আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাঁজা---------- (আঠারো পজিটিভ না নেগেটিভ কইতারিনা)

যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা তুমি স্বপ্ন দর্শনার্থী, আমিও। স্বপ্নের ত্রিস্তর, প্রতিটি স্তরেই আমরা গাজাখোর। তোমার গাঁজা “more” ব্রান্ডের সিগারেটের ভেতরে। আমার হাতে আকিজ ব্রান্ডের বিড়ির ভেতরে জিনিষ। গন্ধিকা বনে মাতাল চাঁদের ছোয়া।

অতঃপর তুমি আমার মুখে গঞ্জিকার একরাশ ধোয়া ছেড়ে, ঢুলতে ঢুলতে সেই অখ্যাত কাব্য আবৃতি করবে। আজি এই গন্ধকময় মৃদু মৃদু মৃতকল্প আলোচ্ছটায়, অতীন্দ্রীয় অভ্যগত অটবিতে- তোমাতে আমাতে রুধিব প্রভাতি। অনুভূত কথা, গাহিয়া কহিব- অসূর্যাস্পর্সী, শতদলে দোদুল্যমতি, তমাশ্রি আশ্রিত তটিনী তটে। এবার আমার পালা, আমি চোখ বুজে বিশাল এক নিমাই টান দিয়ে স্বপ্নের দ্বিতিয় স্তরে চলে যাব। চোখ খুলে দেখব আমরা সিগিরিয়া রকের ৪০০ ফিট উপরে।

রাজা কাশ্যপের দুইশত রক্ষিতা আমার চার পাশে ঘিরে। তারা সবাই বিবস্ত্র, লক্ষ বছর ধরে। তাদের হাতেও গাঁজার কল্কি। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে বিতৃষ্ণার্ত আমি এগিয়ে যাব তোমার দিকে। ।

ত্রিপুরার বাদ্য বেদনায় আমি গলা ভরে গেয়ে উঠব......... অদ্রি তোমার চিত্ত কঠিন জলে, আমি সখায় সখ্যতারই ছলে। ফুল ছড়ালেম কোমল আজলা ভরে। কিছুই আমায় দিলেনা প্রতিদানে। নেই কোন লাভ বৃথাই অর্ঘ্য দানে। আমি একা কাশ্যপ বিহারে।

লোচন লবন সখার অন্তঃধরে। গান শুনে তুমি স্তব্ধিত। সমস্ত কুমারিত্ব হাতির পদতলে রেখে তোমার নগ্ন হাত আমার খোলা হাতে। আমার হৃদয় কম্পিত উত্তেজিত, নিরব চারিপাশ, নীরব (মেঘ) তোমার হৃদয়। যেমন প্রবলতম ঝড়ের ঠিক আগের মুহুর্তে থাকে।

আমার অতৃপ্ত আঙ্গুল তোমার শুস্ক ঠোটে। কিন্তু হায়, তোমার ঠোটে ঠোট নেই, সেখানে সিগারেটের প্রজ্জলিত স্ফুলিংগ। সে এক অদ্ভুত ফোসকা অনুভুতি। তুমি বুকের আচল ফেলে দিলে আমি সমস্ত চোখে সমস্ত পৃথিবীর উচ্চতম ঢেউ দেখতে লাগলাম। অবচেতনায় হারিয়ে গেলাম জলের অবতলে লালিত জলজ খেলায়।

আমি গর্বিত গ্লাডিয়েটর। তুমি সর্বস্ব হিসেবে আমাকে আকড়ে ধরলে, যেন তুমি মধ্য সুমুদ্রে ডুবন্তি আর আমি শেষ ভরষা খড়কুটো। পাহাড়ের ঝর্না ধরে সোনালি সৈকতের পথ ধরে হারিয়ে গেলাম রাবনের সুমুদ্রে। তোমার চোখে তৃপ্তির জল, ঠোটে গঞ্জিকা, নিঃশাষে যৌনতা। আবারো অস্পষ্ট স্বরে গুন-গুন- গুঞ্জরিয়া উঠবে কবিতাবৃন্দ......... বিবুমুমুক্ষু এ বাহু তব বাহুবন্দী রাবাহূত বীপ্রতিচিকির্ষু মন অজানুলম্বিত অনুভবে জীবন্মৃত অনুভুত।

পরষে হরষে মনাঞ্চল হীমাচল অকিঞ্চিত আজ অনির্বচনীয় সুহৃদ। তৃপ্ত পূর্ন শরীর তৃপ্ত মঞ্জুল অচল। সলিলে ছায়াময় অম্বুদ তড়িৎ। ষ্টিক একটা শেষ দ্বিতীয়টা ধরানোর পালা আসবে। আমরা তখন তৃতীয় স্তরে।

দ্বিতীয়াতে প্রথম টান দিতেই আমরা চলে আসব মৃতনগরিতে, অনুরাধা নগর। সেখানে অশ্বথ বৃক্ষের নীচতলায় বসে নীর্বান লাভ করব, পরম নীর্বান। প্রতি টানেই নীর্বানের চরম পরম সুখ। আত্না ছেড়া হয়ে তুমি আমার কোলে পা রেখে বলবে, একটা রবীগীতি গাইতে ইচ্ছে করছে। আমি চক-চক চোখে বলব গাও...... ফকির লালন বলে, তোমার দেহে আছে ছয় জন রিপু বলি দাও গুরুর শ্রীচরণে।

। আমি মুগ্ধ কন্ঠে বলব বাহ! বাহ! কেয়া শায়ের হে! কিন্তু এইটা তো লালনের গান! তুমি তাচ্ছিল্য ভরে বলবে আমি ধুন খেয়েছি তাই রবীগিতীকে লালন গিতী বলছি। আমি মেনে নেব কারন আমি তখন তোমার বুকে নেশাগ্রস্থ। লেখাটা কেমন যেন একটু কেমন কেমন, তাইনা? কেমন কেমন তো হবেই, সাধেতো আর এই জিনিষের নাম ধুন রাখা হয়নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।