আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমান বাহিনীর আপত্তি,মেট্রো রেল তৈরীতে আশংকা,দোষটা কাদের..........?

স্বপ্নময়ী আমি স্বপ্ন দেখি সবসময় সুন্দরের...... গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আনোয়ার হোসেন লিখেছেন এটা নিয়ে। । অনেক দিন যাবত ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও এই বিষয়টা নিয়ে লিখতে পারিনি। কিন্তুক আজ আর পারলাম না। প্রথমেই একটু ব্যাখ্যা দরকার,তেজগাঁও বিমান বন্দর তৈরী সেই ব্রিটিশ আমলে,এটা সবাই জানে।

যাই হোক এটা বিষয় নয়। কুর্মিটোলা বিমান বন্দর তৈরীর পর থেকেই,এই বিমানবন্দরটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। বিমান বাহিনী এটাকে খুব স্বল্প পরিসরে ওঠানামা করতে পারে এমন কিছু হেলিকপ্টার,ও অন্যন্যা বিমান এখান থেকে পরিচালনা করে। যাই হোক কিছু দিন আগে মোট্রোরেলের সম্ভাব্য রুট তৈরীর জন্য জাইকা সমীক্ষা কর। এবং সম্ভাব্য রুট দেয়।

তেজগাঁও বিমানবন্দর ও বিজয় সরনি হয়ে এটা যাবে। কিন্তুক এতে বাদ সাধে বিমান বাহিনী। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে। ফলে শংকা দেখা দেয় মেট্রোরেল নিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল তাদেরকে আশ্বস্ত করলেও,তারা তাদের কথায় কর্নপাত করেনি।

আমার জানা মতে মেট্রোরেলের যে উচ্চঁতা এবং বিমান বন্দরের যে দিকটি হয়ে এটা যাবে,তাতে করে হেলিকপ্টার ওঠানামায় কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তাছাড়া এই বিমানবন্দরটির মালিক হল,বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রালয়। তারা এটিকে বিমান বাহিনীর ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তাহলে এখানে বিমান বাহিনীর আপত্তি কতটা যুক্তিসংগত?এটা বিশিষ্টজনেরা বিচার করবেন বলে আশা রাখি। এবার আসি আমার কিছু প্রশ্নে......... ১.আমাদের জানা মতে যেকোন সামরিক বা আধা-সমরিক বাহিনী আদেশ নির্ভর।

অর্থ্যাৎ তাদের যা আদেশ করা হবে তাই করতে বাধ্য। তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন তাদের কথায় মাথা নোয়ালেন? ২.আনোয়ার হোসেনের লেখা এবং কিছু দিন আগে দেশ টিভিতে একটা টক শোতে বিশিষ্ট লেখক মনুতাসির মামুন ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন একটি কথা বলেছিলেন,যে রাজধানীতে কোন সশস্ত্র(সেনা,নৌ,বিমান,আধা-সামরিক)বাহিনীর ঘাঁটি থাকা উচিত না। আমার মতে শুধু রাজধানী না কোন বিভাগীয় বা জেলা সদরেও কোন বাহিনীর ঘাঁটি থাকা উচিত না। আমি তাদের কথায় একেবারে একমত। তিনি এর পিছনে যুক্তি দেখিয়েছন বিভিন্ন সময় তাদের বিদ্রোহ ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের।

এবার আসি একটু অন্য কথায় এই বিমিনবন্দর ও সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটি গুলো যখন তৈরী করা হয়। তখন এগুলো ঢাকা শহর থেকে বেশ দূরে ছিল ঔ টকশোতে তারা বলেছন। ঢাকা শহর তখন ছিল বুড়িগঙ্গা তীর ঘেঁষে। ঢাকা থেকে আসতে ৩/৪ ঘণ্টা লাগত। এখন অবশ্য তার চেয়ে বেশি সময় লাগে।

