আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিভি বন্ধ রাখুন, বেশিদিন বাঁচুন (রি-পোস্ট)

টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে আয়েশ করে বিকেল কাটানোকে যতটা আয়েশি মনে করছেন, আদতে আয়েশের চাইতে এতে ক্ষতির পরিমাণটাই বেশি। ভাবছেন, এ নিছক গালগল্প! মোটেও না। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক গবেষণা করে ফলাফল দাঁড় করিয়েছে, টেলিভিশন পর্দার সামনে দীর্ঘক্ষণ সময় ব্যয় করলে আয়ু কমে যায়। আজ বুধবার টাইম ডট কমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার যেসব এলাকায় মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি, সেসব এলাকার ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন ওই গবেষকেরা।

তাঁরা গবেষণায় দেখেছেন, শুধু ২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা প্রায় ৯৮০ কোটি ঘণ্টা টেলিভিশন দেখার কাজে ব্যয় করেছেন। আর যাঁরা দিনে গড়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা টেলিভিশনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের আয়ু যাঁরা টেলিভিশন দেখেন না, তাঁদের চেয়ে গড়ে প্রায় ৪ দশমিক ৮ বছর কম হয়। গবেষণা আরও বলছে, যাঁদের বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাঁরা প্রতি এক ঘণ্টায় টেলিভিশন দেখে জীবন থেকে প্রায় ২২ মিনিট করে আয়ু হারিয়ে ফেলছেন। অনেকক্ষণ ধরে টেলিভিশন দেখাটা ধূমপান ও ব্যায়াম না করার মতোই জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া প্রতিটি সিগারেট পান করলে জীবন থেকে গড়ে ১১ মিনিট করে আয়ু কমে যায়।

যা কিনা ৩০ মিনিট টানা টেলিভিশন দেখার ক্ষতির সমপরিমাণ। আর যাঁদের শারীরিক সক্ষমতার মাত্রা বেশ কম, তাঁরা দিনে ঘণ্টা দুয়েক টেলিভিশন দেখলে প্রায় দেড় বছরের মতো আয়ু হারিয়ে ফেলতে পারেন বলেও গবেষণায় দেখানো হয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের শিক্ষক লেনার্ট ভিরম্যান বলেছেন, ‘টেলিভিশন পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে যে শারীরিক ক্ষতি হবে, এটা বিস্ময়ের কোনো বিষয় নয়। যত বেশি টেলিভিশন দেখা হবে, মানুষ ঠিক তত বেশি পরিমাণে শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। আর এর ফলে খুব সহজেই শরীরে ডায়াবেটিস ও হূদরোগ বাসা বেঁধে ফেলতে পারে।

’ তাঁদের গবেষণা বলছে, টেলিভিশন না দেখলে পুরুষদের আয়ুষ্কাল স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৮ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৫ বছর বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। লেনার্ট ভিরম্যান আরও বলেছেন, টেলিভিশন দেখার এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য টেলিভিশন বন্ধ রেখে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এর ফলে মন ও মেজাজ প্রফুল্ল হবে। আর প্রফুল্লচিত্ত সব সময় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.