আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হীরের গ্রহ

হীরের তৈরি একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহের সন্ধান মিলেছে। এই গ্রহে হীরা রয়েছে অত্যন্ত ঘনীভূত অবস্থায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই গ্রহের ঘনত্ব প্রতি ঘনসেন্টিমিটারে কমপক্ষে ২৩ গ্রাম। এই ঘনত্ব সীসার চেয়ে দ্বিগুণ।

আর এই ঘনত্ব জানা গ্রহগুলোর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এই গ্রহটি একটি কার্বন সমৃদ্ধ সাদা বামন নক্ষত্র। এর অন্তর্বর্তী চাপ অত্যন্ত বেশি। আর এই অত্যাধিক চাপের কারণেই কার্বন ঘনীভূত হয়ে হীরার স্ফটিকে রূপান্তরিত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বাংলানিউজের।

মেলবোর্নে সোইনবার্ন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথু বেইলিস বলেন, গ্রহটির বিবর্তন ইতিহাস ও বিস্ময়কর ঘনত্ব প্রমাণ করে এটি কার্বন দিয়ে তৈরি। গ্রহটির ভর অনেক বেশি এবং বৃহস্পতির চেয়ে এর ঘনত্ব অনেক বেশি। একে মিলিসেকেন্ড পালসার বলা হচ্ছে। পালসার হলো, একটি ছোট মৃত নিউট্রন তারকা যার ব্যাস মাত্র ২০ কিলোমিটার। পালসার নিজ অক্ষের ওপর প্রতি সেকেন্ডে ঘোরে কয়েকশ বার এবং অনবরত বিভিন্ন রশ্মি বিকিরণ করে।

এই গ্রহটি কোন এক সময় প্রচুর ভরযুক্ত কোনো নক্ষত্রের অংশ ছিল। পরে একটি পালসার তাকে খেয়ে ফেলে যা বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, গ্রহটির ব্যাস ৫৫ হাজার কিলোমিটার বা পৃথিবীর ব্যাসের পাঁচগুণ হতে পারে। তবে ঘনত্ব অনেক বেশি হলেও বৃহস্পতির মতো অপেক্ষাকৃত হালকা উপাদান হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস এতে নেই। তবে কার্বনের পাশাপাশি এর পৃষ্ঠে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন থাকতে পারে।

তবে এই হীরের গ্রহ দেখতে সত্যিই কেমন সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো ধারণা এখনো দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।