আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাত্র ছ’মাস নাস্তিক ও ধর্মবিরোধীদের স্বসম্মানে বাতিল করে একবার ধর্মভীরুদের নিয়ে দেশ শাসন করে দেখুন না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আড়াই বছর হয়ে গেল আপনি নাস্তিক ও ধর্ম বিরোধীদেরকে দিয়ে দেশ শাসন করছেন। যারা তোষামোদপ্রিয় এবং আপনার সামনে কেউ সত্য কথা বলে না। তাদের একটিমাত্র বৈশিষ্ট্য যে তারা ধর্ম বিরোধী। অথচ এদেশের প্রায় সব মানুষই আল্লাহভীরু এবং ইশ্বর ও গড ভীরু। মানুষের এই বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদেরকে শাসন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।

যারা কোন সৃষ্টিকর্তাকেই মানে না বা ভয় করে না তারা মানুষকেই ভয় করে এবং পরিস্থিতি সেই ভাবেই ম্যানেজ করে। এইভাবে ম্যানেজ করতে করতে তারা কিধরণের মানসিকতার অধিকারী হয় তা আপনি জানেন। যে ব্যক্তির কাছে বা যে সংস্থার কাছেই স্বার্থ উদ্ধার করার দরকার তারা শুধু তাদেরকেই ভয় করে এবং ম্যানেজ করে। পৃথিবীর কোন দেশেই এই ধরণের লোকদের দিয়ে উন্নত শাসন করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়াকে দ্যাখেন।

নাস্তিকরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশটাকেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। এখন তারা আস্তিক হয়েছে ঠেলায় পড়ে। ভারত, চীন, জাপান, আমেরিকা, ফ্রান্স, বৃটেন সব দেশের শাসকরাই অন্তত একজন সৃষ্টিকর্তকে ভয় করেই করে। তাদের শপথ নেবার সময় আমরা তা দেখতে পাই। এই তো সেদিন পশ্চিম বঙ্গের মমতার মন্ত্রীসভায় সবাই ইশ্বরের নামে শপথ করেছিল।

শুধু একজন মুসলমান ছাড়া। সম্ভবত সে নাস্তিক। কিন্তু মুসলমানদের ভোট পাবার আশায় নামটা মুসলিমই রেখে দিয়েছে। এরা আসলে খুব বড় ধরণের প্রতারক। ধর্মবিরোধীরা কার ভয়ে ভাল থাকবে বা ভাল কাজ করবে।

যাই হোক নাস্তিকরা স্রষ্টাকে ভয় করে না বলে অন্য মানুষকে নিজের জোরের ভয় দেখায় এবং গায়ের জোরে সব কাজ উদ্ধার করতে চায়। কিন্তু সত্যিকার গণতন্ত্রে কি জোর চলে? তারা হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি এসবের মধ্যেই আনন্দ পায়। গণতন্ত্রই তো স্রষ্টার বিধান। আর বর্তমান আধুনিক যুগে এ সবে কি শান্তি আসে? আজ দেশের অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। এ দল ও দল করে আপন ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তারক্তি হচ্ছে।

স্বামীস্ত্রী ছাড়াছাড়ি হচ্ছে। বন্ধু শত্রু হয়ে যাচ্ছে। সবজায়গায় শুধু ভাঙ্গন। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ পানি এসব নাহয় বাদই দিলাম। তাই অন্তত পরীক্ষা মূলক হলেও প্রকৃত ধর্মভীরুদের নিয়ে মাত্র ছটি মাস দেশ চালিয়ে দেখুন।

আশাকরা যায় তারা অন্তত স্রষ্টার ভয়ে সৎ কাজ করতে বাধ্য হবে, অন্তত রয়েসয়ে কাজ করবে। এমন কি র‌্যাব পুলিশও স্রষ্টার ভয়ে কম নির্যাতন করবে। স্রষ্টার ভয় থাকলে যে কোন মানুষ একটু সংযত আচরণ করে। সুবিচার করে। সে যে কোন ধর্মের মানুষ হোক না কেন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.