আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিবাদের মাধ্যমে,সচেতনতার মাধ্যমে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া।

এই ব্লগে পড়ার মত কিছু নেই, শূন্য ব্লগ পড়ে আছে তাই মাঝে মাঝে ফেসবুকের ২/১টা স্ট্যাটাস এখানে দিই চবি শাটল ট্রেনে একটা উক্তি পড়েছিলাম,সেটা ছিল এমন, ”নিজেকে বদলান,অন্যরা আপনাকে বাঁশ দিবে” বাঁশ খাওয়ার ভয়ে হোক অন্য যে কোন কারণেই হোক,আমরা পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে ভয় পাই। যদিও আমরা সবাই ই পরিবর্তন খুব পছন্দ করি,তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমরা ভোট দিয়ে দিন বদলের সরকারকে নির্বাচিত করেছি। কিন্তু সেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমরা কেউ এগিয়ে আসছি কি?আসলেও কয়জন আসি?সরকার কি চাইলেই দিন বদলে দিতে পারবে,যদি আমরা জনগণরা না চাই,বা আমি নিজে আমাকে পরিবর্তন না করি। পরিবর্তন বলতে আমি এখানে সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলছি। পৃথিবী যেখানে এগিয়ে চলছে সেখানে বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে কুসংস্কার,বাল্য বিবাহ,যৌতুক আরো বেড়ে চলছে।

সমাজে এখন এমন একটা অবস্থা,আইন থাকলে ও আইনের প্রয়োগ নেয়। কয়টা মানুষ সুশাসন পায়?সব জায়গাতেই যে ব্যক্তি একটু প্রভাবশালী আইন তার পক্ষে থাকে। ঘুষ খেতে না চাইলে ও খেতে হয়,একধরনের বাধ্য করা হয়। যৌতুকের জন্য নির্যাতন,অ্যাসিড নিক্ষেপ,ধর্ষন এমন কি শিশু ধর্ষন,দুর্নীতিএসব ই লেভেল ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা এতই অভ্যস্ত যে আমরা এখন এসব বিষয় দেখে ও না দেখার ভান করছি।

হ্যাঁ,চাইলেই সবকিছু পরিবর্তন করা সহজেই সম্ভব ন্য়। তাই বলে কি আমরা চেষ্টা করবনা?বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থায় একজন মানুষ কে বেশির ভাগ সময় ই কিভাবে অর্থ রোজগার করবে তা চিন্তা করতে হয়। এটাই স্বাভাবিক। অনেক ছাত্র ছাত্রী কে টিউশনী করে পড়া লেখার খরচ বহন করতে হয়। বাংলাদেশে মানুষ বেশী হওয়ার কারণে চাকরী ক্ষেত্র হতে শুরু করে সবকিছুতেই এখন এত বেশী প্রতিযোগিতা,একসাথে পড়াশোনা করতে হয়,খরচ বহন করতে হয়,অনেকের আবার পরিবারের দায়িত্ব ও নিতে হয়।

এত কিছুর পর হয়তো আমরা আর সমাজের পরিবর্তনের চিন্তা করতে ক্লান্তি বোধ করি। তাই বলে কি আমাদের যার দ্বারা যতটা সম্ভব ততটা পরিবর্তন হয়ে,সেসব খারাপ অভ্যাস পরিহার করে যেসব দ্বারা সমাজের,রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত নয়? আমরা অনেকেই তো ফেসবুকে নারীদের শালীন(!) হওয়ার জন্য পেজ খুলছি,কিন্তু বাল্যবিবাহ,কুসংস্কার,যৌতুক এর বিরুদ্ধে কয়জন পেজ খুলছি?বা কেউ খুললে ও তাতে কয়জন সমর্থন জানাচ্ছি?পেজ খোলাটাই বড় কথা নয়,এখানে বড় ব্যাপার মনোভাবের,আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি কিনা,হোক সেটা ভার্চুয়াল প্রতিবাদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন অনেকের এতসব অন্যায়,অবিচার,খুন সব ই যেন সয়ে গেছে,সব ই যেন খুব স্বাভাবিক। অনেকের মনেই সমাজ পরিবর্তনের অন্তত তার নিজ গ্রামটি পরিবর্র্তনের প্রবল ইচ্ছা থাকে,কিন্তু সে একা হওয়াতে এগিয়ে আসতে পারেনা। যেহেতু অনেকের মনেই ইচ্ছা থাকে,তাই কারো ইচ্ছা হলে সে নিজেকে একা ভাবা উচিত নয়।

তার উচিত সবাই কে বলা,দেখা যাবে তার সাথে অনেকেই এগিয়ে আসছে। যদিও পরিবর্তনের,প্রতিবাদের কথা বললে,অনেকেই হাসাহাসি করে,আঁতেল বলে। তারা হাসাহাসি করে কারণ তারা হতাশ। কারণ তারা ভাবে,এদেশ টা এভাবেই চলবে,যারা এভাবে হাসাহাসি করে তারাও কিন্তু মনে মনে একটা পরিবর্তন চায়। দেশটাকে ভালবাসি,তাই খুব দুঃখ হয়।

গ্রামে গেলে দেখি ছোট,ছোট বাচ্চাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে,যৌতুকের জন্য জামাই বৌ পিটাচ্ছে,দিন দিন আরো বেশি কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হচ্ছে। শিক্ষিত লোকের সংস্পর্শে থাকলে হয়ত আরো এগুত। কিন্তু যারা একটু শিক্ষিত হচ্ছে উন্নত জীবনের লক্ষ্যে তাদের অধিকাংশই শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। আর যারা না পারতে থাকছে তাদের মধ্যে দরিদ্র,অশিক্ষিত লোকজন কে সচেতনতার উদ্দেশ্য কেউ তেমন কিছু করছেনা। তাই খুব ই হতাশ,ইচ্ছা আছে গ্রামের জন্য,সমাজের জন্য অনেক কিছু করার,জানিনা কতটুকু পারি।

পরিশেষে সকলের প্রতি অনুরোধ,আমরা যে যেই অবস্থানে আছি সেখান থেকেই যে যতটা পারি,অন্যায়ের প্রতিবাদের মাধ্যমে,দরিদ্র,অশিক্ষিত জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে,গরীব দুঃখী অসহায়দের সাহায্যের মাধমে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে আসবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।