আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একাত্তরে পাক বাহিনীর চেয়েও হিংস্র ছিল জামায়াত

আমি বাংলাকে ভালোবাসি, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ঘ্বনা করি দেশ বিরোধীদের মীরজাফর থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত্য রাজাকারদের। পাকিস্তানি পত্রিকার সম্পাদকীয় মন্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়েও তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী বেশি হিংস্র ছিল। সে সময় জামায়াতের সৃষ্ট আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের গণহত্যায় আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছে। পাকিস্তানের ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ডেইলি টাইমস গত বুধবার তাদের সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করেছে।

‘ক্লোজিং ওল্ড উন্ডস’ (পুরোনো ক্ষতের অবসান) শিরোনামে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, অবশেষে বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ৩০ লাখ মানুষ হত্যার তদন্ত ও যুদ্ধাপরাধের মূল হোতাদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার সাংবিধানিক উপায়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এই ট্রাইব্যুনাল প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অপরাধে অভিযোগ গঠন করেছেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ আনা হয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে। সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছিল, সাঈদী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জামায়াতের সমর্থকেরা এর প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

ডেইলি টাইমসের ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এ মামলার রায় হতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে দেশটির জাতীয়তাবাদী যুদ্ধে যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল? পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানে সহায়তা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা আল-বদর ও আল-শামস নামে আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছিল। এ বাহিনী বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের গণহত্যায় ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যতটা না হিংস্র ছিল, এই উগ্র গোষ্ঠীটি গণহত্যায় তাদের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছে।

’ ক্লোজিং ওল্ড উন্ডস শিরোনামের ওই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাদের সেই অপরাধের জন্যই এ বিচার এবং সাঈদীর মতো অনেকেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। ’ সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘অতীতের সেই ঘটনার বিচারের উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশের ৪০ বছর সময় লেগেছে। ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার এই বিচার শুরু করেছে। ’ তবে সম্পাদকীয়তে এও বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘ বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধান ছাড়া দেশীয় আইনে এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। যদিও কেউ কেউ এটাকে পক্ষপাতমূলক বলে অভিহিত করছে।

’ সম্পাদকীয়তে শেষে বলা হয়েছে, ‘পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে বর্বরতা সংঘটিত হয়েছিল, তা আমাদের জাতীয় লজ্জা। এর ফলে তারা শুধু ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানকে ধ্বংস করেনি, পাকিস্তান সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখছে নিজের বেলুচিস্তান সীমান্তে। এখন যদি আমরা ১৯৭১-এর পুনরাবৃত্তি না দেখতে চাই তাহলে বেলুচদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে, পাকিস্তানের অঙ্গহানি হওয়ার আগে আমাদের উচিত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া। ’ সুত্র : প্রথম আলো অনলাইন সংস্করন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.