আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাঁজা

আসসালামু আলাইকুম, সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক সেই মানুষটির উপর যে হেদায়েতের, সত্যের অনুসরণ করে। আমেরিকাতে সবচে বড় হল কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গাঁজা উৎসব। ২০১০ সালে ১০, ০০০ লোক জমা হয়েছিল এই গাঁজা উৎসবে এবছর তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশে গাঁজা উৎসব- বিভিন্ন মাজার, সাধু সন্তদের আখড়ার মেলাতে গাজা খাওয়ার রেওয়াজ আছে।

বগুড়ার মহাস্থান গড়ের বাৎসরিক গাঁজা উৎসব পালিত হয় ফাল্গুন মাসের শেষ শুক্রবারে। ঐদিন এখানে ৪০ মন পর্যন্ত গাঁজা খাওয়া হতশুনেছি আজকাল প্রশাসনের বাধার কারনে সে মেলা আর বসে না। সিলেটের শাহ জালালের মাজারের ওরসে, এবং কুস্টিয়ার লালন মেলায় বসা গাঁজা মেলা স্বচক্ষে দেখা। রাজশাহী শহরের অদুরের খেতুরের মেলাও গাঁজা সেবনের জন্য বিখ্যাত মেলা। গাঁজার বৈজ্ঞানিক নাম Cannabis sativa (ক্যানাবিস স্যাটিভা )।

পশ্চিমা দেশ গুলোতে মারিজুয়ানা বা মারিহুয়ানা নামে পরিচিত। নিয়মিত এবং বেশী মাত্রায় গাঁজা জাতীয় দ্রব্য সেবনে গাঁজা সাইকোসিস (Ganja-psychosis) নামে একধরনের লক্ষন হয়। গাঁজা সেবনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেবনকারী ব্যক্তির হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়৷ কোমনালীগুলি(Bronchial Passages) শিথিল হয়ে বেড়ে যায় এবং চোখের রক্ত প্রবাহের শিরাগুলি স্ফিত হয় যার কারণে চোখ লাল হয়৷ হৃত্‍স্পন্দন স্বাভাবিকের (মিনিটে ৭০-৮০বার) চেয়ে বেড়ে যায়। মাদক হিসেবে গাঁজার জনপ্রিয়তা ও চাহিদা সর্বত্র৷ গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়। এ কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গঞ্জিকা সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেট পানের চেয়ে কম। প্রাচীন কাল থেকে গাঁজা সারা দুনিয়ায় একটি বহুল ব্যবহৃত মাদক। কম মুল্য এবং সহজলভ্যতার কারনে নিম্ন আয়ের নেশাখোরদের মাঝে অত্যন্ত আদরনীয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মাদক হিসেবে গাঁজা নিষিদ্ধ৷ তবে সম্প্রতি ক্যানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং ইসরায়েলসহ কিছু দেশে ওষুধ হিসেবে গাঁজা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যেও এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ গাঁজার মূল নেশা উদ্রেককারী উপাদান হচ্ছে ডেল্টা-৯-ট্রেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (delta-9-tetrahydro cannabinol) সংক্ষেপে THC৷ এই টিএইচসি-র পরিমানই ব্যবহারকারীর নেশার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিছুদিন আগে- প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের দায়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইমাম নুরী(৩০) নামে এক যুবকের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গাঁজা গাছের পাতা শুকিয়ে সিদ্ধি তৈরি করা হয়। সিদ্ধি থেকে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ঔষধ তৈরি করা হয়। এছাড়া সিদ্ধি মুখে পুরে চিবিয়ে নেশা করে অনেকে। গাছের আঠা থেকে চরস তৈরি হয়ে থাকে। অনেক সময় গাঁজার ফুল শুকানোর সময় যে গুঁড়া উৎপন্ন হয়, তা আঠার সাথে যুক্ত করে চরস তৈরি হয়ে থাকে।

অনেক সময় এই আঠা পাওয়ার জন্য গাঁজার গাছ কেটে দেওয়া হয়। নওঁগা জেলায় সমবায় সমিতির মাধ্যমে সরকারী নিয়ন্ত্রণে গাঁজার চাষ হতো ক'বছর আগেও৷ ওখান থেকে সংগ্রহ করে গাঁজা বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে পেঁৗছে যেতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গঞ্জিকাসেবীদের কাছে ৷ বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে গাঁজার উত্‍পাদন ও বিপণনের ওপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়৷আজ থেকে ৪১ বছর আগে ১৯৭১ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান রাফায়েল হাই স্কুলের কয়েকজন কিশোর ছাত্র বিকেল ৪ টা বিশ মিনিটে একত্রে বসে গাজা খেত লুই পাস্তুরের মুর্তির পাদদেশে । আমি প্রায় দশ বছর আগে গাঁজা খেয়েছিলাম। আমি নেশা করার জন্য খাইনি। এটার স্বাদ জানার জন্য।

ফালতু জিনিস। কিন্তু আমি এই ফালতু জিনিস অনেক মানুষকে খেতে দেখেছি। ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকায় গাঁজা বিক্রি হয়। একটা কৌতুক বলি- একবার এক সদ্য গাজাখোর বাড়ী ফিরেছে। কোনভাবেই যেন বাবা টের না পায় সেজন্য খুব সতর্ক।

দরজা খুলে দিতেই সে এ্যাজ ইউজুয়াল সালাম দিলো। তারপরে দরজা দিয়ে দিলো। বেশী রাত হয়েছে বলে তার বাবা কটমট করে তাকিয়ে আছে কিন্তু বকাবকি করছে না। বললো, ''ভাত খেয়ে নাও!'' ছেলেটি গিয়ে টেবিলে বসেছে। রগচটা বাবা দাঁড়িয়ে আছে পাশে।

ভয়ে ভয়ে সে খুব সতর্ক ভাবে ভাত নেয়, তরকারী নেয়, তারপরে ঠিকঠাক মত খেতে থাকে। এরপরে ডাল নেয়, ডাল দিয়ে খেতে থাকে। এবার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে বাবা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে। ছেলেটি খুঁজে পায় না সে কি ভুল করেছে। যেই খাওয়া শেষ হয়েছে বাবা এসে মারলো জোরে একটা থাপ্পর।

বললো, ''হারামজাদা, তুই যে ভাত খেয়েছিস, প্লেট কই?'' যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর গ্রামের বটতলা রহিমের দোকান, হাঠখোলার দিঘীর পাড়, দফাদার পাড়ার দিঘীর পাড়, মিস্তী পাড়ার রাস্তায় গাঁজার আসর বেশি হয়। হুমকির মুখে পড়ছে তরুন সমাজ। দুঃচিন্তাই ভূগছেন অভিভাবকগন। মাদকের কারনে নষ্ঠ হচ্ছে ছাত্র সমাজ। এক টানে তে যেমন তেমন- দুই টানে তে প্রজা, তিন টানে তে উজির-নাজির, চার টানে তে রাজা !!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।