুই আশিসনি......বুঝলাম বোকা তুই, আসবি না... সেদিন ওইভাবে রাগ করে তোর দেয়া ফুল ফেলে দিলাম...নিজেকে আঘাত করলাম ... কিন্তু ব্যর্থ হলাম এতকিছুর পর ও !!
তবে এরপর আমি আর কখনো আবিদের সাথে যোগাযোগ রাখিনি! ...
কিন্তু তোর উপর অভিমান সেটাও কমেনি ...
তুই একবার ও আমার কাছে এলিনা ... কিছু বললি না ... একটা বার এসে হাত ধরতে পারতি তো । তাই না ?? মুখে কি বলতে হতো?? আমি কি বুঝে নিতাম না রুদ্র !!!
অবন্তির কান্নার শব্দে রুদ্র ছুটে এসে ওকে কোলে তুলে নেয় ...
কপালে ঠোঁট দিয়ে সেই প্রথমবার পরম মায়ায় ভালোবাসা একে দেয় ...
রুদ্র আর অবন্তি ... আর ওদের ভালোবাসা ... এভাবেই ওদের দীর্ঘ দিনের অভিমান ভেঙ্গে পড়ে চিরদিনের জন্যে !
হটাত মেঘ গুরগুর শব্দে ভালোবাসার বৃষ্টি ঝড়তে থাকে দুটা পাগলাটে, ভীষণ অভিমানী মানুষের উপর ...
এ বৃষ্টি হল ভালোবাসার পূর্ণতার বৃষ্টি ! ! !
______________________________
০৭/০৭/২০১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।