আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ঃ আওয়ামীলীগ ও জামাত আবার এক!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির গোপন বৈঠক : বিএনপিতে তোলপাড় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র দাবিদার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অতিগোপনে অভিযুক্ত জামায়াতের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে। আর এতে তারা বিদেশিদের সহায়তা নিচ্ছে। এবার জামায়াতকে ম্যানেজ করতে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থা ভারপ্রাপ্ত রাষ্টদূতের সহায়তায় তার গুলশানের বাসায় জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিন নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। আওয়ামী লীগের সাথে ১৮ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতের ‘এই গোপন বৈঠক’ এর খবরে বিএনপিতে তোলপাড় চলছে।

শুধু বিএনপিতেই নয় জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও এ বৈঠক নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যেও তোলাপাড় চলছে। বিএনপির আশঙ্কা, এ সমঝোতা মূলত বিএনপিকে বাইরে রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার নীল নকশা। রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর রয়েছে, চাপে ফেলে জাতীয় পার্টিকেও এই পথে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। বিএনপির একাধিক নেতার আশঙ্কা তাদের শরীক দল জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলনের বুকে ছুরি মেরে সরকারের সাথে সমঝোতা করতে পারে।

১৯৯৬ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাটছড়া বেধে জামায়াত বিএনপিকে হেনস্থা করেছে। আবার জামায়াত সেই পথেই হাঁটছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অতিগোপন এই বৈঠকের পর জামায়াতের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বিএনপি। গত সোমবারই জোটের প্রধান নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এ খবর জানতে পেরেছেন। শরীক দলের এই ভূমিকায় তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র একনেতা বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের আঁতাত বা সমঝোতা নতুন কিছু নয়। ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগ পারে না হেনো কোনো কাজ নেই। ঠিক একইভাবে নিজেদের প্রয়োজনে জামায়াতের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তাদের অতীত বিশ্লেষণ করে সতর্কতার সাথে সামনের দিকে এগুচ্ছে বিএনপি। সূত্রমতে, গত ৭ জুলাই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জন ড্যানি লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ ও জামায়াতরা।

গুলশানে রাাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীসহ আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টাসহ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল¬াহ মোহাম্মদ তাহের ও এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন। সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, জন ড্যানি লুইসের দেয়া চায়ের দাওয়াতে তারা উপস্থিত হন। পরে তারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচার, জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়।

তবে মুখ্য বিষয় ছিলো আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের সমঝোতা। এদিকে গত সোমবার রাতে ওই রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে নৈশভোজে অংশ নেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তার দলের মহাসচিব রুহুল আমি হাওলাদার, এফবিসিসিআিই-এর সাবেক সভাপতি একে আজাদসহ প্রভাবশালী কয়েক ব্যাসায়ী। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় ছিলো মুলত মিডিয়ায় : বহুল আলোচিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই জোটের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হলেও ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জামায়াতের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নের মুখে। তারা মাত্র লিখিত সমর্থন জানিয়েছিলো। মাঠে তাদের কোনো প্রচারণা ছিলো না।

এই দাবি করেছে ওয়ান ইলেভেনেও ছিলো রহস্যে ঘেরা : জোট করেছে, ক্ষমতার পূর্ণ স্বাদ নিয়েছে কিন্তু পট পরিবর্তনের পর পাল্টে যায় এই জামায়াত। বিএনপি নেতাদের একেরপর এক গ্রেফতার, মামলা, সাজা ও কারাবন্দি করে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সময় জাতায়াতের নেতারা বলেছিলো- দুর্নীতি বা দুর্নীতিবাজদের পক্ষে নেই জামায়াত। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব (এখন ভাইস চেয়ারম্যান) তাকের রহমানকে যেদিন গ্রেফতার করা হলেও ওইদিন কোনো বিবৃতি দেয়নি এই জামায়াত। তৎকালে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাব জেলে তার আইনজীবী হয়েও খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে পারেননি।

কিন্তু জামায়াসের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহমাস মুহাম্মদ মুজাহিদ সরকারের সাথে সমঝোতা করেই খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও খালেদা জিয়ার সাথে কারাগারেই বৈঠক করান। সাথে তিনিও ছিলেন। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অনিচ্ছুক ছিলো। কিন্তু জামায়াতের কৌশলে পড়ে তাতে অংশ নিতে হয়। এর আগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান গুলশানে সাক্ষাতকালে নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দেন।

ওই সময় খালেদা জিয়া তাকে (কামারুজ্জামান) বরেছিলেন, আমি তো তিনটি আসনেই জিতবো, আপনি কি আপনার আসনে জিতবেন? সর্বশেষ সমঝোতার দৃশ্য মেলে মতিঝিলের শাপলায় পুলিশ পাহারায় জামায়াতের মিছিলে। ওইদিন শিবির নেতাকর্মীরা মহাজোট সরকারের মারমুখী পুলিশকে ফুল দিয়েছিলো। ক্ষুব্ধ জাতায়াতের মাঠ পর্যায়ের নেতারাও : দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের নির্যাতন সহ্য করছে সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এককভাবে নয় কোনো কোনো নেতার পরিবারকেও সরকারের নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের সাথে সমঝোতেক তারা মেনে নিতে পারছে না।

