আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোতলজাত পানির কোম্পানিগুলো বাজারে ছোট বোতলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়াতে হঠাৎকরে বেড়ে গেছে বোতলজাত পানির দাম

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি বোতলজাত পানির কোম্পানিগুলো বাজারে ছোট বোতলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাহিদা মতো বোতলজাত পানি সরবরাহ না করাতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে প্রতিটি ব্রান্ডের বোতলজাত পানির দাম। বিগত প্রায় ১০/১২ দিন ধরে সব কোম্পানির বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে মেঘনা গ্রুপের ২ লিটারের প্রতি কার্টনের (৬ বোতল পানি) দাম ছিল ছিল ১১৫ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে ৯৬ টাকার আধা লিটারের কার্টন (১২ বোতল) এখন ১৩০ টাকা, ৯৬ টাকার দেড় লিটারের কার্টন (৬ বোতল) ১২০ টাকা এবং ১৮০ টাকার ৫ লিটারের কার্টন (৪ বোতল) ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগে আধা লিটার মাম পানির কার্টনের দাম ছিল ২১০ টাকা (২৪ বোতল)। বর্তমানে তা ২৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১৮০ টাকার দেড় লিটারের কার্টন (১২ বোতল) এখন ২২৫ টাকায় এবং ৫ লিটারের ২০০ টাকার কার্টন (৪ বোতল) এখন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা পর্যায়ে ফ্রেশ পানির আধা লিটারের ১০ ও ১২ টাকার বোতল ১৫ টাকায়, দেড় লিটারের ২৫ টাকার বোতল ৩০ টাকায় এবং ২ লিটারের ২৫ টাকার বোতল ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাম কোম্পানির ১২ টাকার আধা লিটারের বোতল ১৫ টাকায়, ২০ টাকার দেড় লিটারের বোতল ২৫ টাকায় এবং ৬০ টাকার ৫ লিটারের বোতল এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত পানির দাম বাড়ানোর ব্যাপারে পারটেক্স গ্রুপের মালিকানাধীন মাম ব্র্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানান প্যাকেজিং খরচ বেড়ে যাওয়ায় পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায়ও তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। তা ছাড়া বোতলজাত পানির ওপর সরকার ট্যাক্স বসানোর কারণে উত্পাদক কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়েছে। বোতলজাত পানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি অনেক কমেছে। লোকজন এখন বোতলের পানি না খেয়ে এক টাকা দিয়ে জারের পানি কিনে খাচ্ছেন।

আর বোতলজাত পানির দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কমে গেছে। আগে আধা লিটারের এক বোতল পানি বিক্রি করে ৪ টাকা লাভ থাকত। এখন দাম বেড়ে যাওয়ায় মাত্র আড়াই টাকা লাভ থাকছে। তা ছাড়া শীতকালে বোতলজাত পানি কম চলে। এর মধ্যে কোম্পানি দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বিক্রি অনেক কমে গেছে।

ফ্রেশ পানির এক পরিবেশক জানান আগে দৈনিক তিনি ২০০ থেকে ৩০০ কার্টন পানি বিক্রি করতেন। এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫ কার্টন বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি কার্টনে পানিতে তারা ১০ টাকা কমিশন পেতেন। এর মধ্যে ৪ টাকা লেবার খরচ হতো। সব মিলে কার্টনে ৪ টাকা লাভ থাকত।

তার প্রশ্ন— পানি তো আর আমদানি করে আনতে হয় না। তাহলে কোন যুক্তিতে দাম বাড়ানো হলো? এই প্রশ্ন আমাদেরও। এই আক্রার বাজারে ১৫ টাকার হাফ লিটার দুটি পানির দাম এখন হাফ লিটার দুধের সমান হয়ে গেছে। তা হলে আমরা কি পানি ছেড়ে দুধ পানে মনোনিবেশ করবো? তৃষ্ঞা নিবারন সাথে পুষ্টি বোনাস !!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.