বল বীর! চির উন্নত মম শির! মনোমহন সিং সফরের আগেরদিন এক পরিচিত আওয়ামিলীগ সমর্থক ভদ্রলোক আফিসে এসেছিলেন কাজে। মনোমহনের সফরের কথা উঠতেই ভারতরে গালি দিলেন চরমভাবে। ট্রানজিট নামের করিডর নিয়ে দুষলেন ভারতকে। আওয়ামিলীগকে বাচিয়ে(!) উনি ভারতকে তুলোধুনো করলেন কিছুক্ষণ। মুলত: এই ভদ্রলোকের মতই দেশের বেশীরভাগ মানুষই ছিল ট্রানজিট নামের করিডরের বিপক্ষে।
আন্তর্জাতিকভাবে ট্রানজিট হচ্ছে কয়েকটা দেশের মধ্যে সংযোগ সড়ক/রেলপথ আর করিডর হচ্ছে আরাকটা দেশের মধ্যে দিয়ে একটা দেশের দুইপাশের মধ্যে সংযোগকারি সড়ক। কাজেই ভারত নিচ্ছে করিডর। কিন্তু কয়েকশ মাইল করিডর রাস্তা নিলেও দাদারা কেন নেপালের সাথে মাত্র ১৫ কি.মি. ট্রানজিট দিচ্ছে না সেটা ভারতের দালালগুলোও বলতে পারবেনা।
দেশের বেশীরভাগই মানুষই যখন ট্রানজিট নিয়ে উদ্বিগ্ন তখন জানা গেল ট্রানজিট চুক্তি হয়নি। কারন ? প্রচন্ড অবাক হওয়ার মতো খবর।
গত কয়েকবছরের মন্ত্রীদের নির্লজ্জ ভারতপ্রীতি, টিপাইমুখ নিয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রীর ভারতের পক্ষে অবস্থান কোন কিছুই মেলেনা।
তারপরও আশা হলো ফিরে এলো কি দেশপ্রেম? আওয়ামিলীগের উগ্র সমর্থকরা বুক টান করে দেশপ্রেমের খবর জানাতে লাগল। কি ব্যপার? জানা গেল তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হয়নি তাই ট্রানজিট দেয়নি বাংলাদেশ। অনেকে বলল সাবাস!! আওয়ামী মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশ নিজের স্বার্থের ব্যপারে ছাড় দেয়নি মোটেও। সাধারন মানুষও ধন্দে।
আমার প্রশ্ন হলো তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যার বিনিময়ে ট্রানজিট? তিস্তার পানি পাওয়ার আশ্বাসের প্রতিদান কি ট্রানজিট হবে? কি ভয়ংকর তুলনা। আর পদ্মার পানি পাওয়ার আশ্বাস কি পূরন করেছে ভারত?
এটা মনে হচ্ছে পরিস্কার একটা সেট আপ গেম খেলছে ভারত। বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ট্রানজিটের নামে করিডরের বিরুদ্ধে প্রবল অসন্তোষকে দমাতে অথবা ভুলিয়ে দিতে ভারত সমর্থক মিডিয়াগুলো তিস্তার পানিকে এতো গুরুত্বদিয়ে প্রকাশ করছে।
কয়েকদিন পরই বলবে অনেক কস্টে মমতা রাজি হইছে বাংলাদেশকে পানি দিতে, সবাই ধন্য ধন্য করবে, দেখ বাংলাদেশেরই জিত হলো শেষ পর্যন্ত। দুই মন্ত্রী হাসি হাসি মুখে ট্রানজিট নামের করিডর চুক্তিতে সই করবেন।
আমরা হয়ত অনেকেই ভাবব, শেখ সাবের বেটি কেমন দেখাইল ভারতরে, দাবী আদায় করে তবে ছাড়ল! সাবাস! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।