আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃদয়ের মুক্তা

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই অনেক দিন আগে, এক বৃদ্ধ রাজার এক কন্যা সন্তান হল। মেয়েটির নাম রাখা হল লিয়ানা। একমাত্র সন্তানকে রাজা সবার কাছ থেকে দুরে সরিয়ে রাখল। আস্তে আস্তে লিয়ানা যৌবনে উপনীত হল। সে রাজকন্যা হবার কারনে তার কোনো সঙ্গী ছিল না।

রাজপ্রাসাদের যেই অংশটিতে রাজকন্যা থাকত, তার পাশে নদী বয়ে যায়। সেই নদীতে সে তাকিয়ে থাকত অপলক ভাবে,আর ভাবত বাহিরের জগৎএর কথা। কিছু দিন ধরে রাজকন্যার যেনো কেমন উদাসীন লাগছে। ঐ নদীর থেকে একটা সুর ভেসে আসে প্রতিদিন। কে হতে পারে সে? ভাবে রাজকন্যা।

প চাষির ছেলে। অন্য আর সব গ্রামবাসীর মত সেও জানে রাজকন্যার কথা। কিন্তু রাজকন্যাকে দেখার সুযোগ হয়নি তার। আর সব যুবকএর মত তার হৃদয়েও রাজকন্যাকে দেখার ইচ্ছা জাগ্রত। এমনি করে দিন কাটতে লাগলো।

প প্রতিদিন মাছ ধরতে নদীতে যায় আর বাঁশি বাজায়। সেই বাঁশির সুর শুনে রাজকন্যার মন উতলা হয়ে উঠে। রাজকন্যার পরিবর্তনচোখে পড়ে সবার। রাজা একদিন রাজকন্যাকে জিজ্ঞাসা করে রাজকন্যাকে, কি হয়েছে তার। কিন্তু লিয়ানা কি তার মনের কথা খুলে বলতে পারবে।

অনেক বোঝানোর পর সে বলল,"পিতা আমি নদীর বাঁশিওয়ালার প্রেমে পড়েছি। আমি বিশ্বাস করি সে একজন যুবক ও সে আমাকে লক্ষ করেই বাঁশি বাজায়। '' রাজার সৈন্যরা পকে খুজে বের করে রাজকন্যার সামনে হাজির করে। কিন্তু রাজকন্যা যখন দেখল প একজন জেলে, তখন সে পকে ঘৃনা করতে শুরু করল। প মনের দুঃখ ভুলতে না পেরে আত্মহত্যা করে।

পএর মৃত্যুর পর তাকে তার পরিবার জ্যতিষির কথা মত নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অনেক দিন পর সেই নদীর পাড়ে একটি মুক্তা পাওয়া যায়। মুক্তাটি হৃদয়ের আকৃতির ছিল। এই ঘটনা সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল। ক্রমে রাজকন্যাও শুনল।

রাজকন্যা মুক্তাটি দেখতে চাইল। রাজকন্যা একাকি ঘরে বসে মুক্তাটি দেখতে দেখতে মনে হল সে যেনো পকে দেখল। ধিরে ধিরে তার মনে হতে লাগলো পএর মৃত্যুর জন্য সেই দায়ী। আকস্মিক চিৎকার শুনে রাজপ্রাসাদে সবাই চমকিত হল। সবাই অনুধাবন করল শব্দ আসছে রাজকন্যার ঘর থেকে।

রাজকন্যার ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পেলো সবাই রাজকন্যার নিথর দেহ। রাজকন্যা নেই, মেঝেতে লেখা "আমি প'র কাছে গেলাম পৃথিবী"। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।