আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজপথ প্রাইভেট কারের দখলে!!!

বর্তমানে ঢাকার রাস্তার একপ্রান্ত থেকে রাস্তায় তাকালে প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট ছাড়া আর কিছু দেখা যায়না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব একটা দেখা যায়না। ৯০% দেখা যায় প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট আর বাকি ১০% পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। এই অবস্থা দেখলে মনে হয়না বাংলাদেশে কোন অথরিটি আছে যাদের দেশের সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করা উচিৎ। আর বিআরটিসি মনে হয় ঢাকা শহরের কয়েকটা রোড ছাড়া অন্য কোন রোড চিনে না।

মিরপুর আর উত্তরা টংগি রোড ছাড়া যে ঢাকা শহরে আরও অনেক রোড আছে তারা তা জানেই না। আর এই সুযোগে বেসরকারী বাস মালিকরা জনগনের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে, আর জনগনও দিতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সরকারের কি কিছই করার নেই? আমি মনে করি সরকার মন থেকে চাইলে ২/৩ মাসের মধ্যে এর সহজ সমাধান করতে পারে। যেমনঃ ১. প্রাইভেট কারে সিএসজি গ্যাস নিষিদ্ধ করতে পারে এতে করে রাস্তায় প্রাইভেট কার অনেকাংশে কমবে। ২. প্রাইভেট কার মালিকদের করের আওতায় আনতে হবে।

৩. ঢাকা শহরের স্কুল গুলোকে স্কুলবাস চালো করতে বাধ্য করতে হবে। ৪. ঢাকা শহরে প্রতিটা রুট এ পাবলিক বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ৫. বিআরটিসি ঢাকার সব রুটে চালো করতে হবে। বিআরটিসি কে বোঝাতে হবে যে ঢাকা শহরে মিরপুর, উত্তরা, টংগি রুট ছাড়াও আরও রুট আছে। ৬. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে যেন যারা প্রাইভেট কার ব্যবহার করে তারাও পাবলিক বাস ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়।

যেমন এসি বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ৭. রাস্তায় অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে হবে। উপরোক্ত পরামর্শ গুলো বাস্তবায়ন করলে ঢাকা শহরে যান জট অনেকাংশে কমে আসবে। এবং বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে এই কাজ গুলো করা অসম্ভব কিছু না যদি সদ্বইচ্ছা থাকে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।