আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন গওহর রিজভী

সমীপে, মডারেটর ভাই, নিচের সংবাদ টি আমি লেখিনি, দয়া করে ব্লক, জেনারেল করবেন না, দরকার হলে সংবাদটি মুছে দিয়েন। সমীপে, স্বপ্রনোদিত হাইকোর্ট বেঞ্চ, দয়া করে আমার বিরুদ্ধে রুল জারি করবেন নিচের খবরের জন্য আমার দেশ পত্রিকা দায়ী, সমীপে, ব্লগারবৃন্দ, দয়া করে হাদা, ছাদা, ভাদা, ছাগু, হাগু ভাইবেন না নিউজটার জন্য আমি দায়ী না। কি কি চুক্তি ইন্ডিয়ার সাথে হবে নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রী সভায় উঠার কথা। কিন্ত্তু উঠলো না। কি কি চুক্তি ভারতের সাথে হবে দেশের জনগন অন্ধকারে।

এর পিছনে গওহর সাহেব মনে হয় আছেন। তাই নিউজ টা কপি পেস্ট মারলাম : বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ৩৯ বছর তাকে এদেশে দেখা গেছে কমই। তবে বছর দেড়েক ধরে বাংলাদেশের সরকার তার উপস্থিতি অনুভব করছে প্রবলভাবে। আর নিজেকে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে ফেলছেন অনায়াসে। ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী তিনি।

তবে তার স্থায়ী ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজের ৭৯নং জন এফ কেনেডি স্ট্রিট। বড় একটা সময় কেটেছে ভারতে। লেখালেখি, ধ্যান-জ্ঞান, গবেষণা সবই ভারতকে ঘিরে। স্ত্রী ইতালির। পারিবারিক প্রধান ভাষা উর্দু, হিন্দি।

সালামের পরিবর্তে ‘আদাব’ বলে সম্ভাষণ জানাতে অভ্যস্ত। ধর্মবিশ্বাসে কাদিয়ানী। সব মিলিয়ে এক রহস্যময় চরিত্র। বাংলাদেশের এ সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ড. গওহর রিজভী। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা।

বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ ভাগ্য নির্ধারণ করছেন। দ্রুততম সময়ে ভারতকে ট্রানজিট-করিডোর দেয়ার বেপরোয়া ভূমিকার জন্য দেশজুড়ে হালে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য শুনে অনেক সময় ভিমরি খেতে হয়। বুঝে উঠতে কষ্ট হয় তিনি কি ঢাকার না দিল্লির প্রতিনিধি। দেশপ্রেম, দেশের স্বার্থ বিষয়েও জ্ঞান দিয়ে চলেছেন তিনি।

শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে কিছুদিন পড়িয়েছেন তিনি। ড. রিজভীর পুরো পরিবার হালে অনেকটা আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো বাংলাদেশে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা পার্টনার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক জীবনে ড. গওহর রিজভীরা চার ভাই ও দু’বোন। তার বাবা মরহুম নাসির উদ্দিন হায়দার রিজভী। ভাইদের মধ্যে সবার বড়জন বিমানের ক্যাপ্টেন।

তিনি ক্যাপ্টেন রিজভী হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয়জন হায়দার রিজভী। তিনি বিটিভিতে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন। পরে বৈশাখী টিভিতে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখন কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও অংশীদার।

তার স্ত্রী পোল্যান্ডের। ভাইদের মধ্যে তৃতীয় হচ্ছেন ড. গওহর রিজভী। তার স্ত্রী ইতালির নাগরিক। ছোট ভাই সৈয়দ আলী জওহর রিজভী সাধারণত শাহেনশাহ রিজভী হিসেবে পরিচিত। বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের সহযোগী সামিট এলায়েন্স পোর্ট লি, ওশান কন্টেইনার লি, ও গ্লোবাল বেভারেজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।

গওহর রিজভীর দুই বোনই ইংল্যান্ড প্রবাসী এবং ব্রিটিশ নাগরিক। এছাড়াও ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে রিজভী পরিবার। সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালকের তালিকায় আরও রয়েছেন সোবেরা আহমেদ রিজভী, সৈয়দ ইয়াসের হায়দার রিজভী ও সৈয়দ নাসের হায়দার রিজভী। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ম উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. গওহর রিজভী। তিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

