আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ কায়কোবাদ স্যার, অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় ???

শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ কায়কোবাদ সার আপনাকে আমি অনেক সম্মান করি সেই সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার লেখারও ভক্ত আমি। কিন্তু আপনি আজ যে লিখাটি প্রথম-আলোতে লিখলেন সেটি আমার কাছে মনে হলো আপনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়েছেন। সমস্যাটার মূলে না গিয়ে আপনি লিখলেন "জিপিএ সিস্টেমের মাধ্যমে সারা দেশে যে গ্রেডিং স্ফীতি হচ্ছে, তা জাতিকে মেধাশূন্য করছে" কিন্তু উন্নত বিশ্বের সকল দেশেই তো জিপিএ সিস্টেম আছে, কৈ সেই সকল দেশতো বাংলাদেশের মতো মেধাশূন্য হচ্ছে না। তাহলে আমাদের দেশের সমস্যাটা কি? আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগের কথা বললেন। আমরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছি "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক, খ ও গ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারীদের ২০১০, ১১ ও ১২ সালে অনুত্তীর্ণের হার যথাক্রমে ৫২, ৫৩ ও ৫৫ শতাংশ।

" --->আমার একটা প্রশ্ন আপনাকে, গত ৩ বছরে কি বংলাদেশ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট কমিয়েছে নাকি সামান্যতম হলেও বাড়িয়েছে ক্রমান্বয়ে? উত্তটা আমিও আপনাকে দিচ্ছি, সরকার গত ৩ বছরে সামান্য হলেও কিছু বাজেট বাড়িয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। --->আমাদের দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজগুলোতে কি Harvard or MIT থেকে পাস করা গ্রাজুয়েটদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছি কি ? ---> যদি না হয়ে থাকে তবে কিভাবে ৩ বছরের মাঝে ছাত্র-ছাত্রী পাসের হার ৭০% থেকে ৮৬% এর উন্নীত হলো কিভাবে? ---> কিভাবে একটা অজ পাড়া-গায়ের স্কুলের শতকরা ৮০~৯০% ছাত্র-ছাত্রীরা গণিতে ও ইংরেজীতে পাস করতেছে? আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশের একজন সচেতন নাগরীক হিসাবে এর পিছনের কারণটা আপনার না জানা থাকার কথা না। কারন গনিত অলিম্পিয়াডার কারণে দেশের সকল অংশের শিক্ষদের সাথে আপনার কথা বলার সুযোগ হচ্ছে। তাই আমি বিশ্বাস করি যে আপনি খুব সচেতন ভাবে আসল সমস্যাটি এড়িয়ে গেলেন আপনাদের পছন্দের মানুষ শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ ও তার সরকারকে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচাতে। --->আপনি পুরো লেখাটার মধ্যে একবার ও উল্লেখ করলেন না কেন গত ৩ বছর ধরে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি-বেশি করে নম্বর দেওয়ার জন্য? --->কেন ২২ নম্বর পাওয়া একটা ছাত্রকে ১১ নম্বর গ্রেস দিয়ে পাস করানোর নির্দেশ দেওয়া হবে? স্যার আপনাকে তরুণ প্রজন্মের আমরা খুবই শ্রদ্ধা করি।

গণতান্ত্রিক দেশে আমাদেরকে কোন না কোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতেই হয়। কোন কোন রাজনৈতিক দলকে অন্যটির চেয়ে একটু বেশি ভাল লাগতেই পারে। তাই বলে কি পছন্দের সেই রাজনৈতিক দলটির ভুল ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি বিচার-বিবেচনা ছাড়াই মেনে নিব? তাহলে আপনার ও একজন অশিক্ষিত দলীর সমর্থকের মাঝে পার্থক্য কি? আমরা চাইনা আপনিও অন্যান্য বুদ্ধিজীবীর মত কোন রাজনৈতিক দলের কাছে মাথা বন্ধক রাখেন। দেশে গণিত অলিম্পিয়াড চালু করে তরুণ প্রজন্মেকে চিন্তা করতে শিখিয়েছেন তার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আপনার ও জাফর ইকবাল স্যারের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে। তাই আপনার কাছে অনূর্ধ্ব স্যার দয়ে করে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে গ্রেস দিয়ে পাসের হার বাড়নো ও হালকা ভাবে পরীক্ষার খাতা দেখে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ানোর এই দুর্নীতির সমালোচনা করুন।

স্যার দয়াকের আমাদের দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.