আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় স্মৃতিসৌধে এক মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যার চেষ্টা



জাতীয় স্মৃতিসৌধে গতকাল যখন সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সৌধবেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে ব্যস্ত ঠিক তখন মনের জ্বালা ক্ষোভ নিবারণের জন্য বেদির পেছনে গিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান। অভাবে পড়ে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া ও সংসার চালাতে না পেরে দীর্ঘদিন অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি এ পথ বেছে নেন। সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানার চর আস্তাইল গ্রামে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে তার মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা বন্ধ করে দেয়। সাত বছর সে কোনো ভাতা পায়নি।

ভাতা চাইতে গেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা ঘুষ দাবি করে। তিনি বলেন, এ দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পায় না, বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। অথচ রাজাকাররা গাড়িতে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সকাল সাড়ে ৯টায় সিদ্দিকুর রহমান স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে নিয়ে স্মৃতিসৌধের মূল বেদির কাছে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে যায়। এ সময় তার শরীরে ছিল একটি ব্যানার।

ব্যানারে লেখা ছিলÑ ‘মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার টাকা দেয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরণ অনশন। ’ সিদ্দিকুর রহমান জানান, ৬০ টাকা ধার করে তিনি বিষের বোতলটি কিনেছেন। মহান বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে এসে মরতে পারলে কিছুটা শান্তি পাবেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধার যেন এমন পরিণতি না হয়। সিদ্দিকুর রহমানের তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।

মাসখানেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তিনি পঙ্গু হয়ে যান। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেননি। সন্তানদের লেখাপড়াও টাকার জন্য বন্ধ। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সুত্রঃ যায় যায় দিন । লিংকঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.