আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকৃত আহলে সুন্নাত কারা?

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। আগের লেখার লিঙ্কঃ Click This Link Click This Link Click This Link আহলে বাইতে ও আহলে সুন্নাহর বিভক্তি ইহা হল সেই ঘটনা যখন রাসুল (সা.) মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করার জন্য ওসিয়াত (লেখনী) লিখে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর ইবনে খাত্তাব ও অন্যান্য সাহাবাগণ রাসুল (সা.)-কে কলম-দোয়াত দিতে অস্বীকার করেছিলেন (বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে ‘ইয়াওমুল খামীসের’ ঘটনাটি খুবই প্রসিদ্ধ)। আর তাঁর (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানের কোন তোয়াক্কা করেন নি এবং খুবই কঠোর ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি তাঁর প্রতি ‘হিযইয়ান’ (প্রলাপ বকার) অপবাদও দিয়েছিলেন এবং পরিস্কার ভাষায় বলে দিয়েছিলেন যে, “রাসুলের ওয়াসিয়াতের (লেখনীর) প্রয়োজন নেই, আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট”।

কিন্তু হযরত আলী এবং আরো কিছু সাহাবা যাদেরকে রাসুল (সা.) ‘শিয়ানে আলী’ অর্থাৎ আলীর অনুসারী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন, তাঁরা রাসুল (সা.)-এর আহ্কামের আনুগত্য করেছিলেন এবং তাঁরা তাঁর সমস্ত কথা ও কর্মকে আনুগত্য করা ওয়াজিব গণ্য করতেন, ঠিক তেমনই যেমন আল্লাহর কিতাবকে আনুগত্য করা ওয়াজিব গণ্য করতেন। যেমনটি ইরশাদ হচ্ছে যে, “হে ঈমানদারগণ আনুগত্য কর আল্লাহর আর আনুগত্য কর রাসুলের” [সূরা নিসা, আয়াত-৫৯]। উমর ইবনে খাত্তাবের স্বভাব তো সকল মুসলমানই জানেন যে, তিনি সর্বদাই রাসুল (সা.)-এর কাজে ও সিদ্ধান্তে বাধা প্রদান করতেন [‘আহলে যিাকর’ নামক কিতাবে আমি নবী (সা.)-এর সাথে হযরত উমরের বিরোধিতাকে বিস্তারিত বয়ান করেছি]। ঘটনাবলী বলে দিচ্ছে যে, উমর ইবনে খাত্তাব নবী (সা.)-এর সুন্নাতের বন্দিত্বকে (বাদ্ধ বাধকতা) সহ্য করতেন না, আর এই কথাটি পাঠকমন্ডলী তার খেলাফতের যুগে জারীকৃত আহ্কাম দ্বারাই ভাল করে বুঝতে পারবেন। তিনি নবী (সা.)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইজতিহাদ করতেন, শুধুকি তাই! বরং আল্লাহর প্রকাশ্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও তিনি ইজতিহাদ করতেন এবং আল্লাহ কর্তৃক হালালকৃত বিষয়কে হারাম এবং হারামকৃত বিষয়কে হালাল ঘোষণা দিতেন।

[মোয়াল্লেফাতুল কুলুবের অংশ এবং মোতা’ হজ্জ ও মোতা’ বিবাহকে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ আল্লাহ তায়ালা সেগুলিকে হালাল করেছিলেন। তিন তালাককে এক তালাকের মাধ্যমে হালাল করে দিলেন অথচ আল্লাহ তা হারাম ঘোষণা দিয়েছিলেন]। আবার ঘটনাবলী একথাও বলে দিচ্ছে যে, সাহাবাদের মধ্যেকার যারা হযরত উমরকে সমর্থন করতেন তাদেরও ধর্ম তা’ই ছিল। আর পরবর্তীকালেও তার ভক্তবৃন্দরাও ‘বিদআত-এ- হাসানা’ বলে তারই আনুগত্য করেছেন।