অর্থ্যা এখনো ঘাঁটিগুলো ঢাকা থেকে দূরে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য,এখন এই এলাকাটাই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। আমিও চাই এগুলি ঢাকা থেকে দূরে সরানো হোক। এবার জাতির কাছে আমার প্রশ্ন??????????????????????? ৩.কেন ঢাকা শহরকে আমাদের নীতিনির্রাধকরা অপরিকল্পতভাবে বাড়তে দিল???এরজন্য কারা দায়ী????কেন সবকিছুকে ঢাকা কেন্দ্রিক করা হল?????????কেন এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকাতে করা হল????কেন গ্রামের গরিব মেধাবী ছাত্রটাকে ঢাকার অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হল????আগে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ ছিল বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে। সেগুলোকে কেন ঢাকায় এনে গবির অসহায় মানুষের বিচার পাওয়াকে আরো কঠিন করা হল???????কারণ তাদের কাছাকাছি এগুলো থাকলে,সহজে তারা এগুলোর সুবিধা পেতেন।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। যেখানে কৃষক বা কৃষি জমি আছে কিনা আমার জানা নেই। যে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের কোন জেলায়। যেখানে কৃষকের উন্নয়নে রাখতে পারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেটা আজ পর্যন্ত হলো না কেন???????কেন আমাদের সবাইকে ঢাকায় থাকতে হবে????একজন বিশিষ্ট লেখক,ডাক্তার,ব্যবসায়ী,আইনজীবি,ইঞ্জিনিয়ার,প্রকৌশলী,রাজনীতিবিদ,ইত্যাদি,ইত্যাদি হলেই কেন আমাদের ঢাকায় থাকতে হবে????????কেন সব কলকারখানা গুলোকে ঢাকায় হতে হবে?????কেন অসহায়,গরিব,হতদরিদ্র গার্মেন্টস্ শ্রমিকগুলোকে ঢাকার অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হল?????আজ ঢাকার পূর্ব থেকে পশ্চিমা যাওয়ার বা আসার কোন রাস্তা নেই।

সব রাস্তা উত্তর ও দক্ষিণমূখী। আজ যদি সরকার বলে পূর্ব-পশ্চিমের বাড়ীঘর ঙেঙ্গে রাস্তা করা হবে। তখন দেখবেন ঔ বিশিষ্টজনেরা আপনার দিকেই তেড়ে আসবে। কেন তারা তেড়ে আসবে????দেখবেন তারা যুক্তি দিবে এটা মানবধিকার লঙ্ঘন। বাসস্থানের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার।

কোন মতেই এটা করা যাবে না। আজ কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন মেট্রো রেল বানাতে হবে আমাদের?????দেড় বা দুই কোটি মানুষের জন্য কেন এত খরচা?????দেশের আর মানুষগুলো কি অপরাধ করলো????যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনোও দরিদ্রসীমার নিচে বাস করে। যদিও আমি কঠিনভাবে আশা করি মেট্রোরেল হবে। যারা আজ আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলছেন। তারা কেন ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরনের কথা বলছেন না?????একটিবারও কেন তারা এই প্রশ্নটি সামনে আনছেন না?????আজ যে বিমান বাহিনী আপত্তি দেখাচ্ছে তাতো তাদেরই দেখানো পথে।

তাহলে দোষটা কাদের দিবেন আপনি। শুধু মেট্রোরেল নয়,রেল যোগাযোগ আজ সারা দেশে সময়ের দাবী। জ্বালানি তেলের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি বাসমালিক-শ্রমিকদের বেপরোয়া আচরণ,মানুষকে ফেলেছে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে। ভোগ্য পণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধি মানুষের জনজীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ। আন্তঃবিভাগ,আন্তঃজেলা রেল যোগাযোগ আজ সময়ের দাবী।

সারা বিশ্ব রেল যোগাযোগ আজ একটি সহজ,সুলভ,এবং নিরাপদ যোগাযোগ হিসাবে সমাদৃত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.