আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসির ঋণ

জানতাম, একই শহরে থাকি বলেই জানতাম আবার দেখা হবে। সে সন্ধ্যায় তোমার হাসির শব্দ শুনেই চোখ ফিরিয়েছিলাম। তোমার বাহন আমাকে পাশ কাটিয়ে গেল। দৃষ্টিও! সদ্য জ্বলা সোডিয়াম আলোয় গালে পড়া টোল ঢাকা পড়েছিল। কৈশর, সিঁড়ির অন্ধকার, আর জমকালো রঙীন চুমু ফ্ল্যাশব্যাকে তখন! এই অন্ধকারকে বললাম, ওকে আমি চিনি।

খুব চিনি। জানালার ওপারে ক্রিকেটের ব্যাট হাতে একদিন আমাকে সে বলেছিল, তুমি আসোনা কেন? তুমি থাকলে আমার খেলতে ভাল লাগে। আর আমি বলেছিলাম,আমি সবসময় থাকি। চোখের আড়ালেও! সে বিকেলটাতে নদীগর্ভা শহরের প্রান্তে ছিলাম আমরা দু'জন। হঠাৎ চোখ পড়লো।

তুমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছো। খুব কি বদলে গেছি এখন? চোখ ফিরিয়ে নিলাম। একবারের বেশি ও চোখে চোখ রাখা যায়না জানোতো? যখন সমস্ত ভালবাসা নিলামে তুলে দিয়েছিলাম। চৌখুপির ওপার থেকে তোমার অপমানের অশ্রু আমাকে ছুঁয়ে গেল। এখনো সে দাগ মুছেনি যেন! এই যে এই ভীষন ভোর।

ঝিক ঝিক করে আমার মাতাল যান ছুটে চলেছে অতীতে। এই যে যাচ্ছি, কোথাও তো তুমি আছোই। তোমার হাসির ঋণে আটকা পড়ে ছটফট করছি। বোতলের জল গলায় ঢেলে শুকনো নদীকে কি আর বেগবতী বানানো যায় বলো? হাসির বিনিময় শোধ করে দিয়ে টের পেলাম, বদলে গেছে হৃদয়ের রাজ্য, সাবধানী চোখেরা। এই যে বারবার বদলে যায় গালের টোল, জলের সেতু, মাছেদের জলসভা.. কেউ জানলোনা এক মুহূর্তে কি ভীষন আলোয় ভরে গেল সুনসান ফুলেদের পৃথিবী।

এক শহরে আছি বলেই জানতাম, দেখা হয়ে যাবে। তাই বলে শহর ছাড়ার এমন অসময়ে! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।