আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রিজ কেন ফ্রিজ?

Shams বহুল প্রচলিত একটা কৌতুক বলি : দুই দেশের দুই অসৎ যোগাযোগমন্ত্রীর মধ্যে গোপন আলাপ চলছিল। ইউরোপের কোন এক দেশের যোগাযোগমন্ত্রী তার দেশের একটি ব্রিজের ছবি দেখিয়ে বললেন, এটার বাজেট ছিল ২০ কোটি টাকা। কিন্তু আমি ১৫ কোটি টাকায় বানিয়ে বাকিটা হজম করেছি! এরপর তৃতীয় বিশ্বের এক উন্নয়নশীল দেশের যোগাযোগমন্ত্রী একটি নদীর ছবি দেখিয়ে বললেন, এখানে ব্রিজ বানানো বাবদ বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা। 'কোথায় ব্রিজ? আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ' তিনি মুচকি হেসে বললেন, ব্রিজ থেকে আমার আয় হয়েছে পুরো ২০ কোটি টাকা! আমাদের স্বভাবই হল সবকিছুর মধ্যে পলিটিক্স নিয়ে আসা।

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের উৎস খোঁজা। ভাবমূর্তির জন্য হার্ট অ্যাটাক করা। আরে ভাই ভাগবাটোয়ারা তো চলে সব জায়গায়। যেমন বল্টু ও হাবলু এক দোকান থেকে একটা পিৎজা কিনেছে। তারপর বল্টু পিৎজাটিকে দুই ভাগ করে বড় টুকরাটা নিজেই নিল।

এটা দেখে হাবলু বলল, 'এটা তুই কী করলি? নিজেই ভাগ করলি আবার নিজেই বড় টুকরাটা নিয়ে নিলি!' বল্টু বলল, 'তুই হলে কী করতি?' হাবলু জবাব দিল, 'আমার চোখের চামড়া আছে, আমি ছোট টুকরাটাই নিতাম। ' বল্টু বলল, 'আমিও তো তাই করলাম। তোকে তো ছোট টুকরাই দিলাম। ' ভাগবাটোয়ারা বা কমিশন নিয়ে যখন এত কথা উঠেছে। গোপাল ভাঁড়ের একটা গল্প শোনায়; গোপাল যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি।

মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না। ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে।

হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, "হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা দান করতে পারি। " আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে।

খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বাগত বলে উঠল, আমাকে তোমার বিশ্বাস হল না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?!?" যুগটাই হয়ে গেছে এমন ভাগবাটোয়ারা_ কমিশন চলে সব জায়গায়। যদি কমিশন দেয় যায়, ২ আর ২-এ ৪ নয়। যা ইচ্ছা তাই হয়। যেমন ধরেন এই চুটকিটা_ চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেল এক গণিতবিদ, একজন পদার্থবিদ ও এক ইঞ্জিনিয়ার। ইন্টারভিউ বোর্ডে একটি প্রশ্ন শুনে ইঞ্জিনিয়ার বাদে দু'জনই ঘাবড়ে গেলেন! প্রশ্নটি হল, একের সঙ্গে এক যোগ করলে কত হবে? গণিতবিদ টাকে হাত বুলিয়ে বললেন, 'এটি দ্বিঘাত সমীকরণের আরেক রূপ হলে দুটো উত্তর থাকবে।

সেক্ষেত্রে আগে সমীকরণটি গঠন করতে হবে। ' পদার্থবিদ বললেন, 'এক বস্তুর সঙ্গে আরেক বস্তু তাপ দিয়ে জোড়া দিলে চূড়ান্ত বস্তুটির প্রসারণ ঘটে। একইভাবে এ দুটি সংখ্যাও জোড়া লাগানোর পর ফলাফলে প্রসারণ ঘটতে পারে। কিন্তু তা নির্ণয়ের জন্য আগে প্রসারাংক জানতে হবে। ' আর ইঞ্জিনিয়ার এই প্রশ্ন শুনে প্রশ্নকর্তার কানে মুখ লাগিয়ে হাসিমুখে ফিসফিসিয়ে বললেন, 'একের সঙ্গে এক যোগ করে আপনি কত হওয়াতে চান, স্যার? আপনি যা চাইবেন তা-ই হবে!' এবার বলুন তো চাকরিটা কার হল? সঠিক উত্তর যে দিতে পারবে তার জন্য রয়েছে আপকামিং মেট্রোরেলের একটি হাফ টিকিট।

আর যে পাবেন না তার জন্য সচিবালয় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত লোকাল-সিটিং বাসের পুরো টিকিটের বান্ডিল। আর যে মনে করবে যে উপরের প্রশ্নটি করা হয়েছে কার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য তার জন্য এই কৌতুকটা : মা দেখল ছেলে গাল চেপে ধরে কাঁদছে। মা বলল : কিরে কাঁদিস কেন? ছেলে : বাবা দেয়ালে পেরেক মারতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পেয়েছে। মা : তো এতে কাঁদার কি আছে? বাবা বড় মানুষ না, এটুকু ব্যথায় তার কিছু হয়? ছেলে : আমি তো প্রথমে হেসেই ছিলাম সে জন্যই তো বাবা আমাকে...। আবার যাদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে তাদের জন্য এ জোক্সটা: এক প্রবীণ শান্ত মেজাজের ভদ্রলোক হঠাৎ খেপে গিয়ে বাসে এক ভদ্রমহিলার মাথায় গাট্টা মারলেন।

এ নিয়ে বিচার উঠেছে। বিচারকর্তা বললেন, 'আপনাকে দেখে শুনেতো মনে হয় না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী। এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?' অভিযুক্ত ভদ্রলোকটি বললেন, 'ভাই, শুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি।

বাসটা যাচ্ছিল মতিঝিল থেকে মিরপুর। কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এল। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন, তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ২০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন।

তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন...!' বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, 'কী একশবার ছোট ব্যাগ-বড় ব্যাগ, বড় ব্যাগ-ছোট ব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?' অভিযুক্ত লোকটি বলল, 'ভাই, আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? যারা আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি। ' বিচারপতি রায় দিলেন,'কেস ডিসমিসড।

' পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সঙ্গে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল। এটা দেখে ডাক্তার বলল : ওই তুই ঝুলিস কেন ? পাগল : আমি তো বাল্ব! ডাক্তার : তাইলে জ্বলিস না কেন?? পাগল : আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ, কারেন্ট পামু কই??? শুরু করে ছিলাম ব্রিজ নিয়ে বহুল প্রচলিত পুরনো কৌতুক দিয়ে শেষ করছি আরেকটা পুরনো বহুল প্রচলিত কৌতুক দিয়ে : চেয়ারম্যান : আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দেব। জনৈক ব্যক্তি : এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে? চেয়ারম্যান : প্রথমে খাল খনন করব তারপর ব্রিজ করব! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।