আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হীরের ঘাসফুল

"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"

হীরের ঘাসফুল তোমার মনের স্যাঁতসেঁতে চুলায় তাপ ছড়াতে ছড়াতে একদিন আমার ভালবাসা ছাইচাপা আগুনে বদলে গেল। তুমি অবিশ্বাসী চোখে সেই ছাই হাতড়ে দেখলে সেখানে কোন মাণিক-রতন নেই। অবশেষে অবিশ্বাসের ভাঙ্গা কুলায় একদিন সেই ছাই ওড়ালে পথের ধূলোয়। তুমি ঘুনাক্ষরেও টের পাওনি সেই ছাইয়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিল অযত্নে ফেলে রাখা একটা হীরের নাকফুল, যা একদিন ভালবেসে আমিই তোমাকে দিয়েছিলাম। কখন যে মনের অজান্তে সেই হীরের নাকফুল ভালবাসার আগুনে পুড়তে পুড়তে ফুলের বীজ হয়ে রয়ে গেছে তা কেউই জানতে পারিনি।

আজ পথের ধূলোয় ছড়িয়ে দেয়া সেই ফুলের বীজ থেকে অসংখ্য ঘাসফুল ফুটে আছে পথের দু’ধারে। একদিন এক যুবকের হাত ধরে তুমি হেঁটে যাচ্ছিলে সেই পথ ধরে। হঠাৎ যুবকটি হেঁটে যেতে যেতে দু’পায়ে মাড়িয়ে যেতে লাগলো ফুটে থাকা ঘাসফুলগুলো। তুমি চীৎকার করে উঠলে। একি করছো! যুবকটিকে নিষেধ করলে ঘাসফুল মাড়িয়ে যেতে।

যুবকটি হো হো করে হেসে উঠলো। পথের ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠা ফুলগুলোর জন্য তোমার কষ্টের কারণ জিজ্ঞেস করলো। তুমি বললে, "ওগুলো আমার অবহেলায় ফুটে থাকা বিশেষ এক অহংকার"”। যুবকটি অবাক হলো! তোমার চোখের কোণ বেয়ে ততক্ষণে একফোঁটা অশ্রুজল গড়িয়ে ঠিক যেন নাকফুলের জায়গায় এসে জমে থাকলো। সূর্যের আলো এসে ঠিকরে পড়লো তোমার নাকের কোণে জমে থাকা সেই একফোঁটা চোখের জলের উপর।

হঠাৎ যেন হীরের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়লো যুবকের চোখে। যুবকটি চমকে উঠলো! বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে সে বলে উঠলো, “একি! তোমার নাকে হীরের নাকফুল এলো কোথা থেকে?” তুমি তখন নিশ্চুপ। আলতো পায়ে এগিয়ে এসে খুব যত্ন করে কুড়িয়ে নিলে পথের ধূলোয় পড়ে থাকা দুমরানো, থেঁতলে যাওয়া কিছু ঘাসফুল। যুবকের চোখে মুখে তখনো বিষ্ময়ের ঘোর।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।