আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কথাগুলো তোকে বলা হয়নি কখনো,যে কথাগুলো তোকে বলা হবেনা কখনো

:-)
জানিস, তোকে আজকাল বড্ড বেশি মনে পড়ে! তুই কথাটা শুনে হাসবি,জানি বিশ্বাস করবিনা-- হয়ত হাতটা অবজ্ঞায় আর অহংকারে ঝাঁকিয়ে তোর চিরচেনা ভঙ্গিমায় বলবি--তোর যতসব নাটুকে কথা! অনেক শুনেছি এসব! তবুও তোকেই মনে পড়ে-- মনে পড়ে বৈশাখের ওই রং-বেরঙ্গের ধূলো মাখা ভীড়ে, কিংবা চারুকলার বসন্ত উৎসবে, চেনা গানের সুরে আর কবিতার ছন্দে-- হঠাৎ কোন রোদ্দুর মাখা দুপুরে কাঁটাবনের সরু গলিটার সামনে দাঁড়িয়ে, যেখানেই ছিল আমার আর তোর উত্থান! তোকে মনে পড়ে ব্লগ থেকে ব্লগে ঘুরে বেড়ানোর সময়; হঠাৎ থমকে যাই আমি,"তুইময়" কোন লেখায়-- কেন জানি মনে হয় এই লেখাটা শুধু আমার আর তোর জন্য, আমি তখন মনো্যোগী পাঠক হই। তুই হারিয়ে যাওয়ার পরেই কেন জানি তোকে বড্ড বেশি মনে পড়ে! সারাদিন,সর্বক্ষন-- আমার প্রতিটা কাজে, লেখায়, ছবি আঁকায়, ভেঙ্গে পড়া হাসিতে,চোখের কোণে চিকচিকে জলে, অথবা বিষন্ন ঝড়ো হাওয়ায়-- কিন্তু..... আমিও যে সুনীলের "বরুনা"-র মত অনেকটাই-- তাই তোকে দেওয়া কথাগুলো রাখতে পারিনি। স্বার্থপর আমি প্রতিনিয়ত ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি তোকে। ভুলে যাচ্ছি তোর সেই দৃপ্ত অহঙ্কারের তীব্র দৃষ্টিকে! তোর গাম্ভীর্য আর শান্ত কিন্তু প্রগাড় ব্যক্তিত্বকে! অথবা ভুলে যাচ্ছি তোর ভয়ানক অট্টহাসি, আমাকে সবসময় ভ্যাঙ্গানোর সরল অথচ ভাললাগা মুহুর্তগুলোকে! কিংবা কে জানে? তোকে হয়ত ভুলেই গেছি সেই কবে! আজকাল তোকে মনে পড়ছে শুধুই একটা কবিতা লেখার স্বার্থে! ------------------------------------------------------------------------------------ কবিতাটার পেছনের কিছু কথাঃ আমার সবসময় মনে হয় আমি খুব খারাপ লিখি। নিজের লেখা কখনো ভাল লাগেনা আমার।

আমার লেখাগুলো বোরিং টাইপ। আমার মন বেশ শক্ত ধাতুতে গড়া দেখে আবেগিক লেখা গুছিয়ে লিখতে পারিনা। এটা আমার লেখা প্রথম কবিতা--ঠিক কবিতা হল কিনা জানিনা। এই লেখাটাতে প্রিয় সহব্লগারদের গঠনমূলক সমালোচনা অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। তবে আমি এখানে কোন মন্তব্য নেবনা।

কারন এই কবিতাটা আমার খুব প্রিয় এক বন্ধুকে উৎসর্গ করেছি। বন্ধুটি একটি মন্তব্যবিহীন লেখা পড়ুক সেটা আমার আন্তরিক ইচ্ছা। পড়ার জন্য সকল পাঠককে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা। আগামীকাল আমার অসম্ভব প্রিয় বন্ধুটির জন্মদিন। প্রায় এক বছর ধরে তাঁর জীবন প্রচন্ড হতাশা আর বিক্ষিপ্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

আমার লেখা যদি তাঁকে একটু খুশি করে সেটাও আমার কাছে অনেক বেশি। শুভ জন্মদিন হিপো! তোকে উৎসর্গ করে এই কবিতাটা আমি লিখেছি। এটা আমার নিজের লেখা! কপি-পেষ্ট না রে! কবিতাটা তোর বার্থডে গিফট। এটা লিখতে আমার এক টাকাও খরচ হয়নি। তাই এটা অতি অতি অতি সস্তা গিফট বলতে পারিস।

অবশ্য তুই জানিস আমার মত কিপটার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা অন্যায়! হিপো,তোর জীবনের সব অন্ধকার আর গ্লানি কেটে যাক। তুই নিশ্চয়ই এক চমৎকার আলোকিত ভোরে সব পুরোনো কষ্টের স্মৃতি ভুলে যাবি। নতুন করে বাঁচতে শিখবি। জানি,তুই পারবি-ই। একদিন আলো আসবেই!
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.