আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রানজিট করিডোর দেওয়া হয়নি ? !!!

প্রথমে ট্রানজিট ও করিডোর কি বেপারটা পরিস্কার করি - ট্রানজিট বলতে নির্দিষ্ট একটি ভূমি বা জলপথ দিয়ে সুনির্দিষ্ট চুক্তি ও নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে আন্তমরাষ্ট্রীয় যাত্রী এবং মালপত্র পরিবহন বোঝায়। আর করিডোর হচ্ছে একটি দেশ তার নিজ সার্বভৌমত্বের বিচ্ছিন্ন অংশ বা দূরবর্তী অংশে যাতায়াতের সুবিধার কারনে অপর একটি সার্বভৌমত্বের স্থল-নৌ-আকাশ পথ ব্যাবহার করা । সহজ ভাবে বলতে গেলে করিডোর হচ্ছে দুইটি দেশের মধ্যকার বিষয় যেখানে ট্রানজিট অনেক গুলো দেশ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার। আজ মনমোহন শিঙের সফর শেষে বলা হলো ট্রানজিট দেওয়া হয় নি। “ট্রানজিট ও পানিবণ্টনে চুক্তি হয়নি”-bdnews24 আসুন কিছু ছবি দেখি– . . ছবি: কালের কন্ঠ ছবি: আমার দেশ ছবি: আমার দেশ ছবি: bdnews24 . কি, চিনতে পারছেন এগুলো? এগুলো ভারতীয় মালবাহী ট্রেইলর, যেগুলো ত্রিপুরার পাল্টানা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।

তাহলে এটা ট্রানজিট না করিডোর আপনি বিচার করুন। ভারত যদি ‘ট্রানজিট’ না পায় তাহলে এই ট্রেইলরগুলো বাংলদেশের ভিতরে ধরা পড়লো কি করে বলুন তো? ভারতের মতো একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র কখনো ‘ট্রানজিট’ চুক্তি হওয়া না হওয়ার ধার ধরে না। তার আগেই তারা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মাল পরিবহন শুরু করে দিয়েছে, তাহলে ‘ট্রানজিট’ চুক্তি নামক জিনিসটাই কি একটা হাস্যকর প্রহসনের বিষয়বস্তুতে পরিণত হলো না? উল্লেখ্য, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ওভার ডাইমেনশনাল কার্গো (ওডিসি) ভারি মালামাল নিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজের প্রথম চালান চলতি মাসের ৯মার্চ সকালে আশুগঞ্জ নদীবন্দরে এসে পৌঁছে। পর্যায় ক্রমে আরো ৮৩টি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌছার কথা রয়েছে। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বন্ধু মমতা এবং ইন্ডিয়ার সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার পরও তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হলো সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতার অনুরোধে ইন্ডিয়াতে ১০০ টন পদ্মার ইলিশ মাছ পাঠানো হয়েছে মাত্র ৪৫০ টাকা kg দরে!!(ETV) অথচ আজ ঢাকায় বাজারে ইলিশ মাছের kg ৮০০ টাকা। কিন্তু তার পরও মমতা তিস্তা চুক্তির বিরোধিতা করলো! পারিবারিক বন্ধুত্ব দিয়ে দেশের স্বার্থ উদ্ধার হয় না , এটা মমতা বুঝলেও দেশপ্রেমিক হাসিনা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছেন। করিডোর খেলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা ও শুল্ক মুক্ত সুবিধা পেয়েছে ৪৬টি পণ্য। এ চুক্তি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। সেজন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

কিন্তু তিস্তা চুক্তি গেরান্টি ক্লোসেট করতে না পারা, অন্য নদীগুলোর মিমাংসা করতে না পারা, সীমান্তে হত্যা বন্ধে অঙ্গীকার না পাওয়া কি ভারত ঘেষা সরকারের জন্য কিছুটা কম হয়ে গেল না? আর, সরকার ‘ট্রানজিট’ না দিলেও ভারত কিন্তু সে সুবিধা ভোগ করে চলছে, তাই চুক্তি করার কোনো প্রয়োজন আছে কি ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.