আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাষণ্ড শিক্ষক পরিমলের বিচার হোক : শিক্ষামন্ত্রী

আমি বিশিষ্ট বোদ্ধা হতে চাই তাই আপনাদের সরণাপন্ন হলাম...:( ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার ছাত্রী ধর্ষণ ও পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রোববার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে এ ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম ও পরিচালনা কমিটির গাফিলতিকে দায়ী করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি বলেছে, তার মতো শিক্ষক নামধারী পাষণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রোববার শিক্ষমন্ত্রীর কাছে এই প্রতিবেদন দেয়। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের বসুন্ধরা শাখার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৪ জুলাই তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করে।

পরে ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা করা হয় পাঁচজন। তদন্ত প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, পরিমলের গ্রেপ্তারের দাবিতে অস্থিরতার সময় কিছু ব্যক্তি সুযোগ নিতে চেষ্টা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা নিয়ে কিছু ব্যক্তি ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনায় ছাত্রী ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, পরিমল নামে একজন পাষণ্ড এ কাজ করেছে। তবে যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা চাই এ পাষণ্ড শিক্ষকের চরম বিচার হোক। এজন্য আমাদের যা যা করার তাই করব। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষ হোসনে আরা ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছেন।

এতে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। তা ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে পরিচালনা কমিটিও উদ্যোগ নিতে পারেনি। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি মাত্র আমরা হাতে পেয়েছি। ভালো করে দেখিনি। দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নাহিদ জানান, তদন্ত দল শিকক্ষ-অভিভাবক-শিক্ষার্থীসহ ১৮ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে ২৪ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দিয়েছে। মূল বিষয়, পর্যালোচনা ও সুপারিশ- এ তিন অংশে ভাগ করে প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়েছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৮ মে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার পাশে একটি বাড়িতে ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন পরিমল। পরিমল তার মোবাইল ফোনে মেয়েটির ছবিও তুলে রাখে। ২৮ জুন পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে স্কুলের বসুন্ধরা শাখা প্রধান লুৎফর রহমানের কাছে একটি আবেদন জমা দেয় ওই শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং লুৎফর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় ৭ জুলাই ভোররাতে কেরানিগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পরিমলকে। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম ক্ষিতিশ জয়ধর। একপর্যায়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে শুরু করলে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাসের ছুটিতে যান অধ্যক্ষ হোসনে আরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ভিকারুননিসার দায়িত্ব নেন মঞ্জুআরা বেগম। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ১৪ আগস্ট পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলেও বাকি দুই আসামির বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি। × আমাদের প্রশ্ন বাকী ২ আসামীও কি প্রায় সমানভাবে দায়ী না এই ধরনের সৃষ্ট জিটলতার জন্য। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলোনা! এখানে কি কোনো অজানা সম্পর্ক কাজ করছে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.