আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীরব সমাজ, সরব সি সি ক্যাম!

http://www.myspace.com/423882880/music/songs/31785002 আজও দৈনিক যুগান্তরে সিলেটের বিয়ানীবাজারে কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের একটি খবর ছাপা হয়েছে। এখন ভিকটিমের পরিবারকে শাসানো হচ্ছে এই বলে যে, মামলা তুলে না নিলে ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে দেয়া হবে। কি দু:সাহস এই ডিজিটাল অপরাধীদের! ক্ষতটা দিনে দিনে বড়ো হচ্ছে। পায়ের ক্ষত সারা শরীর শেষে এখন ছড়াচ্ছে মগজে। মূল্যবোধের মূল্যসূচকে নামছে দারুণ ধ্বস! মূল্যবোধ প্রতিনিয়ত হচ্ছে ঘৃণিত! হবেই না বা কেন, মূল্যবোধ কি দিচ্ছে আমাদের- চাকরি, আর্থিক স্বাধীনতা, ভাত-ডাল? না! মূল্যবোধ শুধু দিচ্ছে হ তা শা!! তার সেই হতাশা থেকেই চারিত্রিক অধ:পতনের বাতাসা খেছে নিচ্ছে সুযোগ-সন্ধানীরা।

নিজেদের মা-বোনদের শরীর বেচার এক পাশবিক আনন্দে মেতেছে এরা! নিজেদের না হলেও অন্যদেরটা বাজারে বিকোচ্ছে অবলীলায়! কি সমস্যা এই সমাজের? মনটা কিভাবে-কখন দখল করে নিলো এই অধ:পতন? বিকৃত কামনা আর উদরপূর্তিই কি জীবনের সব কিছু? কোনো দায়িত্ববোধ নেই, ভালোবাসা নেই!! বেচা কেনা- কেনা বেচা করতে করতে বিবেকই কিনা শেষে হয়ে গেছে পণ্য। এই সমাজে বিবেকের দাম পর্ণোগ্রাফীর সমতুল্য। একজন বেশ্যার ছেলে ডাক্তার হয়ে হাজার মানুষের সেবা করতে পারলে আমরা যারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের, সুশীল সমাজের অধিবাসী- আমাদেরতো আরো ভালো কিছু করা উচিৎ! আমরা কিনা মোবাইল ক্যামেরায়, সিসি ক্যামেরায়, গোপন ক্যামেরায় অমানুষের মতো, দায়িত্ব কান্ডজ্ঞানহীন ভাবে অন্যের সম্মান হানি করছি। পুরো সমাজটাকেই বেশ্যা বানাতে চাইছি!! এতো ক্ষুধা কেন আমাদের? এই ক্ষুধা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে? মনের হিডেন ক্যামেরাটা আগে সরাতে হবে। মা আর বোন অথবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রতিপক্ষকে বেশ্যা বানানো বিকৃত ইচ্ছাটাকে দমন করতে হবে।

পুরো সমাজকে ব্রোথেল বানানোর যে প্রাণান্তকর চেষ্টা সেটা বন্ধ করতে হবে। নিজেকে ফেরাতে হবে আগে! আর আইনপ্রয়োগকারী এবং সরকারের কথা কি বলবো! সমাজের এই অধ:পতন নিয়ে এরা মোটেও চিন্তিত না। বেশ্যাসমাজে যাতে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে সেটার পুরো বন্দবস্ত করে ফেলে এই পৃষ্ঠপোষকের দল। দুই একটা কীটকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দিলেই কিন্তু আইনের অবেশ্যাত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আইনের ওপর মানুষ ভরসা করতে পারে! কিন্তু বিকৃত কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সরকার ও তার আইন নীরব ভূমিকা পালন করছে, ধীরগতিতে এগুচ্ছে।

এগুলোর মানে কি? আমরা তো এমন ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইনি, যে দেশ মা- বোনদের ইজ্জত বিক্রেতা দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে আলোচিত হবে! এখন এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে দেখা হলে বলে, " কি মামা, নতুন কারো কিছু বের হইছে?", "নে আমার কাছে অমুকের টা আছে! ব্লু টুথটা অন কর/ পেড্রাইভটা দে" কি ভয়ংকর। কি আত্মঘাতী!! এদের দিয়ে জাতির কি হবে, দেশের কি হবে? আমি জানিনা!! পচনটা রোধ হবে কবে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।