আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জবিতে বিক্ষোভ: দুই মামলায় ১৫ সাংবাদিকসহ আসামি ৫৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সাংবাদিকসহ আসামি করা হয়েছে ৫৯ জনকে। অর্থায়ন সংক্রান্ত আইন সংশোধনসহ অন্যান্য দাবিতে রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করে জবি শিক্ষার্থীরা। কোতোয়ালি থানায় ১৫ সাংবাদিক এবং ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাসহ ৪০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন উপপরিদর্শক কাওসার। শাহবাগ থানার মামলায়ও একই অভিযোগ এনে আসামি করা হয়েছে ১৯ জনকে, যাদের মধ্যে ওই দুটি সংগঠনের একই আসামিরা রয়েছেন।

রোববারই ওই মামলা দুটি করা হয়। প্রথম মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, রোববার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধ করে জানমালের ক্ষতিসাধন করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাহীন আহমদ খানকে। এর পরে যথাক্রমে রয়েছেন সেক্রেটারি রিয়াদ হোসাইন রাইহান এবং প্রচার সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল সবুজ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন।

এ ছাড়া একই সংগঠনের যুগ্ন আহবায়ক খলিলুর রহমান, এম মহসীন বিশ্বাস, খোন্দকার আল আশরাফ মামুন, মাহবুবুর রহমান রবি, মানিক, এম মামুন হোসেন ভূইয়া, কর্মী সজল, সোহেল, স্বপনের নাম আসামি হিসেবে রয়েছে। একই মামলায় আসামি করা ১৫ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক হলেন- বিএনএন নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম শাকিল, ফোকাস বাংলার জুনায়েদ আহমেদ, একই সংবাদ সংস্থার আতিকুর ইসরাম রিফাত, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জসিম রেজা, ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্টের জামিল খান, ডেইলি সানের সোলাইমান সালমান, বিএসএসের মহসীন বেপারী, দৈনিক ইনকিলাবের এমএ মালেক, দৈনিক নয়াদিগÍের সুজাউল ইসলাম বাবু, দৈনিক সংগ্রামের জাবের হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নী, ডেইলি নিউ এজের আব্দুর রহমান লিমন, দৈনিক খবরের ইব্রাহীম প্রিন্স, দৈনিক সকালের খবরের তানভীর রায়হান, শীর্ষ নিউজের কমের ইয়াসীন হোসেন। শাহবাগ থানার মামলায় ভাঙচুর, অবরোধ, জানমালের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করেছেন বাদী উপপরিদর্শক এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া। কোতোয়ালি থানার ওসি সালাউদ্দীন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নেপথ্যে ছাত্রশিবির ক্যাডাররা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

" "তাছাড়া সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিলো, যাতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। " কোতোয়ালি থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ মামলার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোতোয়ালি থানায় দুজন ছাত্র আটক হয়েছিলো, আমি তাদের জামিনে মুক্ত করেছি। তবে বিকালে এ মামলার একটা কপি আমি হাতে পেয়েছি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.