আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিস্তার ২৫ ভাগ পানিও দিতে নারাজ মমতা

Click This Link তিস্তার ৫০ ভাগ পানি দাবির প্রেক্ষিতে মমতা ২৫ ভাগ দেয়ার জন্য রাজি থাকলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে দ্রুতই। মমতা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন তিস্তায় পানি থাকলেই তো ২৫ ভাগ দেয়া যাবে। তিস্তায় পানিই নেই। সিকিমে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং-এর সঙ্গে তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে কথা বলেছেন।

আর চলার পথে নিজেই পরখ করেছেন তিস্তায় পানি কতটা আছে। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এমন খবরই দিয়েছে। আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, চামলিং মমতাকে বলেছেন, তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান প্রকারান্তরে সিকিমকেও বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় মমতা দূত মারফত মনমোহনকে জানিয়েছেন, তিস্তায় যে পানি নেই তা তিনি নিজেই সিকিম গিয়ে দেখে এসেছেন। তিস্তার ব্যাপারে রাজ্য সরকার একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে।

তারা বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখবেন নদীতে আদৌ পানি আছে কিনা। থাকলে কোথায় কতটা আছে দেখবেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরিতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারদেরও কাজে লাগানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তিনি তিস্তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন, এর আগে নয়। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এ অবস্থানের সঙ্গে সিকিমও যে এক মত- সেকথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।

ফলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত শিগগির ভারতে এসে তিস্তাচুক্তি করতে আগ্রহী হলেও মমতা যে এখনই চুক্তি চাইছেন না সেটা স্পষ্ট। তিনি বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট দেখে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন। মমতার বক্তব্য, তিস্তায় এমনিতেই এখন পানি নেই। তার ওপর সিকিমে পানি সেচ এবং পানিবিদ্যুতের জন্য নদীর ওপরে দু’টি বড় বাঁধ তৈরি হচ্ছে। সেই বাঁধ দু’টি তৈরি হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গে পানির সরবরাহ আরও কমে যাবে।

সুতরাং সবদিক খতিয়ে না দেখে চুক্তি করা উচিত নয়। মমতার বক্তব্য, তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নন। তার সঙ্গে হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভাল। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থ তার অগ্রাধিকার। এ অবস্থায় কেবল কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে যদি ‘লোক দেখানো’ একটা চুক্তি করা হয়, তাহলে তা বাস্তবোচিত হবে না।

মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে বলেছেন, ৫০ শতাংশ দূরে থাক, তিনি বাংলাদেশকে যে ২৫ শতাংশ পানি দিতে সম্মত হয়েছিলেন, তা দেয়াও এখন কঠিন। কারণ, তিস্তায় বলতে গেলে পানিই নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.