আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়ার পলাতক নেতা গাদ্দাফীর স্ত্রী ফাতিয়া খালেদ এর ইমেইল ✉

আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই.. মেইলটি পড়ে টাসকি খাইলাম! ইমেইলের বিষয়টি অনুবাদ করলাম: আমি লিবিয়ার নেতার স্ত্রী ফাতিয়া খালেদ গাদ্দাফী। আমরা পরষ্পরের সাথে পরিচিত হই ১৯৭১ সালে যখন গাদ্দাফি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় আর আমি ছিলাম সেই হাসপাতালের নার্স। ঐ বছরই আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই এবং আমাদের ৬ টি ছেলে এবং ১ টি কন্যা সন্তান রয়েছে। আপনি হয়তো অবগত আছেন যে, বর্তমানে আমার স্বামীর প্রশাসন লিবিয়ার বিদ্রোহীদের দ্বারা কঠিন অবস্থার মুখে রয়েছে। আমি এবং পরিবারের ৩ সদস্য আমাদের পরিচিত এক গোপন প্রদেশে সকলের অগোচরে প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সহ লুকায়িত অবস্থায় রয়েছি।

এই মুহুর্তে আমাদের ভ্রমন নিরাপদ নয়। বর্তমানে আমি এবং আমার সম্পূর্ন পরিবার, কিভাবে যে বলি! আমাদের পরিবারের শেষ অবলম্বন ২০ মিলিয়ন ইউ.এস ডলার আপনাকে স্থানান্তর করতে তৈরি। আশা করি আমার দেশে রাজনৈতিক গোলযোগ অনিস্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আপনি এই টাকা আপনার দেশে ভাল কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন। দয়া করে আপনি যদি এই টাকা গ্রহন করতে আগ্রহী হোন, বর্তমানে টাকাগুলো আফ্রিকায় একটি ব্যাংকের একাউন্টে রয়েছে। উল্লেখিত টাকাগুলো সফলভাবে আপনার একাউন্টে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার পর ৩০ ভাগ পাবেন আপনি।

এরপর আমার ছেলে 'আলা' আপনার দেশে গিয়ে অবিলম্বে আপনার সহয়োগীতায় ব্যবসা শুরু করবে তাতে আমরা বর্তমান বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনগুলো থেকে মুক্তি পাবো। নিচের লিংকে গেলে আপনি এসম্পর্কিত কিছু তথ্য পাবেন। আমি আপনাকে আমার ব্যাংক একাউন্ট, অফিসারের নাম্বার দেব। আপনি যখন আগ্রহ প্রকাশ করবেন তখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পাউয়ার অব এর্টোনী, তহবিলের নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাংক অফিসার আপনাকে সহায়তা করবে। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, সম্পূর্ন প্রক্রিয়াটি বৈধভাবে সম্পন্ন হবে এবং শতভাগ ঝুকিমুক্ত, এতে কোন আইনী জটিলতার সম্ভাবনা থাকবেনা।

দয়া করে আমার পরিবারকে আপনি সহযোগীতা করুন। আপনার নাম, ঠিকানা, বয়স, পদবী, ফোন নাম্বার জানিয়ে উত্তর দিন এই ঠিকানায়- ধন্যবাদান্তে- ফাতিয়া খালেদ গাদ্দাফি। মূলত এটি একটি ভূয়া ইমেইল। হয়তো আরো অনেকের কাছে গিয়ে থাকতে পারে। এর আগে মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানিয়ে ইমেইল এসেছিল, অনেকে বিশ্বাস করে এসব ইমেইলের উত্তর দিয়েছেন।

তারপর বলবে মানি ট্রান্সফারের জন্য আপনি কিছু খরচ পাঠান আর এভাবে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিবে সঞ্চিত অর্থ। অতএব সাবধান। নিত্য নতুন ঘটনাকে পুজি করে এধরনের ইমেইল আসলে উত্তর না দেয়াটাই শ্রেয় মনে করি। অতি লোভে পড়ে অথবা আবেগ প্রবন হয়ে যেন নিজের টাকা পয়সা হারাতে না হয় তাই বিষয়টা শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.