আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিসৌধে মনমোহনের ছবি ।কেউ কি জানেন জাতির পিতা চেইঞ্জ হল কবে?

পরাঞ্জয়ী... গিয়েছিলাম স্মৃতিসৌধে। সামনে গিয়েই টের পেলাম, রাগে আমার কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি এমনিতেই বদমেজাজী। কিছু কিছু বিষয়ে মাথায় রক্ত উঠে যায়, হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা কাকে কি বলছি। পিচ্চি ভাগ্নিটা জিজ্ঞেস করলো পিচ্চি: আন্টি এটা কার ছবি? আমি: আমাদের প্রধানমন্ত্রীর।

কিছুক্ষন চিন্তা করে পিচ্চি: হ্যা হ্যা, আমার জি কে (জেনারেল নলেজ) বুকে তো ওনার ছবি আছে। ওনার নাম শেখ হাসিনা। পাশে তাকিয়ে আবার বললো : আন্টি এটা কার ছবি? আমি(রাগে দাঁত চিবিয়ে): প্রধানমন্ত্রীর বাবা। পিচ্চি আবার চিন্তা করে বলে, :এটা ওনার বাবা না। জি কে বইয়ে আব্বু ওনার বাবার ছবি দেখিয়েছিলেন।

তার ইয়াআআআআ বড় মোচ আছে। আপু তাড়াতাড়ি বললেন : এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি। ধুরন্ধরটা এক মুহুর্ত দেরী না করে জিজ্ঞেস করলো : আমাদের বাসায় আমাদের পধানমুন্তির ছবি থাকবে, ভারতের বাসায় ভারতের পধানমুন্তির ছবি থাকবে। তাহলে ওনার ছবি এখানে কেন? (চট জলদি দেশের জায়গায় বাসা বলে ফেলছে) আমি এবার অন্যের রাগ ওর উপর ঝেড়ে বললাম" চুপ করো। তুমি বেশি কথা বলো! একদম চুপ!" মেয়েটা মুখ নীচু করে ছল ছল চোখে বসে থাকলো।

আমি টের পেলাম রাগে আমার মাথা দপ দপ করছে। যে দেশটি রাষ্ট্রিয় নীতি, বাণিজ্য নীতি শিল্প নীতি সব দিক দিয়ে আমার রাষ্ট্র, শিল্প বাণিজ্য কে ডমিনেট ও এক্সপ্লয়েট করার তালে থাকে, ফেইসবুকে ইন্ডিায়ন আর্মির ফ্যান পেইজে বাংলাদেশিদের ফকিরের বাচ্চা, চোরের বাচ্চা, মেরে নদীতে ফেলে দিতে বলে, সেই পেইজের মেম্বার হয় লক্ষ লক্ষ ইন্ডয়ান, সীমান্তে হত্যা হয় নির্বিচারে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি শোভা পায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে। রাস্তাঘাটে ছবি ঝুলাইলে আমার এত আপত্তি ছিল না। কিন্তু স্মৃতিসৌধে কেন? আমি মূর্খ মূড় হিংসুটে মানুষ! কোন উদার জ্ঞানী কেউ দয়া করে এক্সপ্লেইন করে যান। শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে তারা তাদের কোন মন্যুমেন্টে শেখ হাসিনার ছবি ঝুলিয়ে রাখতো? সন্মান দেখাতে ক্ষতি নেই, কিন্তু ছ্যাবলামী করলে কষ্ট লাগে! কেন ৭ বছরের বাচ্চার সামনে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন? ছবি দিলে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেন।

ওরা দেখে যাক, আমাদের জাতিয় গর্বের জায়গায় জাতির গর্ব বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়া। যাদের পো্ষ্ট পড়ে রাগ হচ্ছে, তাদের অফটপিকে একটা গল্প শুনাই। আমার বাসার কাজের খালাকে আমি মাসের বেতনের বাইরে মাঝে মাঝে পান খেতে ওষুধ কিনতে টাকা দিতে চাই। উনি কোনদিন নেন না, বলেন " এই ট্যাকা নিতাম না। আমারে তো আপনে ব্যাতন দেন।

ব্যাতনের বাইরে ট্যাকা নিয়া ঠিক না"। তার সততা আর আত্মসন্মানবোধ আমাকে মুগ্ধ করে। যা বোঝার নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.