আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজপথ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ

আগামী ২৪ অক্টোবরের পর থেকে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর রাজপথ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

এর অংশ হিসেবে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী প্রতিটি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। আগামী নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তুত রাখতে নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ। ঢাকায় বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলটি। এ জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয় নেতাদের করা হচ্ছে সক্রিয়।

রয়েছে ঢাকার ২০টি নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন এবং ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ। এ পর্যন্ত কেন্দ্রভিত্তিক প্রায় ১৭০০ কমিটি গঠন এবং চারটি থানা ও ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলনের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে নতুন নেতৃত্ব। এ ছাড়া ঢাকার সরকারদলীয় সব সংসদ সদস্যকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল মনে করছে, ঢাকা হচ্ছে রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কেন্দ্রবিন্দু। এ কারণে যে কোনো মূল্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকার রাজপথ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ, যাতে গতবারের মতো কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।

ওই ধরনের পরিস্থিতি হলে তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে যাবে। ঘটবে রাজনৈতিক পরাজয়। বিএনপি-জামায়াত যাতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নেতা-কর্মীদের।

সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে, বিশেষ করে ২৫ অক্টোবরের পর বিরোধী দল বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো একটি বড় ঘটনা ঘটিয়ে দেশের রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতও এতে অংশ নিতে পারে। তাদের ধারণা, ২৫ অক্টোবরের পর প্রশাসনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে আসবে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। জানা গেছে, নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে কাজ করছেন সংসদ সদস্যরা। এলাকাভিত্তিক সব ধরনের নৈরাজ্য মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, 'ভবিষ্যতে জামায়াত-বিএনপি, হেফাজতের যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য কঠোর হাতে দমন করার জন্য কেন্দ্র থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতাদের সতর্ক করেছি। নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। আমাদের মূল টার্গেট ঢাকায় শক্তি বাড়ানো।

কারণ ঢাকা ঠিক থাকলে সারা দেশ ঠিক থাকবে। ' কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'চারদলীয় জোট সরকার যখন ক্ষমতা ছেড়েছিল, তখন পরিস্থিতি কী হয়েছিল তা সবার জানা আছে। আমরা সে ধরনের পরিস্থিতির আশঙ্কায় আছি। যে কারণে এ মুহূর্তে আমাদের শক্তি বাড়ানো ছাড়া বিকল্প দেখছি না। মূলত কোরবানির ঈদের পর থেকে শুরু হবে আমাদের মূল কার্যক্রম।

এখন আমরা ঢাকা মহানগরের তৃণমূল শক্তিশালী করার কাজ করছি। মহানগরের অন্তর্গত যেসব সংসদ সদস্য আছেন, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন আলাদাভাবে। বিএনপি ২৪ অক্টোবর দেশ অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আমরা কোনোভাবেই তা হতে দেব না।

যে কারণে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় করা হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে আমরা হাতে রাখতে চাই ঢাকাকে। ' এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত, হেফাজত চক্রকে কোনোভাবেই রাজধানী ও দেশের অন্য কোথাও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করবে।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।