আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধান অনুসারে আসলে সমাজের অগ্রসর অংশ কারা? আসুন একটু জানার চেষ্টা করি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, নারীদের জন্য ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ কোটাব্যবস্থার আওতায় ৩২ তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। এটি বাংলাদেশের সংবিধানের লংঘন নয়। কারণ, সংবিধান অনুসারেঃ ২৯। (১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে যদিও ২৮ (৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না। আবার ২৯ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, উক্ত অনুচ্ছেদে যা-ই থাকুক না কেন তা- ২৯ (৩)(ক) নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।

সংবিধানের এই ধারাগুলোর উপর ভিত্তি করেই যে কোন সরকারী চাকুরীর জন্য- ১) মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০% সংরক্ষিত কোটা (এখানে আর কেউ যেতে পারবে না। লোক না পেলে সিট খালি থাকবে) ২) নারীদের জন্য ১৫% সংরক্ষিত কোটা ৩) উপজাতিদের জন্য ১০% সংরক্ষিত কোটার ব্যবস্থা করেছে। অবশিষ্ট ১০০-৫৫= ৪৫% কোটাহীন সিট রয়েছে অবশিষ্ট মানুষদের জন্য যেখানে, ১) কোটার আওতাধীন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আসার অধিকার রয়েছে। ২) নারীদের আসার অধিকার রয়েছে। ৩) উপজাতীদের আসার অধিকার রয়েছে।

তার মানে এটা দাঁড়ালো যে, মুক্তিযোদ্ধার সকল সন্তানেরা, নারীরা, উপজাতীরা সমাজের অনগ্রসর অংশ। কিন্তু এই তিন গোত্রের কোনটিই নয় এমন লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকেরা সমাজের অগ্রসর অংশের মাঝে পড়ে। তাই যারা কোটাহীন বেকার রয়েছেন তারা দুঃখ করবেন না। আপনারা সমাজের অগ্রসর অংশের মধ্যে আছেন। চিয়ার আপ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.