সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা ইসলামের বিরোধীতা করাটা ব্লগে একটা ফ্যাশন। যারা এই ফ্যাশনে আচ্ছন্ন তাদের একজন সাংবাদিক/উপন্যাসিক আনিসুল হক। আজ তাকে নিয়ে লিখেছে আমার দেশ। আমি প্রতিদিন প্রথমআলোকে প্রাধান্য দিয়ে যে আটটি পত্রিকা পড়ি ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য তার মধ্যে চরম ডানপন্থী পত্রিকা বাংলাদেশপ্রতিদিন, কালের কণ্ঠ ও আমার দেশ। আজ আমার দেশে আনিসুল হকের ইসলাম বিদ্বেষটা তুলে ধরা হয়েছে।
আনিসুল হক হালকা ধরনের লেখক বলেই মনে করি। যারা হালকা ধরনের লেখক তাদের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষটা ফ্যাশনের মতো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন না। শামসুর রাহমান হয়তো নাস্তিক ছিলেন কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী নন; আল মাহমুদ হয়তো ইসলামী-আস্তিক কিন্তু হিন্দু বিদ্বেষী নন। কিন্তু কিছু ব্লগার, যাদের পড়াশোনা অল্প, তারা নিজেদের নাস্তিক ভাবেন আর ইসলামের বিরোধীতা করেন।
এরা কেউই পড়াশোনা জানা লোক নন, হালকা এবং অর্বাচিন। একজন নাস্তিক কখনোই একটি ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে না। একজন ধর্মহীনও তা করে না। নাস্তিক করে না তার গভীর শিক্ষার জন্য আর ধর্মহীন করে না ধর্ম নিয়ে তার আগ্রহ নেই বলে। ইলমাম বিরোধীতা যারা করে তারা কি জানে তাদের হিন্দু বন্ধুরাও হিন্দু ধর্ম পালন করে ঠিকই।
দেশে বহু মুসলিম রয়েছেন যারা ধর্ম চর্চায় উদাসীন, আনুপাতিক হিন্দুরাই বেশি ধর্মচর্চা করে। এটা গবেষণা নয়, চাক্ষুষ দর্শন থেকে বলছি। আমার প্রগতিশীল হিন্দু বন্ধুরা পুজায় অংশ নেয় ব্যাপকভাবে। কিন্তু প্রগতিশীল মুসলীমরা ভাবে নামাজে অংশ নিলে লোকে মৌলবাদী ভাববে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।