আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকার কি রাজাকারের ফাঁসি চায়?নাকি বিএনপি থেকে জামাতকে আলাদা করে রাজনিতির ফাইদা নিতে চাচ্ছে !!

emotional fool রাজাকারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকে রায় ঘোষণা করা পর্যন্ত এখনও একবারও মনে হল না যে, সরকার রাজাকারের সঠিক বিচার করে দেশকে কলঙ্ক মুক্ত করতে আগ্রহী। দেশের বেশিরভাগ মানুষ যেখানে রাজাকারের বিচার চাচ্ছে সেখানে সরকার চাইলে এই বিচার প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছ ও আন্তরজাতিক মানের করতে পারত। কিন্তু সরকার ভোটের রাজনিতি করার জন্য এই বিচারটাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেতুল্য। এখন সবার কাছেই এটা পরিষ্কার যে এই বিচার টা রাজাকারের বিচার না এটা হল বিএনপি থেকে জামাতকে আলাদা করে বিএনপির শক্তি খর্ব করার বিচার। সরকার চাইলে জামাতকে নিষিদ্ধ করতে পারে,কিন্তু সরকার করবে না!সরকারের মন্ত্রিরা জামাতকে নিষিদ্ধের বিভিন্ন ফরমুলা দেখালেউ সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করছে না।

কারন তা হলে তো বিএনপির কোন ঝামেলাই থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা The economist er প্রতিবেদনেও এই বিচারের সমালোচনা করা হয়েছে। সরকারের গঠিত International Tribunalকে ঘরোয়া Tribunal হিসাবে আক্ষায়েতো করা হয়েছে। আরও বলা হই স্ক্যাইপে কেলেংকারির পর সাইদির যে বিচারক অর্ধেক শুনানি করে যায় এবং পরবর্তী বিচারকগনের ২জন পুরো শুনানি না শুনে রায় দেয়। বিচারকের কাছে পুনরায় শুনানির আবেদন করতে চাইলে তা বাতিল করা হয়।

শাহাবাগের আন্দোলন টা ছিল সাধারন জনগনের আন্দোলন, পরবর্তীতে তা পরিচালিত হয় রাজনৈতিক ভাবে। রাজাকারের ফাঁসির দাবি ছাড়াও তারা জামাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের আন্দোলন শুরু করে। এবং কাদের সিদ্দকি, ডক্টর ইউনুসের মত মানুষদের নামে আজেবাজে কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন র্যা প। অবিলম্বে এই বিচার কার্যক্রমে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের অপরাধের বিচারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের চলমান বিচার-প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন স্টিফেন র্যা প। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইতিমধ্যে যেসব মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে, সেগুলোর দুর্বলতাগুলো সুপ্রিম কোর্ট সংশোধন করতে সক্ষম হবেন। যুক্তরাজ্যের আইনজীবীদের একটি সংগঠন বার হিউম্যান রাইটস কমিটি অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের আয়োজনে হাউস অব কমন্সের একটি কমিটির কক্ষে গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এক সভায় রাষ্ট্রদূত র্যা প বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন তুলে ধরেন। ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর আলোকপাত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভবেরি। বক্তব্য দেন বার হিউম্যান রাইটস কমিটি অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের প্রধান কার্স্টি ব্রিমলো কিউ সি, ওই সংগঠনের কর্মকর্তা সোনা জলি, অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্তদের ব্রিটিশ আইনজীবীদের অন্যতম জন ম্যাককিনন, মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কর্মকর্তা ক্লাইভ বাল্ডউইন এবং লর্ডসভার সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যারনেস মঞ্জিলা পলাউদ্দিন।

বক্তারা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়কার সংঘটিত নিষ্ঠুরতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানালেও বিচার-প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচারের মানদণ্ড অনুসৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। রাষ্ট্রদূত স্টিফেন র্যা প বলেন, এই বিচারের বিষয়ে দেশটির প্রধান দুই দল বা সব দলের মধ্যে আগে থেকে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হলে রায়-পরবর্তী প্রতিবাদ ও বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হতো। বাংলাদেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে বহুদলীয় রাজনৈতিক সমঝোতা হলে এ ধরনের শঙ্কা তৈরি হতো না। র্যা পর বক্তব্য সমর্থন করলেও বার হিউম্যান রাইটস কমিটি অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওই বিচার কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, এই প্রক্রিয়াকে ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে উন্নীত করতে চাইলে বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া।

সংগঠনটির কর্মকর্তা কার্স্টি ব্রিমলো ও সোনা জুলি উভয়েই বলেন, বিচার-প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁরা স্কাইপ কেলেঙ্কারির উল্লেখ করে বলেন, এতে বিচারক, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও রাজনীতিকদের যোগসাজশ ফাঁস হওয়ার পরও পুনর্বিচারের ব্যবস্থা না করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হয়েছে। সোনা জুলি বলেন, স্কাইপগেট হিসেবে কথিত কেলেঙ্কারির নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন লড়বে এই বিচারের ইস্যু নিয়ে।

তারা কয়েকজনের রায় ও মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ করে এই বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ভোট চাইবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই একতা বদ্ধ হন। দেশে শান্তি বজাই রাখুন। হানাহানি,মারামারি, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করুন। আর দয়া করে শাহাবাগের রাস্তাটা পুরোপুরি খুলে দেন।

জনগনের এই ভগান্তি কিন্তু আপনাদের ভোটের রাজনিতিতে ঠিকই প্রভাব ফেলবে। এই বিচার বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবিলম্বে এই বিচার নিয়ে রাজনিতি বন্ধ করুন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.