অন্য ৬ উপদেষ্টার মতোই তিনিও মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন রীতি ভেঙে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. গওহর রিজভী ওই বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে এসে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ড. গওহর রিজভী উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তার নামটি এদেশে খুব একটা পরিচিত ছিল না। নিয়োগের পর মিডিয়া অত্যন্ত কৌতূহল নিয়ে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। খোদ সরকারি দলের অধিকাংশ নেতার কাছেও নামটি ছিল অপরিচিত।

উপদেষ্টা নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারি ঘোষণায় বলা হয়, কার্য প্রণালী বিধির ৩-এর বি (আই) ধারার আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গওহর রিজভীকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় পুরোটা সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিক গওহর রিজভীকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা নিয়োগের বৈধতা নিয়েও তখন প্রশ্ন ওঠে। কেন তাকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে এবং কেনইবা বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারে তার দোর্দণ্ড প্রতাপ সে সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে কিছুদিন পড়িয়েছিলেন তিনি। সে সুবাদেই প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। তার চেয়েও বড় বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী মইন-ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জরুরি সরকারের সময়ে তার ভূমিকা।

জানা গেছে, ওয়ান-ইলেভেনের সেনা নায়কদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। বিশেষত, সমঝোতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বহুল আলোচিত ও প্রভাবশালী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কারাগারে গওহর রিজভীর বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডে সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে যে সেমিনারে জেনারেল মইন যোগ দিয়ে আলোচিত বক্তব্য দিয়েছিলেন তারও আয়োজক ছিলেন গওহর রিজভী। এছাড়াও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার বিষয়ে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনায় তার মুখ্য ভূমিকা ছিল বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের সঙ্গে ড. গওহর রিজভীর গভীর সম্পর্কটাও বেশ কাজে লেগেছিল।

ড. গওহর রিজভীর অফিসিয়াল জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাশ ইনস্টিটিউট অব ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনোভেশন এর পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে তিনি ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত একই সংগঠনের গভর্ননেন্স অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক হিসেবে নিউইয়র্কে দায়িত্ব পালন করেন। ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিহাসে পিএইচডি করেন।

এছাড়া ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গওহর রিজভী আফগানিস্তান, জেনেভা, ইসলামাবাদ ও কাবুলে ইউএনডিপি’র সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। ড. গওহর রিজভী বেশ কয়েকটি জার্নালে একক ও যৌথভাবে লিখেছেন। তার বেশিরভাগ লেখাই ভারতের সমস্যা, সম্ভাবনা, পররাষ্ট্রনীতি, বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে। ইন্দো-ব্রিটিশ রিলেশনস ইন রেট্রোসপেক্ট এবং বিওন্ড বাউন্ডারিজ শীর্ষক যৌথভাবে লেখা তার দুটি নিবন্ধ ভারতের উচ্চ পর্যায়ে প্রশংসিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গওহর রিজভীর ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের আকস্মিক ব্যবসায়িক উত্থান নিয়েও নানা আলোচনা রয়েছে।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য গতকাল ড. গওহর রিজভীর মোবাইল নম্বরে কল করলে প্রথমে জানতে চান কোত্থেকে বলছি। আমার দেশ-এর পরিচয় জানার পর বলেন, রং নম্বর। জওহর রিজভীর সঙ্গে কথা বলতে সামিট ভবনে যোগাযোগ করলে জানানো হয় তিনি বনানীর গ্লোবাল বেভারেজ অফিসে আছেন। ওই অফিসে যোগাযোগ করে কথা বলতে চাইলে পরিচয় জেনে ফোন লাইন বেশকিছু সময় হোল্ড করে রেখে কেটে দেয়া হয়। এর পর কয়েকবার ফোন করলে কেটে দেয়া হয়।

কোনো অফিস থেকেই তার মোবাইল নম্বর দেয়া হয়নি। সুত্র: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.