আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংক্ষেপে : লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ



কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ১৯৬৯ এ ৭০জন আর্মি দ্বারা পরিচালিত রক্তপাতহীন অভ্যত্থানে প্রথমে বেনগাজি, তারপর রাজধানী ত্রিপলী এবং পরে পুরো দেশে কন্ট্রোল নেন । লিবিয়ার সামরিক নেতা হিসেবে তিনি ৪২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন । তাই তাকে নেতার নেতা বলা হয় । ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পদত্যাগের দাবিতে কিছু লোক বিদ্রহ প্রকাশ করে এবং বিদ্রহীরা একটা বাহিনী গঠন করে বেনগাজিসহ আরো দু-একটি শহর দখল করে নেয় । বিদ্রহীরা মাহমুদ জিবরিলকে প্রধানমন্ত্রী করে একটা অন্তর্বর্তীকালী সরকার গঠন করেছে ।

গাদ্দাফি বাহিনীর সাথে বিদ্রহীদের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে । বিশেষ করে মিসরাতা ও জিনতান শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে । এদিকে বিদ্রহীদের সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স । ধারনা করা হচ্ছে, গাদ্দাফির পদত্যাগ ও লিবিয়ার তেলসম্পদ লুন্ঠনই পশ্চিমাদের সহযোগিতার উদ্দেশ্য । যদিও তারা বলছে যে, লিবিয়ায় হামলার প্রধান লক্ষ্য যুদ্ধের হাত থেকে বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করা ।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ন্যাটোর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করতে চাইলেও জোটের সব সদস্য এতে রাজি নয় । লিবিয়ায় গত ১৯ই মার্চ থেকে পশ্চিমা জোট বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে । এর মধ্যে ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বাসভবন ও অন্যতম সামরিক ঘাঁটি বলে পরিচিত বাব আল-আজিজিয়া চত্বরে দুবার হামলা চালানো হয় । গাদ্দাফি বাহিনীর নৌঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, এখন জোটবাহিনীর হামলায় বাধা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই বললেই চলে । বাব আল-আজিজিয়া চত্বরে গত ২২ই মার্চ মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা যেকোন উপায়ে পশ্চিমা শক্তিকে পরাজিত করব ।

ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পশ্চিমাদের স্থান হবে । " এদিকে বিদ্রহীদের মুখপাত্র নিশান গৌরিয়ানি বলেন, "প্রথম থেকেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ছিল আর হল- একক লিবিয়া । " জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার বিরুদ্ধে নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয় । তাইতো ১৯ই মার্চ রাত থেকে "ওপারেশন ওডিসি ডন" নামে অভিযান শুরু হয় ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.