সূত্রমতে, হাইকমান্ডের এমন পদক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ফোনও করেছেন জেলা-উপজেলা ও মহানগর নেতারা। ইনকিলাব স্থানীয় সময় : ০১৪৭ ঘণ্টা, ১০ জুলাই, ২০১৩ Click This Link ****************** তখন শাহবাগ জাগরণ মঞ্চ নিয়ে হুজুগ। যার অন্যতম দাবী ছিল বাংলাদেশে জামাতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু কথায় বলে "বার হাত কাকড়ের তের হাত বীচি"! হাম্বার দল বলে কি বিএনপি জামাতকে আশ্রয় দিয়েই চলেছে। বিএনপির জন্য জামাত এখনও টিকে আছে।

মাঝে মাঝে ঝাড়ির চোটে সত্য-মিথ্যা হলেও ভাল মানুষ দ্বিধা দ্বন্দে পড়ে যায়। অথচ হাম্বা বলদরা এটা তার দলকে বলে না যে কেন ২৭০টার বেশী সংসদীয় আসন নিয়েও আমরা জামাতকে নিষিদ্ধ করছি না। হাসিনা ও তার আলীগ চাইলেই জামাতকে নিষিদ্ধ এক মুহুর্তের ব্যাপার। অথচ শাহবাগের মুখোশে আওয়ামী-বাকশালী গং সেই ঘুরে ফিরে কিভাবে বিএনপিকে অপবাদ দিবে সেই ধান্ধায় মশগুল। তাদের ভাবখানা এমন জনগণকে ধোকা দিয়ে বলবে "চিলে আপনের কান নিয়ে গেছে, আসেন চিলকে ধাওয়া করি......" এর জন্য একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম; Click This Link যথারীতি ব্লগের হাম্বালীগারদের হানা।

কি চোটপাট। যতনা নিজ দলকে বলবে তারচেয়েও বিএনপিকেই দোষারোপ যে জামাতকে কেন জোট থেকে বের করে দেয় না। তারপর গত মাস ও এই জুলাইয়ে টানা ৫টি শহড়ের মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হয়ে হাসিনা ও তা আলীগ দিশেহারা হয়ে উন্মাদ হওয়ার জোগাড়। কারণ বড় শরিক দল জাপার ভোট ব্যাংকতো দূর নিজ সমর্থকদেরও পুরো সমর্থন পায় নাই। সিংহভাগ জনগণ আগেই জানত যে শাহাবাগ হল আলীগেরই একটা নতুন ধোকা।

এখন যখন মেয়র নির্বাচন গুলোতে ধরা খেল তখন যেন কিছুটা হুশ ফিরে পেল। এতকালের শত্রু সেই জামাতের পায়ে ধরার জোগাড় হয়েছে হাসিনার আওয়ামীলীগের। তাই হাসিনার উপদেষ্টা রিজভীকে দিয়ে জামাতের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে। এই কারণেই জামাতের নেতা রাজ্জাকের সাথে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এটাকে আমি কোন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত বলব না।

স্বাধীন ভাবে এই দেশে যেকোন রাজনৈতিক দলের জোট করার অধিকার আছে। তাই আমরা ১৯৮৬-৯০ এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৯৪-৯৬ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে জামাত ও আলীগ পুরো এক হয়ে কাজ করছে। স্রেফ বিএনপিকে সমর্থনের জন্যই হাসিনা ও আলীগের রোষানলে পড়ছে জামাত। তাই যুদ্ধাপরাধী থুক্কু মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ইস্যু আসছে। এখন এটাও যখন হালে পানি পাচ্ছে না তাই হাসিনা গংদের জামাতের সাথে সমঝোতা করতে মরিয়া ভাব দেখা যাচ্ছে।

সবই হইল ক্ষমতার লোভ। এতদিন আঙুর ফলকে টক বলে এখন আবার সেটাকেই মিষ্টি বলতে বিন্দুমাত্র দেড়ী করবে না আলীগ। জামাত আসলে আলীগের জন্য ছুতা মাত্র আসল লক্ষ্য বিএনপিকে ক্ষমতা হতে দূরে রাখা। তবে আলীগের বিশেষ করে অন্ধ সমর্থকদের খুশী হওয়ার কারণ নাই। প্রকৃত পক্ষে যেমন এরশাদ হাজার চেষ্টা করেও গাজীপুরের মেয়র নির্বাচনে নিজের দেড় লক্ষ সমর্থক ভোটারকে আজমতের পক্ষে আনতে পারে নাই(কারণ জাপার এই সমর্থকগণ অন্ধ বা বিবেকহীন নয়) তেমনি জামাতের নেতারা আলীগের পক্ষে গেলেও তার সিংহভাগ সমর্থকরা সেই বিএনপিকেই বেছে নিবে।

এক্ষেত্রে হাসিনার ট্রাম্প কার্ড হল এরশাদ ও জামাতী নেতাদের জেল-ফাসীর ভয় দেখানো। মাঝখান দিয়ে আলীগ আবার প্রমাণ করবে যে তারাই আসলে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান, প্রতারক। একমাত্র আলীগের অন্ধ, বিবেকহীন সমর্থকরাই হাসিনার এই খাড়ার উপর পল্টিকে চিরকাল সমর্থন করেই যাবে। মনে হবে হাসিনা আসলে কত্ত ভাল!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.