যেমন তিনি নিজেই সেগুলিকে বিদআত-এ-হাসানা বলেছেন (উদাহরণ স্বরুপ ‘তারাবিহ’)। পরবর্তী আলোচনাতে এই কথা স্পষ্ট করা হবে যে, সাহাবাগণ নবী (সা.)-এর সুন্নাতকে ত্যাগ করেছিলেন এবং উমর ইবনে খাত্তাবের সুন্নাতকে অনুসরণ করতেন। রাসূল (সা.)-এর বিরোধিতার দ্বিতীয় ঘটনা রাসুলুাল্লাহ (সা.) তাঁর ওফাতের দু’দিন পূর্বে একটি সেনাবাহিনী গঠন করে ওসামা বিন যায়েদকে উহার প্রধান নিযুক্ত করেন, আর সমস্ত সাহাবাকে সেই বাহিনীতে শরীক হবার হুকুম দিলেন, কিন্তু সাহাবাগণ তাতে শরীক হোন নি। এমনকি সাহাবাগণ রাসুল (সা.)-কে এই কথা বলে ভর্ৎসনা করলেন যে, আপনি ১৭ বছর বয়সি দাড়ি-গোঁফ ছাড়া একটি যুবককে আমাদের সরদার নিযুক্ত করে দিলেন! ওসামার বাহিনীতে যোগদান না করার জন্য রাসুল (সা.) কর্তৃক লানত করা [“ওসামার বাহিনতে যারা যোগদান করবে না, তাদের প্রতি আল্লাহ লানত” সূত্র: মুলাল ওয়ান্নাহল, শাহরসেতানী, খন্ড-১, পৃ-২৯] সত্বেও হযরত আবু বকর ও উমর এবং আরো কিছু বিশিষ্ঠ সাহাবা খেলাফতের চক্করে উক্ত বাহিনীতে যোগদান করেন নি। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) হযরত আলী এবং তাঁর ভক্তবৃন্দকে ওসামার বাহিনীতে যোগদান করার হুকুম দেন নি, আর এই কাজটি তিনি (সা.) বিরোধকে শেষ/নিস্পত্তি করার জন্য করেছিলেন, যাতে আল্লাহর নির্দেশের বিরোধিতাকারীদেরকে মদীনার বাহিরে পাঠিয়ে দেয়া যায়।

ইহা তো স্পষ্ট যে, সেখান থেকে এই লোকগুলি যতদিনে ফেরৎ আসবে ততদিনে হযরত আলীর খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। খেলাফতের বিষয়ে এটিই ছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর ইরাদা। কিন্তু কোরায়েশের চালাক-চতুর লোকেরা এই কথা বুঝতে পেরেছিল বিধায় তারা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, আমরা কিছুতেই মদীনার বাহিরে যাব না। সুতরাং তারা গড়িমসি করে এতো ঢিলামী করল যে, অবশেষে রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকাল হয়ে গেল এবং তারা তাদের পরিকল্পনায় সফল হয়ে গেল এবং রাসুল (সা.)-এর ইচ্ছাকে তারা অবজ্ঞা করল অথবা অন্য ভাষায় এভাবে বলা যেতে পারে যে, ‘তারা রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতকে অস্বীকার করল’। উক্ত ঘটনা দ্বারা আমাদের কাছে এই কথাটিও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হযরত আবু বকর, উমর, উসমান, আব্দুর রহমান বিন আউফ, আবু ওবায়দা, আমের বিন জেরাহ ইত্যাদীগণ রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত অস্বীকারকারী ছিলেন।

তারা পার্থিব ও খেলাফতের মুসলেহাতের কারণে নির্দ্বিধায় ইজতিহাদ করে নিতেন। আর এ ব্যাপারে তারা আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর আদেশকেও ভয় করতেন না। কিন্তু হযরত আলী এবং তাঁর আনুগত্যকারীগণ রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতের পাবন্দ (বাদ্ধ) ছিলেন, আর যতদূর সম্ভব হত তারা সুন্নাতের প্রতি আমল করতেন। সুতরাং এমন কঠিনতম পরিস্থিতিতেও আমরা হযরত আলীকে রাসুল (সা.)-এর ওসিয়াতের প্রতি আমল করতে দেখতে পাই। অথচ সমস্ত সাহাবা রাসুল (সা.)-কে বিনা গোসল ও বিনা কাফনেই ফেলে রেখে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ‘সকীফা’-তে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।

