আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদগন, হরতাল না মানাটাও কিন্তু আমার গনতান্ত্রিক অধিকার। সুতরাং জ্বালানো বন্ধ করেন

জনতার সংগ্রাম চলবেই Well, হরতাল গনতান্ত্রিক অধিকার। হরতাল ডাকাটা যদি কোন রাজনৈতিক দলের গনতান্ত্রিক অধিকারই হয়ে থাকে তবে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে সেই হরতালে সাড়া দেয়া বা না দেয়াটাও আমার গনতান্ত্রিক অধিকার। আমার ইচ্ছা হলে সমর্থন করবো না হলে করবো না। কিন্তু এদেশে সাধারণ নাগরিকের কোন ইচ্ছা অনিচ্ছা নেই। যে রাজনৈতিক দলই হরতাল ডাকুকনা কেন,পালন আপনাকে করতেইই হবে।

না মেনে রাস্তায় বের হবেন? গাড়িতে উঠবেন? গাড়ি তো জ্বালানো হবেই সাথে আপনাকেও। পেট্রোল ঢেলে। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের “এককিলোমিটার” এলাকায় এমনটিই ঘটেছে। ইজিবাইক চালককে থামিয়ে প্রথমে বাইক এবং পরে চালকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে। কি দোষ ছিলো তাঁর? গতকাল ঢাকায় পিকেটার দের ধাওয়ায় অটোরিক্সা উল্টে গিয়ে এক অন্তঃসত্বা নারী আহত হয়েছেন।

ভাবা যায় সেই মহিলাটির কি অবস্থা হতে পারে? এরকম হাজার হাজার নৃশংস ঘটানা খুজে বের করা করা যাবে যেগুলোর কারণ শুধুমাত্র হরতাল। শুধু যে বিএনপি জামাতই করে তা না, আওয়ামীলীগও। এ দৌড়ে কেও কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। অথচ সুট-টাই, মুজিব কোট পড়া রাজনীতিকেরা গরম গরম বুলি ছাড়েন, তাঁরা সবসময় গরীব-দুঃখী সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। সেই মানুষ দের জন্যই রাজনীতি করেন।

হুমম..করেন কঁচু। ’৭১ রে এদেশ স্বাধীন করার পেছনে মুল কারন ছিল শোষিত, নীপিড়ীত দরিদ্র শ্রেনীর মানুষদের মুক্তি, অত্যাচার আর বৈষম্য দুর করা। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে , মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রায় ৮৭ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাই ছিলো সেই দরিদ্র মানুষগুলোই। ঘামে ভেজা সেই কৃষক শ্রমিকরাই নেংটিবেধে আগে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন । সুট প্যান্ট পড়া বাবুরা গেছেন পরে।

বাবুরা তখনো নেতৃত্বের কাতারে ছিলো, এখনো আছে। মাঠে থেকেছে কৃষক শ্রমিকেরাই। কিন্তু হায়,৪২ বছরেও তাঁদের ভাগ্যের যে আর পরিবর্তন হয়নি। যে লাউ সেই কঁদুই রয়ে গেছে( তবে এই সময়ের মধ্যে রাজনীতিকদের ঘাড় মোটা হয়েছে ঠিকই)। পার্থক্য শুধু একটাই, ’৭১রের আগে শোষকশ্রেনী ছিলো পাকি রাজনীতিকেরা, ’৭১রের পরে দেশীয় রাজনীতিকেরা।

চিরকালই কি এ শ্রেনী শোষিত হতে থাকবে? রাজনীতিকদের গোলামী করে যাবে? আমি নিকুচি করি এই নষ্ট রাজনীতির। এই নামের গনতন্ত্রের কোন দরকার নেই।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.