আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্যান্সার চিকিৎসায় এবার শরীরচর্চা

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক ক্যান্সার চিকিত্সায় আজকাল কেমোথেরাপির পাশাপাশি খেলাধুলা তথা শরীরচর্চা অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রমকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আশির দশকের শেষে নতুন ধরনের এক উদ্যোগ হিসেবে ‘ক্যান্সার স্পোর্টস গ্রুপ’ গঠিত হয়। সেই সময় ক্যান্সার চিকিত্সায় খেলাধুলা কতটা কাজে লাগতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আজ এটা স্বীকৃত যে, খেলাধুলা ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য ইতিবাচক। খেলাধুলা বা কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্ত মানুষদের আয়েশি মানুষদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিত্সক সমীক্ষার মাধ্যমে এই ফলাফল পেয়েছেন। বিশেষ করে স্তন, মলাশয় ও প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে তাদের। মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া বিষয়ক চিকিত্সক মার্টিন হালে এ প্রসঙ্গে বলেন, পেশিকে সক্রিয় রাখাটাই হলো আসল বিষয়। এর একটা প্রভাব পড়ে শরীরের রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও রোগ সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া ও উপাদানের ওপর। এর ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করেন, তাদের মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এক-চতুর্থাংশ কমে যায়। এ জন্য বড় মাপের খেলোয়াড় হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন আধঘণ্টা হাঁটা বা ৪৫ মিনিট সাইকেল চালানোই যথেষ্ট। সপ্তাহে কিছুটা সময় একটু ঘর্মাক্ত হলেই চলবে। হাঁটার বদলে প্রতিদিন আধঘণ্টা দৌড়ালে মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

এছাড়া কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও হাঁটাচলা উপকারে আসতে পারে। হেলগা রিড’রও কাজে এসেছিল শারীরিক তত্পরতা। আড়াই বছর আগে স্তনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তার ভাষায়, কেমোথেরাপির পাশাপাশি আমি খেলাধুলাও চালিয়ে গিয়েছি। বলা যায়, সকালের দিকে কেমোথেরাপি বিকালে শরীরচর্চা—এই ছিল রুটিন।

হেলগা রিড সঠিক থেরাপি বেছে নিয়েছিলেন। শারীরিক তত্পরতা প্রচলিত থেরাপিকে সহায়তা করে। ক্রীড়া চিকিত্সক মার্টিন হালে অবশ্য এ ব্যাপারে শুরুতে সন্দিহান ছিলেন। তার ভাষায়, প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল যে, রোগীরা এমনিতেই কেমোথেরাপি নিয়ে কাহিল, তার ওপর আরও চাপ দেয়াটা কী ভালো? কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম, কায়িক শ্রম রোগীকে সাহায্য করে। সেটা অল্পস্বল্প হলেও।

এ ক্ষেত্রে রোগীদের একটা অনুভূতি হয় যে, আরোগ্য লাভের জন্য নিষ্ক্রিয়ভাবে শুধু কেমোথেরাপি নেয়া নয়, সক্রিয় হয়ে নিজেরাও কিছু করতে পারছেন। হাঁটাচলা বা খেলাধুলা রোগীদের শরীরের প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ডা. মার্টিন হালে বলেন, এর ফলে রক্তকোষের পুনরুজ্জীবন ত্বরান্বিত হয়। কেমোথেরাপিতে দেখা দেয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন যন্ত্রণা বা ডায়রিয়া হয় খুব কম কিংবা এসব উপসর্গের তীব্রতা হ্রাস পায়। রোগীদের জীবনের গুণগত মানও বৃদ্ধি হয় এতে।

এসব কারণে এখন ক্যান্সারের চিকিত্সায় কেমোথেরাপির পাশাপাশি খেলাধুলা বা শরীরচর্চাকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হেলগা রিড জানান, আমি নিজের জন্য এটা করি। শরীরচর্চার ইচ্ছা আমার আগেও ছিল। ক্যান্সার যাতে আর ফিরে না আসে, সেজন্য এই আগ্রহ আরও জোরালো হয়েছে। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.