আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুখী দম্পতির আত্মহনন !!!

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছুই বাকি ছিল না আনন্দ ও দীপা রন্তিদেবনের। হাসি আর আনন্দে পার করেছেন ফেলে আসা দিনগুলো। প্রচুর অর্থও উপার্জন করেছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশে। জীবনটা উপভোগ করেছেন প্রাণভরে।

কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন সুখও বোধহয় একসময়ে অস্বস্তির হয়ে ওঠে। আর তাই স্বেচ্ছায় মৃত্যুর পথে পা বাড়ালেন তাঁরা। তবে একা নয়। একসঙ্গে। একে অপরের হাত ধরে।

সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের গোয়া রাজ্যের পানাজির মারসিজ এলাকায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। তরুণ ওই দম্পতি বেছে নিয়েছেন আত্মহননের পথ। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বয়সে তরুণ ওই দম্পতি কাজ করতেন একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে। হঠাত্ দুজনে একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। রেখে গেছেন একটি চিঠি।

তাতে লিখেছেন, ‘জীবনটা আমাদের একান্তই নিজস্ব। তাই মৃত্যুর সিদ্ধান্তও আমাদের নিজস্ব। ’ ওই দম্পতি মনে করে, জীবনে যতটা বাঁচার, তারা বেঁচেছেন। যতটা উপভোগ করার, করেছেন। এখন জীবনের ইতি টানা দরকার।

আর তাই তাঁদের আত্মহননের সিদ্ধান্ত। আত্মহননের আগে রেখে যাওয়া ওই চিঠিতে এমনটাই লিখে রেখে গেছেন আনন্দ আর দীপা। তাঁরা আরও লিখেন, তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। প্রতিবেশীরা বলছে, মারসিজের ওই ফ্ল্যাটে ৩৯ বছর বয়সী আনন্দ আর ৩৬ বছর বয়সী দীপা বেশি দিন আগে ওঠেননি। প্রতিবেশীরা তিন-চার দিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে এক ধরনের পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন।

এরপরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বসার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আনন্দ ও দীপার লাশ। পুলিশ ধারণা করছে, দুজনে একসঙ্গে একটি টুলের ওপর উঠেছিলেন। এরপরে দড়ি দিয়ে নিজেদের একসঙ্গে ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে বাঁধেন। তারপর টুলটি সরিয়ে দেন।

ফলে একসঙ্গেই মারা যান দুজন। দীপা আর আনন্দের কোনো পিছুটান ছিল না। পরিবারের কারও প্রতি কোনো দায়দায়িত্বও ছিল না। মৃত্যুর আগে সবকিছুই গুছিয়ে রেখে গেছেন তাঁরা। নিজেদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কীভাবে ভাগ হবে সবকিছুই ঠিক করে গেছেন।

এমনকি মৃত্যুর পরে কীভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সেটিও লিখতে ভোলেননি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানানোর পরে সরকারি বৈদ্যুতিক শব চুল্লিতে তাঁদের দাহ করা হবে। এ জন্য খরচ বাবদ একটি খামে ১০ হাজার রুপিও রেখে গেছেন দীপা আর আনন্দ। গোয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দীপা ও আনন্দের আত্মীয়রা বৃদ্ধ।

তাই তাদের পক্ষে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।