আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখুনতো ভাবনাগুলো ভুল কি না?

মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ কিছু করার প্রত্যাশায় আছি..... তারা টিভিতে বাংলাদেশের পতাকা পায়ের তলে স্টেজে রেখে অনুষ্ঠান করায় বেশ কথার ঝড় উঠেছে। কি লাভ তাতে? বুঝলাম আপনি আমি আমরা তাদের প্রচন্ড ঘৃণা করি। কিন্তু তাতে কি কোন লাভ আছে। আজ তারা টিভি করছে কাল আরও কয়েকটা চ্যানেল করবে। কিন্তু তারা এসব কেন করছে বলতে পারেন? ভেবে দেখুনতো আমরা আমাদের দেশকে কতটুকু বড় করে তাদের সামনে তুলে ধরছি? তার চেয়ে বরং আমরা তাদের দিকেই ঝুকে পড়ছি।

আমরা কি নিজেদেরকে তাদের সামনে হাসির পাত্র করে তুলিনি? ভেবে দেখুনতো, আজ যদি ভারত পর পর পাঁচবার দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হত এবং এর পর যদি ভারতের কোন নাগরিক আপনার সামনে তা ভারতীয় বলে পরিচয় দিত তবেকি তার আড়ালে একবার হলেও তাকে তিরস্কার করে মুচকি হাসতেন না? তবে তারা যদি তা করে তবে কি করে তাদের দোষ দেই বলেন। হ্যা এখন হয়তো আমরা আর সে অবস্থানে নেই তবে ঘাঁ টাতো এখনও শুকায়নি, না? আমাদের নৌবাহিনী মায়ামারের কাছে পরাজিত হয়ে আসে সেইখানে ভারতের মতো একটি পরমাণু শক্তি সম্পন্ন রাষ্ট্র কি করে আমাদের দাম দেয় বলেন? আমরা নিজেদের জামা কাপড় খুলে ভারতীয়দের সামনে দাড়িয়ে থাকবো আর তারা আমাদের পায়ে হাত দিয়ে পেন্নাম করে যাবে কি করে আশা করেন বলেনতো। বুঝলেন নাতো? আমরা তাদেরকে যেভাবে সব কিছু খুলে দিচ্ছি তাতেকি জামা কাপড় খোলার চেয়ে কম মনে করেন? ভাই এইসব ফাও প্যাঁচাল পিটটা লাভ নাই। দেশের সরকার যাইয়া ওদের পা চাটবে, তার দাদাভাইরে যা ইচ্ছা তাই করার জন্য দরজা খুলে দিবে আর আপনি এখানে বসে ঘরের দরজা বন্ধ করে, টিভি বন্ধ করে বসে থাকবেন তাতে কি লাভ। একটা ঘটনা বলি ভাই, আপনারা নিশ্চয়ই জি বাংলায় মীরাক্কেল দেখেছেন।

আমিও দেখি। দেখার পিছনে মূল কারণ হল আমাদের দেশের বেশ কয়েকটা ছেলে সেখানে খুব ভাল করছে। এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ অন্য যায়গায়। সেখানে আমাদের দেশের শশী নামের একটা মেয়েও পারফর্ম করে।

কিন্তু তার পারফরমেন্সে যতটা না থাকে জোকস তার চেয়ে বেশী থাকে দেশকে পচানো আর জি বাংলার পা চাটা। এসব করে তারা কি আনন্দ পায় বুঝিনা। জোকস করতে হলে নিজের দেশকে কেন অন্য দেশের মানুষের কাছে পচাতে হবে? ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি দেশ নাকি মা। বিশ্বাসও করি তাই। তাহলে এগুলা কি নিজের মাকে অন্যের কাছে হাসির পাত্র করে তুলা না।

এবার মজার ঘটনা শোনেন, শশীর বাড়ী হচ্ছে ভৈরব। ঘটনাক্রমে আমার ভালবাসার মানুষটির বাড়িও সেখানে। একদিন কথা বলতে বলতে বলে বসলো শশী তার ছোটবেলার বান্ধবী। শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম। তারপর সব তাকে খুলে বলে বললাম যদি কখনও পারে তাকে যেন বলে, দেশটা যেমনই হোক দেশটাকে যেন ভালবাসতে চেষ্টা করে।

কথাগুলো শোনার পর বেচারি মন খারাপ করে বসে রইল। তখন ভাবলাম, এই মানুষগুলো কেন তাদের কাছের মানুষগুলোর গর্ববোধকে পদদলিত করে। জানিনা কেন, তবে এইটুকু বলতে পারি ভারতীয় জনগনকে ধিক্কার না জানিয়ে নিজেদের ধিক্কার জানান। একটা কথা বলি, আমরা জাতি হিসেবে যতটা পিছিয়ে আছি, মানুষ হিসেবে তার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে আছি। এভাবে চিন্তা করতে চাইনা, তবু বাধ্য হচ্ছি ।

আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আর যাই হোক নিজের চিন্তাধারাটাকেতো একটু ঝালিয়ে নেয়া যাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।