আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কথাগুলো না বলে পারলাম না...

নিজকে নিয়ে উদাস আমি, পরকে নিয়ে কখন ভাবি... সাধারণ জনতা ও বিরোধী দলের লোকজন এতদিন সন্ত্রাসের হাতে একের পর এক জীবন দিলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারার কাছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালই ছিল। এবং তিনি বেশ গর্ব নিয়েই বিষয়গুলো উড়িয়ে দিয়েছেন এই বলে, ‘এগুলো দুর্ঘটনা, এসব হতেই পারে’। কিন্তু গত ১ নভেম্বর নরসিংদীর জনপ্রিয় নিজ দলের নেতা ও মেয়র লোকমান হত্যার পর সাহারার এমন উক্তি মানুষ শুনতে পায়নি। বরং মিডিয়া আর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি এখন একের পর এক লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন আসছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য।

এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খোদ সরকারের টেলি যোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দীন আহমদ রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি বলছে তাকে ছাড়া তদন্ত এগিয়ে নেয়া অসম্ভব। বর্তমান রাজনীতির এই হিট ইস্যুটিকে সামনে রেখে হলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় দেশের আকাশে এখন ভয়ঙ্কর শকুনের হানা। যার আক্রমের শিকার সাধারণ জনতাসহ দেশের সকল মানুষ। কেবল লোকমান হত্যাকাণ্ডেই মানুষ উৎকণ্ঠিত নয়।

চারপাশে এমন অসংখ্য ইস্যু হামাগুড়ি দিচ্ছে। পুঁজিবারের সর্বস্ব হারানো লোকজন প্রশাসনের প্রতি জুতো প্রদর্শন করছে প্রতিদিন। রাজধানীতে এমন অবরোধ-মিছিল দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। মিছিলের একেকটা প্ল্যাকার্ড যেন একেকটা বিপ্লবের অগ্নিশিখা। ‘শেয়ার বাজার ফিরিয়ে দিন, নয়তো আমাদের বুকে গুলি করুন’।

মানুষ সবচে’ ভয় পায় মৃত্যুকে। কিন্তু পুঁজি হারানো এসব লোক এখন বেঁচে থাকার কোনো অর্থ দেখছে না। তাদের কাছে এমন মুন্ডহীন প্রশাসন মৃত্যুর ভয়কে দূর করেছে নিমেষেই। দ্বিতীয় বারের মতো দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের। বাড়বে বিদ্যুৎ-গ্যাসেরও।

এক-দু টাকা নয়। এক ধাক্কায় পাঁচ টাকা। জ্বালানির দাম বাড়া মানে বাসভাড়া বেড়ে যাওয়া। ক’দিন পর পরই বাসে সাঁটানো বাড়তি মূল্যের চার্ট দেখে জনগণ এমনিতেই অসন্তুষ্ট। এর মধ্যে আরেক দফা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কতটা হটকারি সেটা ‘হাইব্রিড’ মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় হয়তো বা ভেবে দেখেননি।

এরই মধ্যে বাস মালিকরা মিছিল করেছে। মিছিল করেছে সাধারণ মানুষও। তারা জ্বালানির মূল্য আর বাড়তে দিতে চান না। কিন্তু জনগণের সেই ভাষা বুঝার ক্ষমতা কতটুকু বর্তমান সরকারের তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে ধারণা সুশীলদের। গত টার্মে বিএনপি-জামায়াত জোট ব্যাপক দুর্নীতি আর লুটপাটের ঘটনায় মানুষ অতিষ্ট।

ভেবেছেন আ’লীগের ছায়ায় এসে আত্মা ঠাণ্ডা করবেন। কিন্তু কোথায় কি! বর্তমান সরকার ব্যস্ত ভিশন টুয়েন্টি নিয়ে। জনগণের চাহিদা মাপার পাল্লা কই! লোহা পেটানোর মতো ‘যেই সেই’ চিন্তার অগ্রগতিই বা কোথায়!! সারা বিশ্বেই পশুর চামড়ার বাজার চড়া। কারণ এই চামড়া থেকেই তৈরি হচ্ছে পোশাকসহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ আসবাব। অথচ এ বছর কুরবানির চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।

অনেক ক্ষেত্রেই তাদেরকে ক্রয় থেকেও কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। বাজার ভালো থাকা সত্ত্বেও সরকার কেন এসব ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারছে না এসব নিয়ে প্রশ্ন এখন ব্যবসায়ী মহলে। সব মিলিয়ে এমন শীত আসি আসি মওসুমেও দেশের মানুষ ব্যাপক গরম। এই গরম কত দিন থাকবে এটাই এখন দেখার বিষয়। গো. ক. সামুতে নিয়মিত আসা হচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরে... পোস্ট্ও দিতে পারছিনা... পরিচিতরা হয়তো ভুলেই গেছে... যাক আবারো নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি... সামুতে রাজনীতি কিংবা গুরুগম্ভির কোনো লেখা লিখবনা বলে আগেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, কিন্তু দেশের এমন হাল দেখে চুপ থাকাটা মনে হয় বোকামিই...  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.