আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা তথাকথিত ব্যাঙ্ক ডাকাতি আর তথাকথিক রাজনীতিক বৃন্দ - পর্ব -১

আমার তালগাছ লাগবো না, লইয়া যান !!! সংগৃহীত - কৈশর থেকে একটা কথা শুনে আসছি মুজিবের ছেলেরা ব্যাংক ডাকাত ও ডালিমের বৌ অপহরনকারী। কেন জানি শৈশবের সেই মনে সংশয় ছিল এই দুইটা বিষয় নিয়ে। কারন, যে মানুষটা এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তার জীবন-যৌবন ত্যাগ করেছেন, সেই মানুষটার সন্তানেরা এই ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারেনা। মিথ্যাচার / অপপ্রচার-১ ‘শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত’ আপনারা সবাই জানেন শেখ কামাল ছিলেন একজন সংস্কৃতমান মানুষ। গান, নাটক, খেলা-ধুলা সবই ছিল তার নেশা।

তার প্রতিষ্ঠিত ‘আবাহনি ক্রীড়াচক্র’ বাংলাদেশের খেলার জগতে এক অনন্যউজ্বল নাম। যাহোক মূল বিষয়ে আসি যে রাতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে রাতে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর ব্যাংক লুটের ষড়যন্ত্রের খবরটি কামাল আগেই জানতে পেরেছিলেন তাঁর সদ্য গঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ফকিরেরপুলে অবস্থানকারী দুজন খেলোয়াড়ের মাধ্যমে। দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য তিনি মতিঝিল এলাকায় জিপে করে ছুটে যান তরুণ সাহসীদের (তার কয়েকজন বন্ধুদের) নিয়ে আবাহনী মাঠের রাতের আলোচনা বৈঠক থেকে। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়েই ঢাকার পুলিশ সুপার বীরবিক্রম মাহবুবের পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে, দুজনকে পায়ে গুলিবিদ্ধ করে। আর শেখ কামাল দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য জিপ থেকে লাফ দিলে, রাস্তায় পড়ে যান।

এই ঘটনার মূল সত্য কাহিনি পরের দিন ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এ প্রকাশিত হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু, আ:লীগ বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের কুৎসার নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল সত্য ঘটনা। আমার এই কথার স্বপক্ষে আমি চার জন স্বাক্ষী রাখলাম। কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়, দয়াকরে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। চারজন হলেন- ১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম)।

যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল। ২) সেই সময়কার ‘ দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদকপ্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন। ৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু।

যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন। তৃতিয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: গত কিছু আগে খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘ ’ব্যাংক ডাকাতিতো তাদের রক্তে মিশে আছে। “ ম্যাডাম আর কত মিথ্যা বলবেন? নিজের গায়ে দূর্গন্ধ রেখে অন্যের বগলে গন্ধ খোজার দরকার কি ? একটু নিজের দলে খোজ নেন সত্যটা আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত। ৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।

--------------নাজমুল------------- মিথ্যাচার / অপপ্রচার-২ - মেজর ডালিমের বৌ - নিয়ে আসবো পরের পর্বে এ বিষয়ে কোন আপত্তি থাকলে উপযুক্ত প্রমান প্রদান পুর্বক মুল্যবান বানী দিয়ে যাবেন, না পারলে অযথা আকাশ, বাতাস, নদী, পানি, হাম্বা, বাম্বা, দালাল, দলিল, ভাদা, ছাগু, পাগু ইত্যাদি নিয়ে কোন আবাল, ছাগু হাজির হইলে সরাসরি গদা মাইসিন হইবেক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.