আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাণ বাঁচাতে প্রাণপণ

লিখে খাই, সবার ভাল চাই পৃথিবীতে মায়ের কাছে সন্তান বড় নাকি প্রাণ বড়। এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা দু’ভাগ। এক পক্ষ বলছে মায়ের কাছে তার সন্তানই বড়। অন্য পক্ষ বলছে, না সবার কাছে প্রাণই বড়। মৃত্যুর সময়ও সবাই চায় পৃথিবীতে আরও ক’দিন বাঁচতে।

প্রাণ বড় বলেই এমনটা করে সবাই। এ অবস্থায় সন্তানের চেয়ে প্রাণই মায়ের কাছে বড়। তুমুল বিতর্ক এ নিয়ে। শেষমেশ সিদ্ধান্ত হলো বিষয়টির প্রমাণ করতে হবে। কিভাবে? তা-ও বের করা হলো।

আনা হলো এক বানর ও তার ছানা। খোলামেলা জায়গায় বানানো হলো একটি চুলা। এতে বসানো হলো বিশাল সাইজের এক কড়াই। এতে ঢালা হলো তেল। নিচে দেয়া হলো লাকড়ির আগুন।

এ তেলে ছেড়ে দেয়া হলো বানর ও তার ছানা। আগুনের তাপে গরম হচ্ছে তেল। দেখা গেল একপর্যায়ে বানর তার বাচ্চাকে কোলে তুলে নিলো। তেল যতই গরম হচ্ছে বানর নড়ে চড়ে বসছে। একটু পর আবার বাচ্চাটিকে কাঁধে তুলে নিলো।

এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর মা বানর তার বাচ্চাকে হাতে নিয়ে উপরে তুলে ধরলো। এ দৃশ্য দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেখ দেখ প্রাণের চেয়ে সন্তানই মায়ের কাছে বড়। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই দেখা গেল মা বানরটি বাচ্চা বানরটিকে একেবারে পায়ের নিচে রেখে তার ওপর দাঁড়িয়েছে। নিজে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। এতে প্রমাণিত হলো শেষ পর্যন্ত নিজের প্রাণই বড় সবার কাছে।

দেশের এ অবস্থায় সব মানুষই এখন তার প্রাণ নিয়ে চিন্তিত। যেভাবে সড়ক-মহাসড়কে গাড়িতে দেয়া হচ্ছে আগুন, বিস্ফোরণ হচ্ছে বোমা, ককটেল, অপরদিকে পুলিশ করছে নির্বিচারে গুলি। পাখির মতো মরছে মানুষ। আগুনে ঝলসে যাচ্ছে নিরীহ সব যাত্রী। অসহায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরুতেও এখন ভয় পায়।

যদি কোন না কোন পক্ষের আক্রমণে অবশেষে প্রাণটাই যায়। এমনিতেই ১৬ কোটি মানুষের দেশে নানা সমস্যা। পাহাড়সম সমস্যার বেড়াজালে আটকে আছে সব কিছু। এর মধ্যে চলছে নানা খেলা। কে যে কোন দিকে চাল দেয় কেউ বুঝতে পারে না।

এ চালে কেউ ধরা খায়। কেউ বা বিজয়ের হাসি হাসে। কিন্তু আমজনতার তাতে কি? তারা তো যেমনটি ছিল তেমনটিই রয়ে গেছে। তাদের বলার আর জায়গা নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার এই লড়াইয়ে বার বার বলি হয় সাধারণ মানুষ।

প্রাণ বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেও আমজনতা নিজেকে বাঁচাতে হচ্ছে ব্যর্থ। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও কি এ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারছি না। কেন? কি কারণে এমনটা হচ্ছে? দেশটা তো সবার। সবাই মিলে কেন দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারছি না। প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যেমন বঙ্গভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ।

বিরোধী মতের হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি তথা ১৮দলীয় জোট প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পালন করেছে তিন দিনের শোক। এমন দৃশ্য তো আমরা সব সময় দেখতে চাই। জনগণ প্রত্যাশা করে এমন চিত্রের। সব জায়গায় বলাবলি হচ্ছে এমনটা কেন আমরা সবসময় পারি না।

কেন আমাদের সবসময় প্রাণ নিয়ে চিন্তা করতে হয়। রাজনীতিবিদরা কি বিষয়টি নিয়ে ভাববেন? ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.