হযরত আলী, রাসুল (সা.)-এর গোসল ও কাফন-দাফনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হযরত আলী রাসুল (সা.)-এর প্রতিটা হুকুমের প্রতি আমল করতে থাকেন, আর এই বিষয়ে তাঁকে কোন জিনিষই বাধা দিতে পারতো না, অথচ তিনিও সকীফাতে যেতে পারতেন এবং সাহাবাদের পরিকল্পনাকে ধুলিস্যাৎ করতে পারতেন। কিন্তু তাঁর দৃষ্টির সম্মুখে ছিল নবী (সা.)-এর সুন্নাতের প্রতি সম্মান করা এবং সেই মতে আমল করা। সুতরাং তিনি স্বীয় চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নিকটই অবস্থান নিলেন, যদিও খেলাফত থেকে বঞ্চিত হতে হল। এ স্থানে অল্প বিরতির জন্য হলেও সেই মহান চরিত্রের প্রতি বিবেচনা করা আবশ্যক, যা হযরত আলী মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর কাছ থেকে উত্তরাধিকার হিসাবে পেয়েছিলেন।

হযরত আলী নবী (সা.)-এর সুন্নাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খেলাফতকে প্রত্যাখ্যান করে দিলেন, পক্ষান্তরে অন্যান্যরা খেলাফতের লোভে রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আহলে সুন্নাতের তুলনায় আহলে বাইত ইহা এমনই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সাহাবাগণ সকীফাতে এ জন্য গ্রহণ করেছিলেন যেন তারা হযরত আলীর খেলাফত বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর সেই স্পষ্ট হুকুমের বিরোধিতা করেন, যে হুকুমের মাধ্যমে তিনি (সা.) বিদায়ী হজ্জের সময় ‘গাদীর দিবসে’ হযরত আলীকে খলিফা নিযুক্ত করেছিলেন, আর এ সকল সাহাবা সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও খেলাফতের বিষয়ে মোহাজের ও আনছারদের মাঝে বিরোধ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান এবং হযরত আবু বকরকে খেলাফতের জন্য উপস্থাপন করার বিষয়ে সবাই ঐক্যমত হয়ে গিয়েছিলেন। আর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ছিলেন যে, আবু বকরই খলিফা থাকবেন।

যদিও এ ব্যাপারে অনেক মানুষের প্রাণেরও ক্ষতি হোক না কেন তবুও পরওয়া নেই। আর যে ব্যক্তি হযরত আবু বকরের খেলাফতের বিরোধিতা করবে তাকে হত্যা করে দিতে হবে। হোক সে ব্যক্তি নবী (সা.)-এর নৈকট্যপ্রাপপ্তই হোক না কেন [হযরত ফাতেমা যাহরার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাটি হল এর উত্তম দলিল]। এই ঘটনাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাহাবা রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত অস্বীকার করা এবং তা নিজেদের ইজতিহাদ দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়ার ক্ষেত্রে হযরত আবু বকর ও উমরকে সাহায্য করেছেন। স্পষ্টতঃ এরা ইজতিহাদের পক্ষে ছিলেন।

এভাবেই মুসলমানদের এই সংখ্যালঘুটি একটি আকার ধারণ করে নিল যারা রাসুল (সা.)-এর সুন্নাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিল এবং হযরত আবু বকরের বায়াতকে অস্বীকার করেছিল, অর্থাৎ হযরত আলী ও তাঁর অনুসারীবৃন্দ। জি হ্যাঁ, বর্ণিত তিনটি ঘটনার পর ইসলামী সমাজে দুই পক্ষ অথবা দুটি বিশেষ দল সৃষ্টি হয়ে গেল। তাদের মধ্যেকার একটি দল ‘সুন্নাতে রাসুলের বিশ্বাসী’ এবং তা প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। অপর দলটি রাসুল (সা.)-এরসুন্নাতকে নিজেদের ইজতিহাদ দ্বারা পরিবর্তন করে দিত। এটি ছিল সংখ্যাগরিষ্ট সেই দলের কাজ যারা হুকুামত (শাসণ ক্ষমতা) পর্যন্ত পৌঁছাতে চাইত অথবা তাতে যোগদান করার আকাংখ্যা পোষণ করত।

