আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুদ্দুসের কৌতুক(কিন্চিৎ ১৮ প্লাস)

মন ভাল নেই... কুদ্দুসের প্রেমিকা ভাগ্য বড়ই ভালা। সে বেশ কয়েক মাস ধইরা প্রেম করার পরে একদিন একটা এস,এম,এস পাইল। পাইয়াতো মৃদু হার্ট অ্যাটাক খাইল। গার্লফ্রেন্ড লিখছে, "চল আমাদের রিলেশন ভেঙ্গে দেই, আমি আগের মত তোমার প্রতি আর ফিলিংস পাচ্ছিনা। " কুদ্দুসে বুকে হাত দিয়া বড় বড় নিশ্বাস কেবল ফেলা শুরু করছে।

এর মধ্যেই প্রেমিকার আরেকটি মেসেজ আইল। "সরি সরি, এই এস,এম,এসটা তোমার জন্য না। " কুদ্দুসে সাথে সাথে জ্ঞান হারাইয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়ছে। তয় চেতনা পাইতেই কুদ্দুসে কানে ধরছে আর প্রেম না। একদম ডাইরেক্ট বিয়া।

আম্মাজানের পছন্দমত কুদ্দুসে বিয়া করছে। বিয়া কইরাই ওই রাতেই হানিমুনে গেছে হক্সবাজার। বউ হেব্বী সুন্দরী। কথাবার্তায় যথেষ্ট স্মার্ট সাজার চেষ্টা করেন। কুদ্দুসে বউ লইয়া গেল সোহাগ কাউন্টারে।

একটু পর বাস আইলো, একজিকিউটিভ ক্লাস- দুই হাজার টাকার উপর দাম টিকেট। কুদ্দুস লাগেজ উঠাবে। বউ কইল, "তুমি জিনিসপত্র রাখো, আমি বাসে উঠি। " কুদ্দুসে টিকেট বাড়ায়া দিয়া বললো, "এইটা নিয়া যাও। " উনি বললেন, "তোমার কাছেই রাখো।

আমি দেখি জানালার পাশে ভালো দুইটা সিট পাওয়া যায় কিনা, দখল করতে হবে। " (এইটা পিয়াল ভাই এর সৌজন্যে পাওয়া রিয়েল লাইফ কৌতুক)। কুদ্দুসে মনে মনে ভাবে শুধু হায় কারে বিয়া করলাম! ফাইভ স্টার হোটেলে বউ লইয়া উঠছে। বউরে আধা ঘণ্টা পরে নীচে নামতে কইয়া কুদ্দুস গেল কিছু কেনাকাটা করতে। বউ নামলে খাইব এক সাথে।

বউ দেখি এক ঘণ্টা পার হইয়া যায় তাও নামেনা। কুদ্দুস ভাবল, বউ নিশ্চিত সাজগোজে বেস্ত তাই দেরী হইবার লাগছে। মাগার আরও এক ঘন্টা গেলে কুদ্দুস রিসিপশনে গিয়া ফোন দিল। - কি হইছে! তুমি নাম না কেন! - আমিতো নামার দরজা খুজে পাইতেছিনা! - কেন! কোত্থেকে নামার দরজা খুজে পাওনা? - রুম থেকে। - কেন রুমে দরজা দেখনা? - দেখিতো তিনটা দরজা।

একটা বাথরুমের, আরেকটা ক্লজেটের, আর আরেক্টার গায়ে লেখা আছে 'ডু নট ডিস্টার্ব'। তাও কুদ্দুসে মনের দুঃখ নিয়া ভাবল! যাক বিয়া জখন কইরাই ফালাইছি। কি আর করা! বাসর রাইতখান কইরা লই। কুদ্দুসের বউ আবার অনেক লাজুক। কুদ্দুসরে কইল, "জানো এই বেপারে আমার একটুও অভিজ্ঞতা নাই।

তুমি কি শুরু করার আগে আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবা!" কুদ্দুসে একটু ভাইবা বলল, "দেখ আমার তোমার ঐ জায়গা একটা জেলখানা আর আমার এইটা হইল কয়েদী। এখন কয়েদিকে জেলে ঢুকাইতে হবে। " কুদ্দুসের বউ তো খুশিতে বলল, "জলদি কয়েদিকে ঢুকাও। " কুদ্দুসে যখন কাজ শেষে একটু তৃপ্তি ফেলে পাশ ফিরেছে। অমনি বউ কুদ্দুসের কানে কানে বলছে, "ওগো কয়েদিতো জেল খানা থেকে বের হয়ে গেল!" কুদ্দুসে বিশাল হাসি দিয়া আবার কাজে বেস্ত হয়ে গেল।

ক্লান্ত শরীরে দ্বিতীয় যুদ্ধ শেষ কইরা বিশ্রাম নিতে লাগলেই বৌ একখান বিশাল সেক্সি লুক দিয়া কইল, "ওগো কয়েদিতো আবারো জেল খানা থেকে বের হয়ে গেল!" কুদ্দুসে ওই দৃষ্টি অগ্রাহ্য করতে না পাইরা জয়তু বলে ঝাপিয়ে পড়ল আবার। একদম বিদ্ধস্ত হইয়া কুদ্দুসে নেতাইয়া পইড়া থাকাল। একটু পড়েই বৌ আবার কয়, "শুনছ! কয়েদিতো জেল খানার বাইরে!" কুদ্দুসে এইবার রাইগা বউরে কয়, "কয়েদির কি যাবজ্জীবন কারাদন্ড হইছে নাকি! এইবার অফ যাও। " বিয়ার কিছু মাস না যাইতেই একদিন বৌ লাফাইতে লাফাইতে আসছে কুদ্দুসের কাছে, "ওগো জানো আমি মা হইতে চলছি। " কুদ্দুসতো মহা খুশি।

বউরে জড়াইয়া খুশিতে লাফাইতে থাকল। খুশিতে কুদ্দুসের মুখে কথা নাই। বউ আবারো কইল, "শুন শুন সাথে আরও খবর আছে। " কুদ্দুসে জিগাইল, "সাথে আবার কি খবর!" বউ আহ্লাদী হাসি দিয়া কইল, "আমাদের যমজ বেবী হচ্ছে। " কুদ্দুসেতো পুরা অবাক, "তুমি এইটা এত সকালে কেমনে জানলা!" বউ হাইসা কয়, "খুব সহজে।

আমি ফার্মেসি থেকে দুইটা প্রেগন্যান্ট টেস্টের কিট এনেছিলাম। দুইটা কিটের টেস্টই পজিটিভ আসছে। " বেচারা কুদ্দুসের দুঃখের সীমা নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।