আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্র বিক্ষোভ ভয় পায় সেনাবাহিনী : মঈন ভয় পায় না এ সরকারকে

তোমাকে ভাবাবোই আজ ঢাকা বিশ্স্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো কালো দিবস। সামরিক বাহিনী সমর্থিত জরুরি অবস্থার সময়ের সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্র নির্যাতনের ভয়াবহ সেই দিনের কথা ভুলে যায়নি কেউ। আমাদের ভাই-বোন, সন্তানদের কি ভয়াবহ নির্যাতিত হতে হয়েছিল! বন্দুক, লাঠি নেমে এসেছিল যেমনি পশুর ওপরও চালানো ঠিক নয়। ৮০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চোখ বেধে ছাত্র শিক্ষকদের টর্চার সেলে নেয়া হলো।

এক মহুর্তের নোটিশে সকলকে হল ত্যাগের নির্দেশ আসল। ছাত্রীরা কোথায় যাবে? একটিবার ভাবল না! কোমলমতি মেয়ে সন্তানদের কতটা নির্যাতিত হতে হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় নিশ্চয়ই উঠে আসবে সময়ের সাহসী সন্তানদের এগিয়ে আসায়। তারা কোন দিন মঈনকে ক্ষমা করতে পারবে কিনা জানিনা! যাহোক এ ঘটনার সূতে, শিক্ষামন্ত্রাণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটি একটি উপ-কমিটি করে। সে কমিটি ঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করবে। ঘটনায় জড়িত অনেকের সঙ্গে ইতোমধ্যেই উপকমিটি কথা বলেছে।

এ ধারাবাহিকতায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সে সময়ের ডন, ফাদার, সেনাপ্রধান, ভারতীয় চর, রাষ্ট্রদ্রোহী ও মেজর জেনারেল মইন উ আহমেদের বক্তব্য জানতে চায় উপকমিটি। কিন্তু মহামাণ্য উ আহমেদ মার্কিণ মুল্লুকে থাকায় কমিটির সামনে আসতে পারবেন না বলে জানায়। আদালতের আদেশ না শুনলে খুব খারাপ... ... এমন লংকা কাণ্ড বাধে যা সবাই জানে। আর আদালতের আইন যারা বানায় তাদের আদেশ না শোনায় কি কিছুই হবার নয়। সংসদীয় কমিটির আদেশ তোয়াক্কা না করে মার্কিণ রাজ্যেই অবস্থান করতে থাকছে মঈন।

শুধু মাত্র ফোনে কথা সারলেই নাকি হবে! এখন থেকে বিচারকদের নিকট হাজিরা না দিয়ে ফোনে কথা সেরে নেয়ার রেওয়াজ করা হচ্ছে নাকি? আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর টেলিফোনে যদি মঈন উ আহমেদের এ বিষয়ের কথা শোনার দিন ঠিক করে সংসদীয় কমিটি তাহলে কি রাষ্ট্র বা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হয় না? আজ মঙ্গলবার কমিটির বৈঠকের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এ কথা সাংবাদিকদের জানানোর আগে কি ভুলে গেছিলেন অতীতের কথা? চার বছর আগের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে করা সংসদীয় এ কমিটির উপকমিটি যার সভাপতি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন এমপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, টেলিকনফারেন্সের তারিখ ঠিক হওয়ার বিষয়টি ই-মেইলে মইন আহমেদকে জানানো হবে। সাধু মঈন! সাধু ! তোমার কতই না সম্মান! টেলিফোনে গালাগালি দিও না আমাদের সম্মানিত সংসদ সদস্যদের! প্লিজ! ফ্লাসব্যাক : ঢাবি জিমনেসিয়ামে ছাত্রদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের তুচ্ছ ঘটনায় ২০০৭ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় যৌথ বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে সারাদেশে ছাত্রবিক্ষোভের মাধ্যমে। ফলে পিছু হটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনা সমর্থিত ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সংসদীয় উপকমিটি গত বছর এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরুর পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছে।

তবে ডাকা হলেও কমিটির সঙ্গে দেখা করতে আসেননি তত্ত্বাবাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। বিদেশে অবস্থানরত মইন টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দিলে তা গ্রহণের কথা শুনে এতে সাড়া দিয়েছেন। তবে ফখরুদ্দীন এখনো এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে তিনি এর আগে ই-মেইলে তার বক্তব্য পাঠালেও তা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মনে করছে সংসদীয় উপকমিটি। চার সদস্যের এ উপকমিটি বিভিন্ন জনের বক্তব্য শুনে বলেছে, ২০০৭ সালের অগাস্টের ঘটনা ছিলো পরিকল্পিত এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে ফখরুদ্দীন ও মইনকেই দায়ী করা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.