এমতাবস্থায় একটি দল অর্থাৎ হযরত আলী এবং তাঁর অনুসারীগণ ‘সুন্নী’ সাব্যস্ত হলেন এবং অপর দল অর্থাৎ হযরত আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সাহাবাগণ ‘ইজতেহাদী’ সাব্যস্ত হলেন। দ্বিতীয় দলটি হযরত আবু বকরের নেতৃত্বে প্রথম দলের মান-মর্যাদাকে শেষ করার অভিযান শুরু করে দিল এবং নিজেদের বিরোধি পক্ষকে পরাজিত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা আঁটতে লাগল। অর্থনৈতিক আক্রমন ক্ষমতাসীন দলটি বিপক্ষীয় দলের রুজি-রুটির উপর আক্রমন সানাল। সে জন্যই হযরত আবু বকর, হযরত ফাতেমা যাহরার নিকট থেকে ‘বাগ-এ-ফিদাক’ কেড়ে নিলেন [ইতিহাসের কিতাবাদিতে ফিদাকের কাহিনী এবং হযরত ফাতেমা যাহরা কর্তৃক হযরত আবু বকরের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া এবং সেই অবস্থাতেই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার ঘটনাটি খুবই প্রসিদ্ধ] এবং উহাকে সমস্ত মুসলমানের সম্পত্তি বলে ঘোষণা দিয়ে দিলেন আর বললেন যে, ‘এই ফিদাকটি কেবল ফাতেমার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, যেমন তাঁর পিতা বলেছেন’। হযরত আবু বকর, হযরত ফাতেমাকে তাঁর পিতার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিলেন আর বললেন, “নবীগণ কাউকে ওয়ারেশ রেখে জান না”।

তারপর তাঁর ‘খুমস’-ও বন্ধ করে দিলেন, অথচ রাসুল (সা.) নিজের এবং নিজের আহলে বাইতের জন্য খুমস নির্দিষ্ট করেছিলেন কারণ তাঁদের জন্য ‘সদকা’ হারাম ছিল। এভাবে হযরত আলীকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল করে দিলেন, সেই ফিদাককে আত্মসাৎ করে নিলেন যার দ্বারা যথেষ্ট আয়-আমদানি হত। তাঁকে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সুন্নাতকে নিজেদের ইজতিহাদ দ্বারা পরিবর্তন করে দিত। এটি ছিল সংখ্যাগরিষ্ট সেই দলের কাজ যারা হুকুামত (শাসণ ক্ষমতা) পর্যন্ত পৌঁছাতে চাইত অথবা তাতে যোগদান করার আকাংখ্যা পোষণ করত। এমতাবস্থায় একটি দল অর্থাৎ হযরত আলী এবং তাঁর অনুসারীগণ ‘সুন্নী’ সাব্যস্ত হলেন এবং অপর দল অর্থাৎ হযরত আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সাহাবাগণ ‘ইজতেহাদী’ সাব্যস্ত হলেন।

দ্বিতীয় দলটি হযরত আবু বকরের নেতৃত্বে প্রথম দলের মান-মর্যাদাকে শেষ করার অভিযান শুরু করে দিল এবং নিজেদের বিরোধি পক্ষকে পরাজিত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা আঁটতে লাগল। উত্তরাধিকার থেকেও বঞ্চিত করে দিলেন। খুমসও বন্ধ করে দিলেন। সুতরাং হযরত আলী তাঁর বৌ-বাচ্চার ভরণ-পোষণে অক্ষম হয়েগেলেন। আর ইহা ঠিক সেই কথা যা হযরত আবু বকর, হযরত ফাতেমা যাহরাকে বলেছিলেন যে, “হ্যাঁ খুমসে আপনারও অধিকার আছে, কিন্তু আমি এ বিষয়ে সেই আমলই করব, যা রাসুল করতেন।

তবে হ্যাঁ, আপনার রুটি ও কাপড়-চোপড়ের ব্যবস্থা করা হবে”। যেমনটি আমি পূর্বেও বয়ান করেছি যে, হযরত আলীর আনুগত্য ও অনুসরণকারীদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ গোলাম ছিলেন, যাদের কাছে ধন-দৌলত নামের কোন জিনিসই ছিল না এবং শাসক দলটিও তাদেরকে ভয় পেত না। আবার মানুষের স্বভাব হল যে, তারা ধনবানদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ফকীরদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করে থাকে। চলবে.......। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।